Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঐতিহ্য ধরে রেখেছে রান প্রসবা জহুর আহমেদ


১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:৫৩

বিপিএল চট্টগ্রামে মানেই যেন সত্যিকারের ক্রিকেটীয় উৎসব। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিনোদন বলতে যা বোঝায় তার দেখা যেন এখানে এলেই মেলে। রান উৎসবের অনাবিল সেই আনন্দে অযুত দর্শকের সঙ্গে অবগাহন করেন ক্রিকেটাররাও।

কারণটিও তো পানির মত পরিষ্কার। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম বরাবরই রান প্রসবা। এখানকার উইকেট দু’হাত ভরে ব্যটসম্যানদের রান উপহার দেয়। বিপিএলের প্রতি আসরেই সাগর পাড়ের এই ভেন্যুতে রানের নহর ছোটে। প্রতি আসরের রান উৎসবের সেই ধারাবাহিকতা বঙ্গবন্ধু বিপিএলেও ধরে রেখেছে বন্দর নগরীর এই ভেন্যু।

বিজ্ঞাপন

উদাহরণ হিসেবে গতকালের দিনের শেষ ম্যাচটিকেই ধরা যাক না।  যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ২২১ রান। রান তাড়ায় অবশ্য ঢাকাও কম যায়নি। বারুদ ব্যাটে শেষ পর্যন্ত স্কোর বোর্ডে ২০৫ রান তুলল। এক ম্যাচেই এসেছে ৪২৬ রান। বিপিএলের সব আসর মিলিয়ে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড এটিই।

এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দুরন্ত রাজশাহীর ২১৩ রানের জবাবে বরিশাল বার্নার্স করেছিল ২০৯। সেই ম্যাচে রান হয়েছিল মোট ৪২২।

দলীয় সর্বোচ্চ রান তালিকায় তিনেও চট্টগ্রামের এই ভেন্যু মাঠ। বিপিএলের গত আসরে জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও খুলনা টাইটানসের ম্যাচে হয়েছিল মোট ৪০৬ রান। কুমিল্লা  ভিক্টেরিয়ানস চড়েছিল ২৩৭ রানের পাহাড়ে। পক্ষান্তরে  খুলনা গুটিয়েছিল ১৫৭ রানে।

পরের সর্বোচ্চ ম্যাচটির ভেন্যু ছিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। সেটাও ওই গেল বিপিএলের ঘটনা। দুই ইনিংসে মোট ৪০২ রানের এই ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের ২১৪ রানের জবাবে খুলনা টাইটানস স্কোর বোর্ডে তুলেছিল ১৮৮ রান।

বিজ্ঞাপন

১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া চট্টগ্রাম পর্বের ৪ ম্যাচের তিনটিতেই এসেছে ১৮০ উর্ধ্বো রান। মাত্র একটি ম্যাচ ১৩০ রানের স্কোর দেখেছে।  গতকাল অবধি ম্যাচ প্রতি গড় ১৮০.৫ রান।

পক্ষান্তরে মিরপুর শের-ই-বাংলার উইকেটে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শুরুটা হয়েছিল মাঝারি সংগ্রহ দিয়ে। উদ্বোধনী দিনের দুই ম্যাচে এসেছিল ১৬৩ ও ১৭৩ রান। সময় গড়ানোর সাথে সাথে উইকেট হয়ে উঠল আরো বন্ধ্যা! পরের টানা তিন ম্যাচে এল ১৩৬, ১৪৪ ও ৯৫ রান!

তবে প্রথম পর্বে ঢাকার দর্শকদের কিঞ্চিৎ বিনোদন উপহার দিতে পেরেছিল যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনের দুটি ও খুলনা টাইগার্সের একটি ম্যাচ। এই তিন ম্যাচের দুটিতে ঢাকার সংগ্রহ ছিল ১৮০ ও ১৮২ রান। আর রাজশাহী রয়্যালসের ১৯০ রান তাড়া করে জিতেছিল খুলনা টাইগার্স।

ঢাকার প্রথম পর্বে আট ম্যাচে রান গড় ১৫৭.৫০ করে।

বিপিএল গেল আসরের শুরুতেও মিরপুর শের-ই-বাংলার রান গড় ছিল নিদারুণ দীনতায় ভরা। সেবার চট্টগ্রাম পর্ব শুরু হওয়ার আগে ঢাকায় মোট ১৮ ম্যাচে রান এসেছিল ২৭৬১টি। যেখানে ম্যাচ প্রতি গড় রান ছিলো ১৫৩.৩৮।

কাজেই রান উৎসবের বিচারে সবসময়ই এগিয়ে চট্টলা।

বিপিএল চলতি আসরে চট্টলার জহুর আহমেদে ম্যাচ বাকি আরো ৬টি। প্রতিবারের মত এবারের শুরুর রান উৎসবের ধারাবাহিকতা শেষের ম্যাচগুলোতেও সাগারিকা উপহার দেবে, সেই প্রত্যাশা নিশ্চয়ই অমুলক নয়।

ছবিঃ শ্যামল নন্দি

চট্টগ্রাম পর্ব জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়াম বঙ্গবন্ধু বিপিএল যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন স্পোর্টস স্পেশাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর