প্রত্যাশা অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাই না: মুশফিক
১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৯:২৫
গেল ২১ অক্টোবর ১৩ দফা দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছিলেন লাল সবুজের শতাধীক ক্রিকেটার। এর মধ্যে একটি দফা ছিল বিপিএলে বেতন বৈষম্য। পরে অবশ্য বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের দেওয়া আশ্বাসে তারা সেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছিলেন। কিন্তু মুশফিকুর রহিম কিছুতেই যেন সেই বৈষম্যের যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছেন না।
এর পেছনে কারণটিও তো কম শক্ত নয়। বিপিএল পঞ্চম আসরে আইকন ক্যাটাগরিতে মুশফিকুর রহিমের পারিশ্রমিক ছিল ৫০ লাখ টাকা। পক্ষান্তরে ক্যারিবিয় টর্নেডো ক্রিস গেইল নিয়েছেন ৩ কোটি। তামিম, মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহরাও মুশফিকের সমান পারিশ্রমিকে খেলেছেন। অথচ অ্যালেক্স হেলস ও কাইরন পোলার্ডদের দিতে হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা!
পরিতাপের বিষয় হল, বঙ্গবন্ধু বিপিএলেও এই বৈষম্য অব্যাহত আছে। এবারের বিপিএলে ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে দেশি প্লেয়াররা যেখানে ৫০ লাখ টাকা পাচ্ছেন সেখানে বিদেশিরা পাচ্ছেন ৮৫ লাখ টাকা! কাজেই বিষয়টি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ জানালেন খুলনা টাইগার্স দলপতি।
‘আমরা সবসময় প্রত্যাশা মতো পারিশ্রমিক পাইনা। আমরা সারা বছর খেলি, তারপরও দেখা যায় অনেকের থেকে আমরা কম পাচ্ছি যারা শুধু টি টুয়েন্টি খেলে। এটা আমাদের জন্য ডিসক্রেডিট। বিশ্বে সব লিগে কিন্তু লোকাল খেলোয়াড়রা বেশি পারিশ্রমিক পান। আমরা নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছি, তারা সেভাবে আশ্বস্তও করেছেন। পরে থেকে বেতন বা ভাতা আমরা ঠিকঠাক পাবো বলে আশা করি।’
‘আমাদের নিজেদের খেলার মানটাও বাড়াতে হবে। আমি আশা করবো আমরাও যাতে এবার ভাল খেলা দেখাতে পারি যাতে করে আমাদের বেতনটা বৃদ্ধি পায়। আর পারিশ্রমিক বেশি হলেই যে আপনি টিম পাবেন তা নয়। এবছর দেখেন অনেক ভাল ভাল খেলোয়ারও টিম পাননি। আমার মনে হয় সে দিকটা বিবেচনা করেই আমাদের এগুলো ঠিক করা উচিত। এবছরের বিপিএলটা সবার জন্য অনেক চ্যালেন্জিং , আমার জন্যও চ্যালেন্জিং।’ যোগ করেন মুশফিক।