Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আইসিসি’র দুর্নীতি দমন কমিশনকে যা বলেছেন সাকিব…


২৯ অক্টোবর ২০১৯ ২০:১০

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসি’র নীতিমালা ভঙ্গ করায় সাকিব আল হাসানকে এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আইসিসি’র দুর্নীতি দমন কমিশন আকসু’র কাছে সাকিব আল হাসান স্বীকার করেন যে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য তাকে প্রলুব্ধ করেছিল জুয়াড়িরা। তবে সে তথ্য আকসুকে না জানানোর কারণে এই নিষেধাজ্ঞা সাকিবের ওপর।

আইসিসি’র রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি এবং একই বছরের ২৭ আগস্ট সাকিবের সঙ্গে আকসু’র কথা হয় তদন্ত বিষয়ে। এ সময়ে সাকিব আকসু’র কোড বিষয়ে তার অবগত থাকার ব্যাপারটি জানায় এবং স্বীকার করে নেন আকসু’র কাছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিষয়টি না জানানোর কথাও।

বিজ্ঞাপন

সে সময়ে সাকিব যা নিশ্চিত করেন:

১. ২০১৭ সালের নভেম্বরে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে বিপিএলে ৪ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলেন সাকিব।

২. সাকিবের পরিচিত একজন ব্যক্তি আগারওয়াল নামের একজন জুয়াড়িকে সাকিবের নাম্বার দেয়।

৩. ২০১৭ এর নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সাকিব আগারওয়ালের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ আদান প্রদান করেন যেখানে আগারওয়াল তার সঙ্গে দেখা করার কথা বলে।

৪. ২০১৮ এর জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করা হয়। সেই সিরিজ চলাকালীন সময়ে সাকিব ও আগারওয়ালের মাঝে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সখ্যতা বাড়ে।

৫. ২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি আগারওয়াল সাকিবকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়ায় অভিনন্দন জানায়। তার পরের মেসেজেই বলেন, ‘আমরা কি এবার একসাথে কাজ করব নাকি আইপিএলের জন্য অপেক্ষা করব?’

৬. মেসেজের মাঝে থাকা ‘কাজ’ শব্দটা আগারওয়ালের পক্ষ থেকে সাকিবের জন্য দেওয়া একটা রেফারেন্স হিসেবে দেখা হয় যার বিষয়ে আকসুকে সাকিব কিছু জানায় নি।

বিজ্ঞাপন

৭. ২০১৮ এর ২৩ জানুয়ারি সাকিব আগারওয়ালের কাছ থেকে আরও একটি মেসেজ পায় যেখানে লেখা ছিল ‘ভাই আমরা কি এই সিরিজে কাজ করব?’

৮. সাকিব নিশ্চিত করে বলে যে এই মেসেজটি সেই ত্রিদেশীয় সিরিজের বিষয়ে আগারওয়ালকে জানানোর জন্য বলা হয়।

৯. সাকিব এই মেসেজের বিষয়টিও আকসুর কাছে জানায়নি।

১০. ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সাকিব সানরাইজারস হায়দ্রাবাদের পক্ষে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে খেলে।

১১. সেই ম্যাচ চলাকালীন সময়েও আগারওয়ালের কাছ থেকে সাকিব হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পায় যেখানে একজন সুনির্দিষ্ট খেলোয়াড় খেলবে কিনা জানতে চাওয়া হয়েছিল একই সঙ্গে ভেতরের তথ্যও।

১২. পরবর্তীতেও সাকিবের সঙ্গে আগারওয়ালের কথাবার্তা চলতে থাকে। আগারওয়াল সাকিবের বিটকয়েন, ডলার একাউন্টের বিস্তারিত জানাতে বলে। এই সময়ে সাকিব আগারওয়ালের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে যেখানে একটা শব্দ লেখা ছিল ‘প্রথম’।

১৩. ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিলের কিছু ডিলিট করা মেসেজ দেখা যায় যেখানে সাকিব নিশ্চিত করে সেগুলো আগারওয়ালের মেসেজ ছিল দলীয় তথ্য দেওয়ার বিষয়ে।

১৪. সাকিব নিশ্চিত করে যে আগারওয়ালের বিষয়ে সে কিছুটা প্রতারিত বোধ করে নিজেকে এবং বুঝতে পারে যে সে একজন বুকি।

১৫. উপরের কোনো বিষয়ে সাকিব আকসুকে জানায় নি।

১৬. সাকিব আগারওয়ালের কাছে কোনো তথ্য না দেওয়ার বিষয়টিও জানায়। একই সঙ্গে কোনো আর্থিক লেনদেন না থাকার কথাও জানায়। একই সঙ্গে সে এই বিষয়গুলো আকসুর কাছে না জানানোর কথাও জানায়।

আর এসব বিষয়ে তথ্য প্রমাণ মেলায় সাকিবের ওপর দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি। তবে আকসুর কাছে এ সকল দোষ স্বীকার করায় সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে এক বছর করা হয়েছে।

আইসিসি আকসু নিষিদ্ধ সাকিব আল হাসান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর