গোলাপি বলে অনুশীলন করে যা বুঝলেন ইমরুল
৫ নভেম্বর ২০১৯ ১৬:২৪
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে (২২-২৬ নভেম্বর) ইডেন গার্ডেনসে ভারতের বিপক্ষে গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচে অভিষেক হচ্ছে বাংলাদেশের। বিষয়টি বাংলাদেশ দলের জন্য যেমন ভারতের জন্যও অনুরূপ। সাদা পোষাকে ১৯ বছরেরও কিছু বেশি সময়ের পথ চলায় বাংলাদেশ যেমন গোলাপি বলে খেলেনি, তেমনি ৮৭ বছরের সাদা পোষাকের অভিজ্ঞতায় পুষ্ট ভারতও খেলেনি। সবকিছু ঠিক থাকলে এই ম্যাচটি দিয়েই দিবা-রাত্রির টেস্ট যাত্রা শুরু হবে উপমাদেশের এই দুই দলের।
কিন্তু সমস্যাটা অন্য জায়গায়। ঐতিহাসিক এই ম্যাচটিকে সামনে রেখে দুই দলের কেউই এখনো লাল বলের প্রস্তুতি শুরু করতে পারেনি। তার পেছনে অবশ্য কারণও আছে। টি-টোয়েন্টি সিরিজের ব্যস্ততায় দু’দলের কারোরই সেই সুযোগ হয়ে উঠছে না মোটেই। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি শেষে ইন্দোরে গড়াবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। প্রথম টেস্ট ম্যাচটি যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে লাল বলেই। সেই ম্যাচ শেষে দিন কয়েকের যে বিরতি থাকবে সেই বিরতিতেই গোলাপি বলের প্রস্তুতি সারবে দুই দল।
তবে বাংলাদেশের টেস্ট দলে ডাক পাওয়া ইমরুল কায়েস অবশ্য সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় লিগের চতুর্থ রাউন্ডের খেলা শেষ হতেই শের-ই-বাংলার সেন্টার উইকেটে নেমে গেলেন গোলাপি বলের অনুশীলনে। প্রায় ঘণ্টা ব্যাপী করা সেই অনুশীলনে সেখানে একটি বিষয়ই তিনি বেশ জোরালোভাবে অনুধাবন করেছেন, সেটা হলো- গোলাপি বলের সুইং লাল বলের চাইতেও বেশি। এবং এর শাইনিং দ্রুতই নষ্ট হয়ে যায়।
‘গোলাপি বল সুইংটা একটু বেশি করে আমার কাছে মনে হলো। যেহেতু আমি প্রথমবার অনুশীলন করলাম হয়তোবা আরেকটু ভালো করে বুঝতে পারবো আসলে কি হয়। মিরপুরের উইকেট একটু কঠিন ছিল কিন্তু আমার কাছে মনে হয় পিংক বলে সুইংটা বেশি করে। লাল বল ও গোলাপি বলের সিম একই রকম হয়। তবে বলের যে পিচ আপটা হয় লাল বলে শাইনটা নষ্ট হতে একটু সময় লাগে। কিন্তু পিংক বলে আমি যতটুক খেললাম আমার কাছে মনে হয়েছে যে শাইনিংটা দ্রুত কমে। তবে যতক্ষণ থাকবে সুইংটা একটু বেশি করবে।‘
গোলাপি বলে ম্যাচ খেলার আগে পর্যাপ্ত অনুশীলন দরকার ছিল? সংবাদ মাধ্যমের করা এমন প্রশ্নে ইমরুলের উত্তর ছিল, ‘খেললেতো অবশ্যই ভালো হত। কারণ আমরা অভ্যস্ত না, ওখানেই প্রথমবার। ভারতও কখনো খেলেনাই, আমরাও খেলিনাই। দুইটা দলের জন্যই অভিজ্ঞতা হবে বলা যায়। দুইটা দলই রোমাঞ্চিত।‘
এদিকে ম্যাচটিকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে এসজি কোম্পানির ৭২ টি বলের অর্ডার দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড-বিসিসিআই। মানে এটা নিশ্চিত যে ওই প্রতিষ্ঠানটির বলেই ইডেনে ম্যাচটি গড়াবে। কিন্তু ইমরুল যে কোকাবুরা বলে অনুশীলন করলেন! মানিয়ে নিতে পারবেন তো? না, এমন প্রশ্নের জবাবে অভিজ্ঞ এই টাইগার ওপেনারের কাছ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট জবাব পাওয়া গেল না।
‘দেখেন এটা নিয়ে আসলে আমার বলার কিছু নাই। আমি কখনো অনুশীলন করিনি, আজই প্রথম করলাম কোকাবুরা বলে। এসজি বলটা কেমন হবে ওখানে গেলে দুই একদিন অনুশীলন করবো তখন বুঝবো কেমন হবে।‘
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশের বিপক্ষের দ্বিতীয় টেস্টটি দিবা-রাত্রিতে খেলার প্রস্তাব করেন সৌরভ গাঙ্গুলি। আর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সম্মতির অপেক্ষায় থাকেন সৌরভ। টাইগার ক্রিকেটার এবং ম্যানেজমেন্টের মধ্যে আলোচনার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবিও দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলার সম্মতি জ্ঞাপন করে। আর ইডেন টেস্টের মধ্য দিয়েই দুই দলের অভিষেক হতে যাচ্ছে গোলাপি বলের টেস্ট ম্যাচে।
ইডেন টেস্ট ইমরুল কায়েস গোলাপি বলের টেস্ট টপ নিউজ দিবা-রাত্রির টেস্ট দ্বিতীয় টেস্ট ভারত বনাম বাংলাদেশ