সাদমান ঝলকে ঢাকা মেট্টোর হুঙ্কার
২ নভেম্বর ২০১৯ ২২:০৩
প্রথম দিনেই পেরিয়েছেন দেড়শ রানের কোঠা। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৮ম সেঞ্চুরি তুলে দিন শেষে ১৬২ রানে অপরাজিত থেকেছেন সাদা পোষাকে জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ সাদমান ইসলাম অনীক। অপেক্ষা এখন ডাবলের। বড় ধরনের অঘটন না ঘটলে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই যা হয়ে যাওয়ার কথা।
তার এমন দ্যুতিময় ব্যাটিংয়ের দিনে মিডল অর্ডার আল আমিনের ব্যাট থেকে এসেছে ৮৩ রান। ওপেনার শামসুর রহমান শুভ দিয়ে গেছেন ৫০ রান। আর তাদের ব্যাটে ভর করেই প্রথম দিন শেষে ৩৫৭ রান তুলে জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডে হুঙ্কার ছুঁড়ছে ঢাকা মেট্রো।
শনিবার (২ নভেম্বর) জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক চট্টগ্রামের বিপক্ষে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৯ রান তুলতেই ওপেনার আজমির আহমেদকে (০) হারায় ঢাকা মেট্টো। এরপর শামসুর রহমান শুভকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৯৭ রানের জুটি গড়েন সাদমান। শুভ ফিরে যান ব্যক্তিগত ৫০ রানে।
তবে শামসুর রহমান ফিরে গেলেও সাদমানের ব্যাট থেমে থাকেনি।অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুবের সঙ্গে জুটি গড়ে অর্ধশতক পূর্ণ করেন ১১০ বলে। সাদমানের সঙ্গে দলকে ৮০ রানের সংগ্রহ এনে দিয়ে অধিনায়ক মার্শাল ৪০ রানে ফিরে গেলে এই জুটিও ভেঙে যায়। কিন্তু ভাঙেনি সাদমানের মনোবল।
অদম্য মনোবলে ব্যাট ছোটান ক্যারিয়ারের ৮ম প্রথম শ্রেণীর সেঞ্চুরির দিকে। এক সময় তা ছুঁয়েও ফেলেন জাতীয় দলের হয়ে ৪টি টেস্ট খেলা এই ওপেনার। ১৮৪ বল খেলে পৌঁছে যান যাদুকরী তিন অঙ্কের ঘরে।
তাতেও বোধহয় তুষ্ট হতে পারেননি এই তরুণ। তাই ব্যাট চালিয়ে যান ডাবলের পথে। প্রথম দিনে অবশ্য সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। দিনের খেলা শেষ হয়ে যাওয়ায় ৩৮ রান দূরে থেকেই ফিরতে হয়েছে ড্রেসিংরুমে।
তাতে দিন শেষে ৪ উইকেটের খরচায় প্রথম ইনিংসে ৩৫৭ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে ঢাকা মেট্রো। চট্টগ্রামের হয়ে বল হাতে হাসান মাহমুদ ২টি, নাইম হাসান ও মেহেদি হাসান রানা ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এদিকে কক্সবাজারে দিনের অপর ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বোলিং তোপে ২৩০ রানে গুটিয়ে গেছে রাজশাহী বিভাগের প্রথম ইনিংস। দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৫৬ রান করে করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুক্তার আলী। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯ রান এসেছে সানজামুল ইসলামের ব্যাট থেকে।
বল হাতে ঢাকার হয়ে সুমন খান, শুভাগত হোম ৩টি করে এবং যুবায়ের হোসেন লিখন ও সালাহউদ্দিন শাকিল নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
কক্সবাজারের অপর ভেন্যুতে সিলেট বিভাগের পেসার এবাদত হোসেনের পেস তোপে ১৬২ রানে অলআউট হয়ে গেছে বরিশাল বিভাগের প্রথম ইনিংস।
বরিশালের কোনো ব্যাটসম্যানই ব্যক্তিগত ৫০ রানের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪০ রান এসেছে নুরুজ্জামানের ব্যাট থেকে। বরিশালের বাকি ৫ উইকেটের ৩টি নাসুম আহমেদ এবং এনামুল হক জুনিয়র ও আবু জায়েদ রাহি নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংস ব্যাটিংয়ে দিন শেষে ১ উইকেটে ৮২ রান সংগ্রহ করেছে সিলেট বিভাগ। ব্যক্তিগত ৪৮ রানে রাফসান আল মাহমুদের শিকার হয়ে ফিরেছেন ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন। ৩২ রানে অপরাজিত আছেন শানাজ আহমেদ ও এনামুল হক জুনিয়ক অপরাজিত ১ রানে।