এবার থেকে নো বল ডাকবেন তৃতীয় আম্পায়ার
৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:৫৮
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছ ভারত ও উইন্ডিজের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আর এই সিরিজ থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য করতে নতুন এক নিয়মের প্রচলন করতে যাচ্ছে আইসিসি। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল-আইসিসি জানায় ভারত-উইন্ডিজ সিরিজ থেকে বোলারদের ফ্রন্ট ফুট নো বলের সিদ্ধান্ত মাঠের আম্পায়ারদ্বয় নেবেন না। তাদের পরিবর্তে মাঠের বাইরে থাকা তৃতীয় আম্পায়ার এই সিদ্ধান্ত নেবেন।
ভারতের হায়দরাবাদে উইন্ডিজের বিপক্ষের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ থেকেই চালু হচ্ছে এই নিয়ম। তবে এখনই ক্রিকেটের সকল ফরম্যাটে এই নিয়ম চালু হচ্ছে না। কেবল টি-টোয়েন্টি’তে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হচ্ছে এই নিয়ম। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইসিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এখন পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে নতুন এই নিয়ম। বোলারের প্রত্যেকটি বলের ওপর তৃতীয় আম্পায়ার টিভিতে নজর রাখবেন। আর বোলারের পায়ের নো বলের দিকে নজরটাও তারাই রাখবেন।‘
পায়ের নো বলের ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে বল ডেলিভারি দেয়ার সময় বোলারের সামনের পায়ের কিছুটা অংশ হলেও পপিং ক্রিজের দাগের মধ্যে থাকতে হবে। আর এর ব্যতিক্রম হলে সেই বলটিকে নো বল হিসেবে গণনা করা হবে। আর তৃতীয় আম্পায়ার টিভি স্ক্রিনে এবার থেকেই সেটাই দেখবেন।
প্রশ্ন আসতে পারে তৃতীয় আম্পায়ার নো বল দেখতে পেলে কি করবেন? এর উত্তরটাও বিবৃতিতে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে আইসিসি। ‘তৃতীয় আম্পায়ার যদি দেখতে পান ফ্রন্টফুট নো বল হয়েছে, তা হলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে মাঠের আম্পায়ারকে জানিয়ে দিবেন। আর এরপর টিভি স্ক্রিনে বলটি দেখা তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠের আম্পায়ার পরে নো বল ডাকবেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ছাড়া মাঠের আম্পায়াররা নো বল ডাকতে পারবেন না।‘
প্রযুক্তি এখনও শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। আর তাই তো এমনক্ষেত্রের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে আইসিসি । অনেক সময় প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েও বোঝা যায় না বোলারের পা পপিং ক্রিজের দাগের ভেতরে আছে নাকি বাইরে চলে গেছে। সেক্ষেত্রে তৈরি হয় ‘বেনিফিট অব ডাউট’ পরিস্থিতি। এই ব্যাপারে আইসিসি বলছে, ‘যদি পায়ের নো বল নিয়ে কোনো প্রকার সন্দেহ থাকে তাহলে নো বল ডাকা হবে না।‘
চলতি বছরের আগস্ট মাসে আইসিসি সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল নো বল ডাকার ক্ষেত্রে তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। আইসিসি ক্রিকেট কমিটি সুপারিশ করেছেন যত বেশি সম্ভব স্বল্প ওভারের ক্রিকেটে ব্যবহার করতে হবে এই নিয়ম। অবশ্য এই নিয়ম ব্যবহার করলে খেলার মাঠে সময় নষ্ট কম হবে বলেও মনে করছে আইসিসি। কারণ এর আগে মাঠের আম্পায়ার নো বল ডাকতেন, এরপর নিশ্চিত হওয়ার জন্য তৃতীয় আম্পায়ার সেটা কয়েকবার দেখে নিশ্চিত হয়ে সিদ্ধান্ত জানাতেন। তবে এখন থেকে এই দায়িত্ব সরাসরি তৃতীয় আম্পায়ারের হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় কমে আসবে।