অভিষেক রাঙালেন অমিত
১০ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:২০
জাতীয় ক্রিকেট লিগের চলতি মৌসুমের পঞ্চম রাউন্ড দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নাম লিখিয়েছিলেন সিলেট বিভাগের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান অমিত হাসান। আর অভিষেকেই করলেন মাত। দাপুটে ব্যাটিংয়ে তুলে নিলেন দুর্দান্ত অভিষেক সেঞ্চুরি। ১২৪ বল খেলে ১৯টি চার ও ১টি ছয়ে বাংলাদেশ অনূ-১৯ দলের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান খেললেন ১২৫ রানের নান্দনিক ইনিংস। তার এই রানে ভর করেই প্রথম ইনিংসে ঢাকা মেট্রোর ৩১১ রান টপকে দ্বিতীয় দিন শেষ ১১ রানে এগিয়ে থাকল সিলেট বিভাগ। ৬ উইকেটের খরচায় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৩২২ রান।
রোববার (১০ নভেম্বর) ৭ উইকেটে দলীয় ২৮২ রানে দ্বিতীয় দিনের শুরুটা করেছিলেন ঢাকা মেট্রোর আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান শরিফুল্লাহ ও নিহাদুজ্জামান। শরিফুল্লাহ আগের দিনের ২১ রানের সঙ্গে ১৭ রান যোগ করে ক্রিজ ছাড়া হয়েছেন রেজাউর রহমানের বলে অমিত হাসানের গ্লাবসবন্দি হয়ে।
তার বিদায়ে নিহাদুজ্জামানকে সঙ্গ দিতে উইকেটের অপর প্রান্তে আসেন লিগে উড়ন্ত ফর্মে থাকা পেস বোলিং অলরাউন্ডার শহিদুল ইসলাম। তবে এই ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি। মাত্র ৮ রানে রেজাউরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে তিনিও ফিরে গেলেন। ১১ রানে উইকেটে থেকে যান নিহাদ। দলের সংগ্রহ তখন ৩১১ রান। এই সংগ্রহেই ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা মেট্রো।
সিলেট বিভাগের বোলার রেজাউরের শিকার ৫টি উইকেট। অপর তিন উইকেটের শিকারি এনামুল হক জুনিয়র।
ঢাকার দেওয়া ৩১১ রানের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৪ রান তুলতেই দু্ই টপ অর্ডার শানাজ আহমেদ (৬) ও তৌফিক খানকে (১৪) হারিয়ে বসে সিলেট। তাদের বিদায়ে উইকেটে আসেন অমিত। ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট ছোটান বড় সংগ্রহের লক্ষ্যে। কিন্তু আচমকাই পা হড়কান ইমতিয়াজ। শরিফুল্লার দারুণ এক ডেলিভারিতে ৩৩ রানে পড়েন এলবি’র ফাঁদে। আরও একটি উইকেটের পতনে সিলেটের সংগ্রহ তখন ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৫।
চতুর্থ উইকেটে অমিতের সঙ্গে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন অলোক কপালি। উইকেটে থিতু হয়ে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারিতে তাসকিন, শহিদুলদের ওপর চোখ রাঙাতে থাকেন। ঠিক তখনই ছন্দপতন। ৩২ রানে শহিদুল ইসলামের বলে অলকও ক্যাচ তুলে দেন আল আমিনের হাতে। এই জুটি থেকে আসে ৫৯ রান।
সিলেট বিভাগের মূল কাজটি করে দেন পঞ্চম উইকেটে আসা আসাদুল্লাহ গালিব। অমিত হাসানের সঙ্গে ১০৬ রানের জুটি গড়ে দলকে আড়াইশ রানের কোঠা পার করে পাইয়ে দেন লিডের সুবাস। ততক্ষণে সেঞ্চুরি করে অমিত তার রান রথ ছুটিয়েছেন দেড়শর দিকে। বিপত্তিটা বাধে তখনই। ১২৫ রানে আল আমিনের ডেলিভারিতে কাটা পড়ে নিজের ইনিংসের এপিটাফ লিখে দেন।
ষষ্ঠ উইকেটে রাহাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে ২৭ রানের জুটি গড়ে ৫৯ রানে রান আউট হন আসাদুল্লাহ গালিব। দিন শেষে রাহাতুল ফেরদৌস ৩০ ও এনামুল হক জুনিয়র অপরাজিত ছিলেন ২০ রানে।
ঢাকা মেট্টোর হয়ে শহিদুল ইসলাম ২টি, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল্লাহ ও আল আমিন ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
অমিত হাসান অলোক কপালি জাতীয় ক্রিকেট লিগ এনসিএল পঞ্চম রাউন্ড সিলেট বিভাগ বনাম ঢাকা মেট্রো