ইতিহাস গড়তে সৌম্য-শান্তদের সামনে বড় লক্ষ্য
২৩ নভেম্বর ২০১৯ ১২:৫৬
ইমার্জিং এশিয়া কাপের বিগত তিন তিনটি আসরে শিরোপার খুব কাছে গিয়েও বঞ্চিত হয়েছে লাল সবুজের দল। নক আউট পর্বেই লিখে দিয়েছে টুর্নামেন্টের এপিটাফ। বঞ্চিত সেই দলটি এবার শিরোপার আরও কাছে। একাবেরেই নিঃশ্বাস দূরত্বে বললে বোধ করি অত্যুক্তি হবে না। গেল বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মত উঠেছে বহুকাঙ্খিত ফাইনালে।
সেই ফাইনালের মহারণে পাকিস্তানকে হারাতেই পারলেই ব্যাস। ধরা দেবে প্রথম ইমার্জিং এশিয়া কাপ শিরোপা। গড়া হবে অনন্য এক ইতিহাস। তবে অনন্য সেই মিশনে বাংলাদেশের লক্ষ্যটা একটু নয় বেশ বড়, ৩০২ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের খরচায় পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩০১ রান।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালের লড়াইয়ে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আয়োজক দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে দইলীয় ৪১ রানে দুই ওপেনারকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমান করেন লাল সবুজের এই দলপতি। ওপেনার ওমর ইউসুফকে ৪ রানে উইকেটরক্ষক মাইদুল ইসলাম অঙ্কনের গ্লাভসে তুলে দেন সুমন খান। আরেক ওপেনার হায়দার আলীর শিকারিও সেই সুমন। ব্যাট হাতে ক্রমাগত ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই ডান হাতিকে ২৬ রানে নাইম শেখের ক্যাচে পরিণত করেন।
তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলটির ব্যাটিংয়ে চিড় ধরাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে স্বাগতিক বোলারদের। রোহাইল নাজির ও ইমরান রফিকের দায়িত্বশীল ব্যাটে এই জুটিতে আসে ১১৭ রান। এরপরেই অবশ্য পা হড়কান ইমরান রফিক। ব্যক্তিগত ৬২
রানে মেহেদি হাসানের ঘূর্ণিতে সৌম্য সরাকারের ক্যাচ বনে যান। পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ তখন ১৫৮ রান।
রফিকের ফেরায় উইকেটে আসেন অধিনায়ক সউদ শাকিল। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তাকে নিয়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের পথে ব্যাট ছোটান রোহাইল নাজির। তুলে নেন সেঞ্চুরিও। অবশেষ ৪৫ তম ওভারে দুধর্ষ রোহাইলের ব্যাটে শেকল পড়ান হাসান
মাহমুদ। ১১৩ রানে এই পাক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে এলবি’র ফাঁদে ফেলে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন।
এই সংগ্রহে রোহাইল খেলেছেন ১১১টি বল। যেখানে চারের মার ছিল ১২টি ও ছয় ৩টি। পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ তখন ২৪৩।
সেট ব্যাটসম্যান রোহাইলকে হারালেও পাক শিবিরের মনোবলে এতটুকু চিড় ধরেনি। পরে অর্ডারে যিনিই ব্যাটিংয়ে এসেছেন ঝড়ো ব্যাটিং করে গেছেন। যা পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ ৩শ পেরিয়ে যেতে সহায়ক ভুমিকা রেখেছে।
পঞ্চম উইকেটে আসা খুসদিল শাহর কথাই ধরুন না। ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে সান মাহমুদের শিকারে পরিণত হলেও দলকে ঠিকই সমৃদ্ধ সংগ্রহের জ্বালানি যুগিয়ে গেলেন।
উইকেটের অপর প্রান্তে থাকা অধিনায়ক ৪০ বলে ৪২ রান করে সুমন খানের বলে ফিরলেও পাকিস্তানকে দাঁড় করিয়ে দিলেন ৩শ রানের একেবারে সম্মুখে (২৯১)।
এরপর আমাদ বাটের অপরাজিত ৭ বলে ১৫ রান দলটিকে দিল ৬ উইকেটে ৩০১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।