ছয় বিদেশির সঙ্গে সালাহউদ্দিনের একার লড়াই
৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮:০৪
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সাত দলের ছয় হেড কোচই বিদেশি। দেশি কেবল একজন। তিনি আর কেউ নন, বিপিএলে দুই আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে শিরোপা এনে দেওয়া মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। এবারের আসরে তাকে দেখা যাবে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনে মাশরাফি, তামিমদের প্রধান শিক্ষকের ভূমিকায়। অতএব বলার অপেক্ষাই থাকছে না ঢাকার শিরোপা জয়ে ছয় ভিনদেশি কোচের সঙ্গে দেশি এই কোচকে লড়তে হচ্ছে।
অথচ ছয় দলের ভিনদেশি কোচদের তালিকায় যারা আছেন তাদের প্রোফাইলও বেশ সমৃদ্ধ।
সিলেট থান্ডার্সের কথাই ধারা যাক না। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক বিষ্ফোরক ওপেনার হার্শেল গিবসকে প্রধান কোচ হিসেবে দলটি নিয়োগ দিয়েছে। এদিকে বন্দর নগরীর দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স নিয়োগ দিয়েছে পল নিক্সন। খুলনা টাইগার্সে যোগ দিয়েছেন জেমস ফস্টারকে, রাজশাহী রয়্যালসে ওয়াইজ শাহ, কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সে ওটিস গিবসন। আর রংপুর রেঞ্জার্সের প্রধান কোচ হিসেবে থাকছেন নিউ জিল্যান্ডের মার্ক ও’ডনেল।
কাজেই শিরোপা জয়ে এই ছয় বিদেশির টেকনিককে পরাস্ত করার পর্বত প্রমান চ্যালেঞ্জ সালাহউদ্দিনকে নিতেই হচ্ছে।
দেশি কোচদের উপেক্ষা করে বিদেশি কোচ নিয়োগ দেওয়ায় এদেশের অনেক ক্রিকেট বোদ্ধাই বিসিবি’র কড়া সমালোচনা করেছেন। বিভিন্ন সময়ে তাদের বক্তব্য ও তাদের লেখনিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মুন্ডুপাতও করতে দেখা গেছে। তাদের বক্তব্য একটিই- ‘টুর্নামেন্টটি যেহেতু আমাদের, সেহেতু দেশি কোচ নিয়োগ নিয়োগ দেওয়াই অধিক যুক্তিযুক্ত ছিল।’ কাজেই কোচ নিয়েগে বিসিবি’র সিদ্ধান্তটি প্রশ্নবিদ্ধ থেকেই গেছে।
তবে চাইলে এর মধ্যেও ইতিবাচকতা খুঁজে বের করা সম্ভব। ওই ছয় দলের ৫টিতে বিদেশি প্রধান কোচদের সহকারি হিসেবে যারা থাকবেন সবাই দেশি। যেমন; সিলেটে হার্শেল গিবসের সঙ্গে থাকছেন জাফরুল এহসান। খুলনায় জেমস ফস্টারের সঙ্গে তালহা জুবায়ের, রাজশাহীতে ওয়াইজ শাহ’র সঙ্গে আনোয়ার হোসেন মনির, কুমিল্লায় ওটিস গিবসনের সঙ্গে সোহেল ইসলাম ও রংপুরের মার্ক ও’ডনেল সহকারি কোচের ভুমিকায় থাকছেন মোহাম্মদ বাবুল।
তারা চাইলে বিদেশি কোচদের সান্নিধ্যে থেকে নিজেদের কোচিং দক্ষতা বাড়িয়ে নিতে পারেন। বঙ্গবন্ধু বিপিএল হতে পারে তাদের কোচিং উৎকর্ষতা বৃদ্ধির অন্যতম প্ল্যাটফর্ম।
বঙ্গবন্ধু বিপিএল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন