পিছিয়ে পড়েও বার্নাব্যুতে জয় রিয়ালের
২৪ নভেম্বর ২০১৯ ১০:২৭
আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতি শেষে মাঠে গড়িয়েছে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল। স্প্যানিশ লা লিগায় বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায় মাঠে নামে রিয়াল মাদ্রিদ এবং রিয়াল সোসিয়েদাদ। ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শুরুতেই পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।
ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষের ম্যাচের মাত্র দুই মিনিটেই গোল হজম করে বসে রিয়াল মাদ্রিদ। আর এতেই টানা পাঁচ ক্লিনশিট পাওয়া থিবো কোর্তোয়ার রেকর্ড হাতছাড়া। যদিও এই গোল হজমের পেছেন সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন লস ব্ল্যাঙ্কোস অধিনায়ক সার্জিও রামোস। ম্যাচের প্রথমেই থিবো কোর্তোয়াকে ব্যাক পাস দিতে গিয়ে লা রিয়াল ফরোয়ার্ড উইলিয়ান হোসেকে বল দিয়ে দেন। আর কোর্তোয়াকে একা পেয়ে বল গোল পোস্টে পাঠিয়ে দিতে ভুল করেননি তিনি। তবে চেষ্টা করেছিলেন কোর্তোয়া কিন্তু শেষ পর্যন্ত বৃথা যায় দলকে বাঁচানোর প্রচেষ্টা।
এই ম্যাচে আর মাত্র এক মিনিট গোল না হজম করে থাকতে পারলেই থিবো কোর্তোয়ার রেকর্ড গড়তেন রিয়ালের হয়ে। রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে কোনো গোল হজম না করার পঞ্চম রেকর্ডটি হলো না কেবল অধিনায়ক সার্জিও রামোসের ভুলে। তবে এই একটি ভুল ছাড়া রিয়াল শিবিরে আর কোনো ভুল চোখে পড়েনি। পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত হেসে খেলেই ৩-১ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে লস গ্ল্যাক্টিকোরা।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটে রিয়ালকে সমতায় ফেরানোর কাজটা করেছেন দলের ত্রাণকর্তা করিম বেনজেমা। লুকা মদ্রিচের নিখুঁত ফ্রি-কিক গিয়ে পড়েছিল সোসিয়েদাদের গোলের সামনেই। সার্জিও রামোস, রাফায়েল ভারানের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছিলেন করিম বেনজেমাও। উঁচুতে ওঠা বল হেড দিয়ে নয় বরংচ নাগাল না পেয়ে বুক দিয়ে গোল করেই দলকে সমতায় ফিরিয়েছেন। আর এতেই এককভাবে বনে গেছেন লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা। এটি চলতি মৌসুমে বেনজেমার ১০ম লিগ গোল। ২০১৯ সালে তার গোল দাঁড়িয়েছে মোট ২৫টি। ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগে কেবল লিওনেল মেসি (২৯ গোল) এবং রবার্ট লেভানডফস্কি (২৮ গোল) তার থেকে বেশি গোল করেছেন। আর বেনজেমার সমান ২৫টি গোল করেছেন পিএসজির কিলিয়ান এমবাপেও।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বক্সের বাইরে থেকে শট করে দলকে লিড এনে দেন ভালভার্দে। এরপর ম্যাচের ৭৪ মিনিটে নিজে বেনজেমার পাস থেকে গোল করে মদ্রিচ জানান দেন তিনি ফুরিয়ে যাননি। এই ম্যাচে এক গোলের পাশাপাশি বেনজেমা এবং ফেদে ভালভার্দেকে দিয়ে করিয়েছেন দুইটি গোলও। শেষ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদ মাঠ ছাড়ে ৩-১ গোলের জয় নিয়েই।
আর লা লিগায় ১৩ ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ২৮। লেগানেসকে হারিয়ে বার্সেলোনাও সংগ্রহ করেছে সমান সংখ্যক পয়েন্ট। এই দু’দলের থেকে বেশ পিছিয়ে আছে রিয়ালের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। এক ম্যাচ বেশি খেলেও তাদের পয়েন্ট ২৫। গ্রানাডার সঙ্গে ১-১ এ ড্র করে পিছিয়ে পড়েছে আরও বেশি।
করিম বেনজেমা জিনেদিন জিদান পয়েন্ট টেবিল রিয়াল মাদ্রিদ বনাম রিয়াল সোসিয়েদাদ লুকা মদ্রিচ শীর্ষস্থান সার্জিও রামোস স্প্যানিশ লা লিগা