কোন সময়ই চিন্তা করিনি বাংলাদেশের অধিনায়ক হব: মুমিনুল
৬ নভেম্বর ২০১৯ ২০:১১
ঢাকা: ২০১৩ সালে সাদা পেষাকে অভিষেকের পর প্রায় অর্ধযুগ ধরে শুধুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন মুমিনুল হক। অনফিল্ডে সেই ভুমিকায় নিজেকে যোগ্যতর হিসেবে প্রমানও করেছেন। ২৮ টেস্টের ২৬ ইনিংসে ৮ সেঞ্চুরি ও ১৩ টি ফিফটিতে জিতেছেন লাল সবুজের টেস্ট স্পেশিালিস্টের তকমা।
সেই মুমিনুলকেই এবার নতুন এক ভূমিকায় দেখা যাবে। ১৪ নভেম্বর থেকে ভারতের ইন্দোরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে যে দুই ম্যাচ সিরিজের টেস্ট অনুষ্ঠিত যাচ্ছে সেখানে লাল সবুজের দলের নেতৃত্ব দেবেন। এতে করে টেস্ট ক্রিকেটে হবে তার নেতৃত্বের অভিষেক। আইসিসি কর্তৃক এক বছরের জন্য সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ায় তার হাতেই ব্যাটন তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি।
মজার ব্যাপার হল এই ভূমিকায় নিজেকে দেখতে কখনই প্রস্তুত ছিলেন না এই টাইগার লিটল মাস্টার। কশ্মিনকালেও ভাবেননি, এমন দিন আসবে। বিষয়টি তার স্বপ্নের অতীত। তাও আবার প্রতিপক্ষ ভারতের বিপক্ষে এবং তাদের মাটিতেই।
তবে যাই হয়েছে তাতে তিনি মোটেও অসন্তুষ্ট নন। বরাবরই দারুণ ইতিবাচক মুমিনুল এই বিষয়েও নেতিবাচক মনে হল না। এবং নেতৃত্বকে বাড়তি চাপ হিসেবে দেখতেও তিনি পছন্দ করছেন না। বরং নতুনের আহবানে সাড়া দিয়ে ভারত মোকাবেলায় তিনি পুরোপুরি প্রস্তুত।
‘কোনভাবেই প্রস্তুত ছিলাম না, পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত এটাই। কোন সময়ই চিন্তা করিনি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হব কিংবা টেস্ট দলের অধিনায়ক হব এমন কিছু স্বপ্নেও ছিল না। যাইহোক পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ্। কখনোই এভাবে চিন্তা করিনি অধিনায়কত্ব অতিরিক্ত চাপ, দায়িত্ব। এভাবে চিন্তা করলে বাড়তি চাপ হয়ে যায়। আগে যেভাবে খেলেছি, রান করার জন্য, দলের জন্য সেভাবেই খেলেছি।
‘আমার কাছে মনে হয় জীবনে যেখানেই ক্রিকেট খেলি সেটা চ্যালেঞ্জিং। তো ভারতে হয়তো সে চ্যালেঞ্জটা একটু বেশি থাকবে, আমরা সবাই সেভাবেই প্রস্তুত হয়ে চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে। আমার কাছে মনে হয় চ্যালেঞ্জটা নেওয়ার জন্য সবাই প্রস্তুত আছে দলের। আমিও ওভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ যোগ করেন মুমিনুল।
বুধবার (৬ নভেম্বর) মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমকে সেকথাই জানালেন।
ভারতের বিপক্ষে এই টেস্ট সিরিজটি দিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। কোহলি, রোহিত, ইশান্ত, অশ্বিনদের বিপক্ষে দুর্গম সেই মিশনে তার ব্যক্তিগত লক্ষ্য বলতে কিছুই নেই। তবে দলের জয়ে সম্ভাব্য যা যা করণীয় এর সবই তিনি করবেন।
‘প্রত্যাশা একটাই আমরা যেখানেই যাই জেতার জন্য যাই, জেতার জন্যই ভারত যাবো এটাই। নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য নাই ব্যক্তিগতভাবে। সব মিলিয়ে দলের জন্য অবদান রাখতে চাই।’
চলতি মাসের ১৪-১৮ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। আর দিবা-রাত্রির দ্বিতীয় শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২২-২৬ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে।
দুই দলের জন্যই ইডেনের ম্যাচটি ঐতিহাসিক। কেননা এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই দিবা-রাত্রির ক্রিকেটে পথ চলা শুরু করবে স্বাগতিক ভারত ও সফরকারী বাংলাদেশ।