ভারত সফরে এমন দাপুটে সাদমানকেই চাই!
৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৭:৩৩
প্রথম ইনিংসে তার ব্যাটে ছিল রানের ফোয়ারা। জহুর আহমেদে স্বাগতিকদের তৈরি শত প্রতিকূলতাও তাতে ছন্দ পতন ঘটাতে পারেনি। একেবারে সলিড ব্যাটিং যাকে বলে। এভাবে চালিয়ে গেলেন প্রায় দেড় দিন। তাতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অষ্টম সেঞ্চুরি তো হলই সম্ভাবনা জাগল আরও দারুণ কিছু করার।
আত্নবিশ্বাসী সাদমান চ্যালেঞ্জটি নিয়ে রান রথ ছোটালেন ডাবলের দিকে। কিন্তু বিধি বাম তাই শেষ পর্য়ন্ত হল না! ২শ থেকে ২২ রান দূরে থেকে (১৭৮) ইফরান হোসেইনের পেসে পরাস্ত হতে হলো।
হয়তো এতে করে তার আরেকটি ডাবলের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে কিন্তু তার দল ঢাকা মোট্টোর জন্য ওই রানই বর হয়ে এসেছে। ম্যাচ শেষের আগেই বয়ে এনেছিল খুশির বার্তা। দ্বিতীয় দিনেই পেতে শুরু করেছিল জয়ের সুবাস। কেননা তার ওই রানে ভর করেই প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেটের বিনিময়ে ৪০৩ রান সংগ্রহে সক্ষম হয়েছিল ঢাকা। যা কী না দুই ইনিংস মিলেও করতে পারেনি চট্টগ্রাম বিভাগ। তৃতীয় দিন শেষের আগেই অলআউট হওয়ায় জাতীয় লিগের চলতি মৌসুমে প্রথম জয় নিশ্চিত হল মার্শাল আইয়ুবদের।
তাসকিন, শরিফুল্লাহদের পেস তোপে প্রথম ইনিংসে ৯১ রানে বিধ্বস্ত হওয়া চট্টগ্রামের ব্যাটিং লাইন আপ দ্বিতীয় ইনিংসেও পেস তোপে হাবুডুবু হয়ে গুটিয়ে গেল ২৪৮ রানে। দুই ইনিংস মিলে বন্দরনগরীর দলটির মোট সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়াল, ৩৩৯। ঢাকার চাইতে ৬৪ রানে পিছিয়ে। ফলাফল ইনিংস ও ৬৪ রানের বড় হার।
ঢাকার হয়ে বল হাতে দাপট দেখিয়েছেন পেসাররা। ২০ উইকেটের ১৬টিই ছিল তাদের দখলে। বাকি উইকেট নিয়েছেন স্পিনাররা। দুই ইনিংসে পেসার শরিফুল্লার শিকার ৬টি উইকেট। তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ শিকার করেছেন ৫টি করে। স্পিনারদের মধ্যে ২টি আসিফ হাসান এবং আল আমিন, নিহাদুজ্জামানের শিকার ১টি করে।
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে সাদমানের ব্যাটের এই রান ফোয়ারা নিশ্চই লাল সবুজের দলকে মানসিকভাবে অনেক এগিয়ে রাখবে। প্রেরণা যোগাবে রঙিন পোষাকের মতোই সাদা পোষাকে অবিশ্বাস্য শুরুর। বাকিটা না হয় তার ওপরেই ছেড়ে দেওয়া যাক।
জাতীয় ক্রিকেট লিগ এনসিএল ঢাকা মেট্রো বনাম চট্টগ্রাম বিভাগ ভারত টেস্ট শতক সাদমান ইসলাম