এবাদতের বোলিং তোপে সিলেট জিতেছে ইনিংস ব্যবধানে
৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৫:৪৩
জাতীয় ক্রিকেট লিগ এনসিএলের টায়ার-২ এর ম্যাচে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক মুখোমুখি হয় সিলেট বিভাগ এবং বরিশাল বিভাগ। শুক্রবার ২ অক্টোবর শুরু হওয়া ম্যাচটি ইনিংস এবং ৩২ রানের ব্যবধানে জিতেছে সিলেট বিভাগ। ম্যাচ জুড়ে দারুণ বোলিং করা এবাদত হোসেনের কাছেই যেন মাথা নুয়িয়েছে বরিশাল। দুই ইনিংস মিলিয়ে এবাদতের ঝুলিতে উইকেট উঠেছে ৮টি।
এর আগে প্রথম দিনে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশালের অধিনায়ক ফজলে মাহমুদ। শহারিয়ার নাফিস, মোহাম্মদ আশরাফুল, সোহাগ গাজীদের নিয়ে গড়া দলটি প্রথম ইনিংস সংগ্রহ করে মাত্র ১৬২ রান। বরিশালের স্কোরবোর্ডে দুই রান যোগ হতেই দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে ফেরান এবাদত হোসেন। শাহরিয়ার নাফিস এবং অধিনায়ক ফজলে মাহমুদকে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরান এবাদত। এরপর কিছুটা প্রতিরোগ গড়ার চেষ্টায় থাকা রাফসান আল মাহমুদকে নিজের এবং দলের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন সেই এবাদতই। স্কোরবোর্ডে ২৫ রান যোগ হতে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে।
এরপর নুরুজ্জামান এবং সোহাগ গাজী কিছুটা প্রতিরোধ গড়লে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে বরিশাল। তবে নাসুম আহমেদের জোড়া আঘাতে আবারও ধ্বসে পড়ে বরিশালের ব্যাটিং লাইন আপ। এরপর শেষ দিকে আর কোনো ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে না পারলে বরিশালের প্রথম ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১৬২ রানে। বরিশালের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করেন নুরুজ্জামান (৪০), আর সেই সঙ্গে সালমান হোসেন করেন ২৫ আর সোহাগ গাজী করেন ২৩ রান। সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট তুলে নেন এবাদত হোসেন, তিন উইকেট নেন নাসুম আহমেদ আর একটি করে উইকেট নেন এনামুল হক জুনিয়র এবং আবু জায়েদ রাহী।
প্রথম ইনিংসে বরিশালের করা ১৬২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সুচনা করেন সিলেটের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। সিলেটের ওপেনার শাহনাজ আহমেদ এবং জাকির হাসান করেন অর্ধশতক। এছাড়া ইমতিয়াজ হোসেন করেন ৪৮ এবং জাকির আলী করেন ৩৫ রান। শেষ পর্যন্ত সিলেটের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩২২ রানে। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন মনির হোসেন।
সিলেটের থেকে ১৬০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসের এবাদতের তোপের মুখে আবারও পড়েন বরিশালের ব্যাটসম্যানরা। শেষ পর্যন্ত সিলেটের থেকে ৩২ রানে পিছিয়ে থেকে মাত্র ১২৮ রানে অল আউট হয় বরিশালের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ইনিংসের ন্যয় দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ বরিশালের ব্যাটসম্যানরা। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান আসে সোহাগ গাজীর ব্যাট থেকে। তিনি করেন ৩৭ রান আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন শাহরিয়ার নাফিস (৩২)।
তবে দ্বিতীয় ইনিংসে এবাদতের সঙ্গে নাসুম হোসেনের বোলিংয়ে ঝরে আগুন। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া এবাদত দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৩ উইকেট। আর তার সঙ্গী নাসুম নেন ৪টি উইকেট। বাকি তিন উইকেটের মধ্যে আবু জায়েদ রাহী নেন ১টি এবং শাহানুর রহমান নেন বাকি দুটি উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ১৬২ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৮ রান। আর অন্যদিকে এক ইনিংসেই সিলেটের সংগ্রহ ৩২২ রান। দুই ইনিংস মিলিয়েও বরিশালের রান সংখ্যা সিলেটের থেকে ৩২ কম। আর এতেই ইনিংস এবং ৩২ রানের জয় পায় সিলেট বিভাগ। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট তুলে নেওয়া এবাদত হোসেন পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
এবাদত হোসেন জাতীয় ক্রিকেট লিগ এনসিএল টায়ার-২ সিলেট বিভাগ বনাম বরিশাল বিভাগ