হার দিয়ে এএফসির মিশন শুরু ফাহিমদের
৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:১৩
ঢাকা: সবশেষ ২০০২ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের বাধা টপকেছিল বাংলাদেশ। এরপর দেশের ফুটবলে কেটে গেছে অপ্রাপ্তির ১৭ বছর। চূড়ান্তপর্বে ওঠা হয়নি লাল-সবুজদের। প্রতিবারই হতাশার গল্প দিয়ে গেছে ছেলেদের ফুটবল। এবার সেই গল্পটা পাল্টে দেয়ার মিশনে প্রথমেই হোঁচট খেল ফাহিম-ইয়াসিনরা। এএফসি কাপের অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ম্যাচে হেরে গেছে লাল-সবুজ যুবারা।
বুধবার (০৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত দশটায় বাহরাইনের খালিফা স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচে বাহরাইনের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
বাফুফের একাডেমিতে তিন মাসের প্রস্তুতি সেড়ে নতুন এই চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ। সাফের ফাইনালে হেরে রানার্স আপ হওয়ার পর গত অক্টোবরে কাতারে তিন জাতির আমন্ত্রণমূলক ম্যাচগুলো হারলেও লড়াকু ফুটবল মানসিকতা বাহরাইনেও টেনে আনতে চেয়েছিলেন কোচ অ্যান্ড্রু পিটার টার্নার।
ব্যর্থতার বেড়াজাল ভেদ করার প্রথম সুযোগে পুরোপুরি ব্যর্থ হলো টার্নারের শিষ্যরা।
স্বাগতিকদের সঙ্গে ম্যাচের শুরুটা ভাল হলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আলো হারাতে শুরু করে লাল-সবুজরা। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় বাহরাইন।
পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ করে ম্যাচে সমতায় ফেরার অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশের যুবারা। বারবার যেন বাহরাইনের ডি বক্সের সামনে এসে খেই হারিয়েছে যুবারা। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে ম্যাচ। ব্যবধান কমাতে গিয়ে ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার একটু আগে দুই মিনিটে দুটি গোল হজম করে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে লাল-সবুজরা। ৮৯ আর ৯০ মিনিটে জোড়া আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় মিশনের শুভ যাত্রা।
তিন পয়েন্ট খুইয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।
তবে আশা শেষ হয়ে যায়নি লাল-সবুজদের। পরের দুটো ম্যাচে জিততে হবে নক আউটপর্ব নিশ্চিত করতে হলে। ৮ নভেম্বর জর্ডানের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচ ও তৃতীয় ও সবশেষ ম্যাচে লাল-সবুজ যুবারা নামবে ভুটানের বিপক্ষে।
বাছাই পর্ব হচ্ছে ১১ গ্রুপে। প্রতিটি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা ৪ রানার্সআপ দলের সঙ্গে স্বাগতিক উজবেকিস্তানকে নিয়ে আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত পর্ব।