ভারতের রান মেশিন কোহলি
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৬:০৮
সারাবাংলা ডেস্ক
৬ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে তিনটি সেঞ্চুরি আর একটি হাফ-সেঞ্চুরিসহ ৫৫৮ রান। তিনবার অপরাজিত থাকার পাশাপাশি ব্যাটিং গড় ১৮৬। ৬ ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যানকে চিনতে ভুল হবার কথা নয়। ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির দাপুটে এমন পারফর্ম ক্রিকেট বিশ্বকেই তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
কোহলির হাত ধরেই প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া। সবশেষ সেঞ্চুরিয়নে জয়ের মধ্য দিয়ে ৬ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ৫-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারত।
শেষ ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছেন কোহলি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৫তম সেঞ্চুরি উদযাপনের পাশাপাশি ৬ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়েছেন তিনি। এই সিরিজে খেলেছেন সর্বোচ্চ ১৬০ রানের ইনিংস (অপরাজিত)। আগের রেকর্ডটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার নিকি বোয়ের দখলে। ২০০০-০১ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে নিকি বোয়ে দুটি সেঞ্চুরি আর একটি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৮৮.৭৫ ব্যাটিং গড়ে করেছিলেন ৩৫৫ রান।
এই তালিকায় তিন নম্বরে আরেক ভারতীয় শিখর ধাওয়ান। সদ্য শেষ হওয়া সিরিজেই করেছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩২৩ রান। ৬৪.৬০ ব্যাটিং গড়ে একটি সেঞ্চুরি আর দুটি হাফ-সেঞ্চুরি ছিল তার। ২০০০-০১ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে ৬ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডের মার্কাস ট্রেসকোথিক ৫৩ ব্যাটিং গড়ে করেছিলেন ২১৮ রান।
পাঁচ ও ছয় নম্বরে দুই কিংবদন্তি। পাকিস্তানের সাঈদ আনোয়ার এবং ভারতের রাহুল দ্রাবিড়। সাঈদ আনোয়ার ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে সিলভার জুবলি ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপে ৭৮.৭৫ ব্যাটিং গড়ে ৫ ইনিংসে করেছিলেন ৩১৫ রান। ৫ ইনিংসে ব্যাট করে ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রাহুল দ্রাবিড় করেছিলেন ৭৭.২৫ ব্যাটিং গড়ে ৩০৯ রান।
কয়েকটি নতুন রেকর্ডও গড়েছেন কোহলি। ৩৫তম সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব ধরনের ম্যাচে সবচেয়ে দ্রুত ১৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ১০০ ক্যাচ নেওয়ারও রেকর্ড নিজের দখলে। এছাড়া, দ্বিপক্ষীয় কোনো সিরিজে ৫০০ এর অধিক রান করা একমাত্র ব্যাটসম্যান এখন শুধুই কোহলি। এর আগে ২০১৩-১৪ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে রোহিতের সর্বোচ্চ রান ছিল ৪৯১ রান। এবার প্রথমবারের মতো এক সিরিজে পাঁচশ রানের মাইলফলক ছাড়িয়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেলেন কোহলি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কোহলির ইনিংসগুলো হচ্ছে শুরু থেকে যথাক্রমে ১১২, ৪৬*, ১৬০*, ৭৫, ৩৬ ও ১২৯*।
সারাবাংলা/এমআরপি