রবিবার কাঠমান্ডুতে পর্দা উঠছে ১৩ তম এসএ গেমসের
৩০ নভেম্বর ২০১৯ ২০:৫৭
১৯৮৪ সালে নেপালেই যাত্রা শুরু হয়েছিল এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত সাউথ এশিয়ান গেমসের (এসএ গেমস)। ২০১৯ সালে এসে সেই জন্মভূমিতেই ফেরত যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ক্রীড়ার এই আসর। কাল রবিবার (১ ডিসেম্বর) কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে পর্দা উঠছে এসএ গেমসের ১৩ তম আসরের।
এবারের আসরে ২৮ টি ডিসিপ্লিনে ৭ দেশের অ্যাথলেটরা লড়বেন ১১৩৫ টি পদকের জন্য। যেখানে বাংলাদেশ অংশ নিচ্ছে ২৫ টি ডিসিপ্লিনে। ১০ দিনের এই ক্রীড়ানুষ্ঠানে ৩২৪ টি স্বর্ণপদকের জন্য খেলবে বাংলাদেশ সহ নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ভুটান ও শ্রীলঙ্কার প্রায় ৩২৫০ জন প্রতিযোগী।
এবারের আসরে নতুন যুক্ত হয়েছে গলফ এবং কারাতে। সেই সাথে দীর্ঘ ৮ বছর পর ফিরছে ক্রিকেট। সেই সাথে প্রথমবারের মত নারী ক্রিকেটাররা অংশ নিচ্ছেন এবারের আসরে। শুধুমাত্র ট্রাইলথন বাদে বাকি সবগুলো ডিসিপ্লিনে অংশ নিবে বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা।
এসএ গেমসের গেলো আসরে বাংলাদেশ জিতেছিল ৪ টি স্বর্ণের সাথে সাথে ১৫ টি রৌপ্য এবং ৫৬ টি ব্রোঞ্জ। তবে এবারের আসরে লক্ষ্যমাত্রা স্থির না থাকলেও পদকের পরিমাণ বাড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশের শেফ দ্যা মিশন আসাদুজ্জামান কোহিনুর। অন্যান্য দেশগুলো দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ কর্মসূচী চালিয়ে যায়। নেপাল যেমন অনেকগুলো গেমসে বিদেশী কোচের অধীনে প্রশিক্ষণের মধ্যে আছে। তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমাদের সেরকম আর্থিক স্বচ্ছ্বলতা নেই। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি। তারপরও যে প্রশিক্ষণ হয়েছে, তাতে গত আসরের চেয়ে ভাল ফল হবে ইনশাল্লাহ।’
এবারের আসরকে সামনে রেখে অ্যাথলেটদের মনোবল বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। খেলোয়াড়দের আর্থিক পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন সরকার। এবারের আসরে একক ইভেন্টে স্বর্ণজয়ী খেলোয়াড় পাবেন ৬ লাখ টাকা। রুপা ও ব্রোঞ্জ জয়ী পাবেন ৩ লাখ ও এক লাখ করে টাকা। আর দলীয় ইভেন্টে সোনা জয়ী দল পাবে এক লাখ টাকা। আর রুপা ও ব্রোঞ্জ জয়ী দলকে দেওয়া হবে ৫০ হাজার ও ২৫ হাজার করে টাকা।
২৫ টি ইভেন্টে বাংলাদেশের হয়ে অংশ নিচ্ছেন ৪৬২ জন প্রতিযোগী। আগামী ১০ তারিখ পর্দা নামবে এবারের আসরের।