এসএ গেমস থেকে খালি হাতে ফিরল যারা
১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:৩২
ঢাকা: আনুষ্ঠানিকভাবে ১৩তম এসএ গেমসের পর্দা নেমেছে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর)। স্বর্ণজয়ের রেকর্ড ছাড়িয়ে এবার সর্বোচ্চ ১৩৮টা পদক পেয়েছে বাংলাদেশ। ক্রিকেট, আর্চারি, কারাতে, ভারোত্তলন, তায়কোয়ান্দো ও ফেন্সিংয়ে ১৯ স্বর্ণ জয়ের সাফল্য দেখে পুরো বাংলাদেশ। প্রদীপের নিচে অন্ধকারটা অনেকের চোখে পড়েনি এই সাফল্যের উল্লাসে।
সর্বমোট ২৫টি ডিসিপ্লিনে অংশ নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ১৯টা স্বর্ণ, ৩২টা রৌপ্য ও ৮৭টা ব্রোঞ্জসহ সর্বমোট ১৩৮টা পদক বাংলাদেশের ঝুলিতে। এতো এতো পদকের মাঝেও যেন হাহাকার ধ্বনি প্রতিধনিত হচ্ছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে।
এর জন্য যা করতে হবে তাহলো ২৫ ডিসিপ্লিনের মধ্যে আপাততভাবে আর্চারিকে বাদ দিলেই করুণ চিত্রের কিছুটা আঁচ পাওয়া যেতে পারে।
শুধু আর্চারি ডিসিপ্লিনটা সরিয়ে রাখলে যেন ‘শূন্যতা ঘেরি’ অবস্থা। ১৯ স্বর্ণের ১০টা যে এসেছে শুধু আর্চারি থেকেই। আর্চারি বাদে বাকী ২৪ ডিসিপ্লিন থেকে মাত্র ৯টা স্বর্ণ জয়লাভ করে বাংলাদেশ। নয়টি স্বর্ণের ক্রিকেটে দুটি, কারাতে তিনটা, ভারত্তোলন দুটি, ফেন্সিং ও তায়কোয়ান্দো থেকে একটি করে স্বর্ণ এসেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই আসরে স্বর্ণ পায়নি দেশের ১৯টা ডিসিপ্লিন।
সাত দেশের এই টুর্নামেন্টে একটা পদকও পায়নি এমন তালিকাটাও নেহাত কম নয়। ৫টি! এসএ গেমস থেকে একেবারে শূন্য হাতে দেশে ফিরেছে বাস্কেটবল, ভলিবল, সাইক্লিং, লং টেনিস ও স্কোয়াশ। ২টি ব্রোঞ্জ পদক মিলেছে টেবিল টেনিসের ঘরে। আর একটি করে ব্রোঞ্জ পদক পেয়ে খালি ঘরে একটু সান্ত্বনা পুরস্কার পেয়েছে হ্যান্ডবল ও ব্যাডমিন্টন ও ফুটবল। দেশের জনপ্রিয় ফুটবল ইভেন্টে তো মেয়েদেরই পাঠায়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। জামাল ভূঁইয়ারা হতাশা নিয়েই দেশে ফিরেছে।
১ থেকে ১০ ডিসেম্বর চলা এই এসএ গেমসের জন্য অন্তত ছয়মাস আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করেছিল ফেডারেশনগুলো। মুদ্রার এপিঠ যখন দেখেছে কিছু ফেডারেশন তেমনি ওপিঠই দেখেছে।