উজ্জ্বল সাদমানে ঢাকা মেট্রোর ইনিংস ব্যবধানে জয়
৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৫:০২
জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডে চট্টগ্রামকে ইনিংস এবং ৬৪ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে ঢাকা মেট্রো। টায়ার-২ এর ম্যাচ দুটি শুরু হয়েছিল ২ নভেম্বর শুক্রবার। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার ২ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোকে আতিথ্য দেয় চট্টগ্রাম বিভাগ। প্রথম দিনে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা মেট্রোর অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন দেন ব্যাটসম্যানরা।
ঢাকা মেট্রোর ওপেনিং ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলাম করেন অনবদ্য ১৭৮ রান। সেই সঙ্গে শামসুর রহমানের ৫৯ এবং আল-আমিনের ৮৩ রানে ভর করে ৪০৩ রানে অল আউট হয় ঢাকা মেট্রো। চট্টগ্রামের হয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন হাসাম মাহমুদ। আর দু’টি করে উইকেট নেন ইরফান হোসেন, নাইম হাসান এবং মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি।
ঢাকা মেট্রোর রানের পাহাড়ের জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুখ থুবড়ে পড়ে চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা। পিনাক ঘোষ, ইয়াসির আলী, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনদের নিয়ে গড়া ব্যাটিং লাইন আপ যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। ঢাকা মেট্রোর হয়ে বল হাতে যেন তোপ নিক্ষেপ করতে থাকেন জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল্লাহ। তাসকিন আর শরিফুল্লাহ মিলে চট্টগ্রামের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফেরান। শেষ পর্যন্ত শরিফুল্লাহ নেন ৪ উইকেট আর তাসকিনের ঝুলিতে ওঠে ৩টি উইকেট। অপর তিন উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম একটি এবং আসিফ হাসান দুইটি।
চট্টগ্রামের হয়ে প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রান আসে সাদিকুর রহমানের ব্যাট থেকে। সাদিকুর করেন ২২ রান, নাইম হাসান, পিনাক ঘোষের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১২ রান। দলের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান আসে ইরফান শুকুরের ব্যাট থেকে। তিনি করেন মাত্র ১০ রান। অর্থাৎ চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ৯১ রানেই অল আউট হয় চট্টগ্রাম। আর সেই সঙ্গে পড়েন লজ্জার ফলো অনে।
ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ফলো অনে পড়ে ব্যাট করতে নেমেও ব্যাটিংয়ের উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে। যদিও প্রথম ইনিংসের থেকে কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে সমর্থ হয়েছিল পিনাক-ইয়াসিররা। তবে ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় ঠেকাতে তা যথেষ্ট ছিল না। প্রথম ইনিংসে তাসকিন এবং শরিফুল্লাহর বোলিং তান্ডবের সামনে পড়েছিল চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় ইনিংসে এই দুইজনের সঙ্গে যোগ দিলেন শহিদুল্ ইসলামও।
দ্বিতীয় ইনিংসে তাসকিন এবং শরিফুল্লাহ নেন দুটি করে উইকেট আর শহিদুল নেন ৪টি উইকেট। ব্যাট হাতে চট্টগ্রামের হাল ধরেন পিনাক ঘোষ এবং ইয়াসির আলী। পিনাক ঘোষ আউট হন ৫৭ রানে আর অধিনায়ক ইয়াসির আলী করেন ৬৬ রান। তবে বাকি ব্যাটসম্যানরা তাদের নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৮ রানে থামে চট্টগ্রাম বিভাগের ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে ৯১ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৮ রান তুলতে সক্ষম হয় চট্টগ্রাম বিভাগ। তবে এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা মেট্রোর তোলা ৪০৩ রানের বিপরীতে ছিল ৬৪ রান কম। অর্থাৎ দুই ইনিংস মিলিয়েও ঢাকা মেট্রোর করা ৪০৩ রান তাড়া করতে পারেনি চট্টগ্রাম বিভাগ। শেষ পর্যন্ত ইনিংস এবং ৬৪ রানের ব্যবধানে হার মানতে হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগকে।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন সাদমান ইসলাম। সব মিলিয়ে ৪১১ মিনিট চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটে ছিলেন সাদমান। মোকাবিলা করেছেন ২৭৬ বল আর নামের পাশে যোগ করেছেন ১৭৮টি রান। সাদমানের দারুণ এই ইনিংসে ছিল ২৩টি চার এবং ২টি ছয়। আর নি:সন্দেহে ঢাকার ইনিংস ব্যবধানে জয়ের নায়ক সাদমানই। আর তাই তো ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতেই।
ইনিং ব্যবধানে জয় জাতীয় ক্রিকেট লিগ এনসিএল ঢাকা মেট্রো বনাম চট্টগ্রাম বিভাগ তাসকিন আহমেদ সাদমান ইসলাম