এসএ গেমসে স্বর্ণ জয়ের মিশনে আত্মপ্রত্যাশী বাংলাদেশ
১ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:৩০
ঢাকা: শেষবার ২০১০ সালে দক্ষিণ এশিয়ান (এসএ) গেমসের স্বর্ণ জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর দেশের ফুটবলে কেটে গেছে ৯ টা বছর। সেই ক্ষুধাকে শক্তিতে পরিণত করে নব উদ্যমে এবার শিরোপা পুনরুদ্ধারে আবারও মাঠে নামতে চলেছে লাল-সবুজরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যটা এবার অনেক বেশি দৃঢ়। আত্মবিশ্বাসী হয়েই মিশনটা স্বর্ণে মুড়িয়েই দেশে ফিরতে চায় কোচ-ফুটবলাররা।
১৯৯৯ কাঠমুন্ডুতেই সেবার নেপালকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে স্বর্ণ জিতেছিল বাংলাদেশ। ১১ বছর অপেক্ষার পর ২০১০ সালে দেশের মাটিতে দ্বিতীয় ও শেষবার স্বর্ণ জিতেছিল বাংলাদেশ।
নেপালের মাটিতেই সেই শিরোপা পুনরুদ্ধারে ভুটান ম্যাচ দিয়ে নামতে চলেছে জামাল-রবিউলরা। দাশারাত রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে দুপুর সোয়া ১টায় গড়াবে ম্যাচটি।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আর অতীত অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করেই প্রথম বাধার সম্মুখীন হতে প্রতিজ্ঞবদ্ধ কোচ জেমি ডে। ভুটানকে সমীহ করেই নিজের প্রত্যাশার কথা জানালেন, ‘ভুটানের ম্যাচ কঠিন হবে। তবে ঢাকায় ক’দিন আগে আমরা ভুটানের সঙ্গে খেলেছি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে দেবে।’ এসএ গেমসের ফুটবল আসরটি মূলত অ-২৩ দলের। আর এবার বাংলাদেশের স্কোয়াডে সিনিয়র দলের ১৬জন ফুটবলার খেলছেন এই দলে। সেটাও বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাবে বলে মনে করেন জেমি, ‘এই দলে সেই স্কোয়াডের অনেকেই আছে।’
এবার অবশ্য অন্যান্য বারের মতো প্রস্তুতি শুরু করতে পারেনি জেমি ডে। ক্লাব থেকে খেলোয়াড়দের আগেভাগে ছাড়তে না চাওয়ায় সরাসরি নেপালের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হয়েছে পুরো দলকে। জেমি ইংল্যান্ড থেকে সরাসরি নেপালে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। সেখানে দু’দিন অনুশীলনের সময় পেয়েছে পুরো দল। তবে এই দলে বেশিরভাগ ফুটবলার সিনিয়র দলের হওয়ায় আত্মবিশ্বাসী জেমি ও ফুটবলাররা। দলের স্ট্রাইকার নবীব নেওয়াজ জীবন জানান, ‘তিন-চার দিন আগে আমরা এসেছি। আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে। এখন ভাল ফিল করতেছি। আমাদের সবাই ফিট আছি।’
নিজের লক্ষ্যের সঙ্গে দলের অভীষ্ট লক্ষ্যের কথা জানালেন ঢাকা আবাহনীর এই ফুটবলার, ‘আমরা এই আসরে ভাল টিম। আমরা নিজেদের মধ্যে অনেক কথা বলেছি। আমরা সেরাটা দিতে পারলে ভাল কিছুই হবে। আগের ম্যাচগুলো হওয়ার গোল হয়নি। এবার এসএ গেমসে নিজের সেরাটাই দিবো। আমি নিজেও স্কোর নিয়ে কাজ করেছি। আশা করি স্কোর করবো ইনশাল্লাহ। ভুটানের বিপক্ষে স্কোর করে দলকে জেতাবো ইনশাল্লাহ।’
২০ সদস্যের বাংলাদেশ দল:
গোলরক্ষক: আনিসুর রহমান জিকো, মোহাম্মদ পাপ্পু হোসেন ও মাহফুজুর রহমান প্রীতম। রক্ষণভাগ: বিশ্বনাথ ঘোষ, রহমত মিয়া, ইয়াসিন খান, টুটুল হোসেন বাদশা, রিয়াদুল হাসান, ইয়াসিন আরাফাত ও সুশান্ত ত্রিপুরা। মধ্যমাঠ: জামাল ভুঁইয়া (অধিনায়ক), বিপলু আহমেদ, রবিউল হাসান, মাহবুবুর রহমান, মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও মোহাম্মদ আল আমিন। আক্রমণভাগ: সাদ উদ্দিন, নাবীব নেওয়াজ জীবন, রাকিব হোসেন ও আরিফুর রহমান।
সারাবাংলা/জেএইচ