ব্রাদার্সকে হারিয়ে মিশন শুরু করেছে কিংস
১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:০৫
কাগজে-কলমে সবচেয়ে শক্তিশালী দল বসুন্ধরা কিংস চলতি টিভিএস ফেডারেশন কাপের মিশন শুরু করেছে জয় দিয়ে। এটা তাদের দ্বিতীয় মৌসুম। এর আগের মৌসুমে রানার্সআপের বেদনা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিলো কিংস শিবিরকে। এবার ট্রেবল জয়ের টার্গেট নিয়ে মাঠে তল্পিতল্পাসহ নেমেছে বসুন্ধরা। সেই লক্ষ্যে মৌসুমের প্রথম ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে কলিনড্রেসরা।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যায় ‘বি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে লেবাননের মোহাম্মদ জালালের কাছ থেকে।
ম্যাচের প্রথমার্ধে যখন বসুন্ধরার আক্রমণ একের পর এক আছড়ে পড়েছে ব্রাদার্সের অর্ধে। বড় জয়টা সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছিল তখন। তবে পরের অর্ধে রঙ হারালো বসুন্ধরা কিংস, প্রথমার্ধে একের পর এক গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে শেষদিকে নিজেদের জন্য ম্যাচটা কঠিনই বানিয়ে ফেলেছিল তারা। শেষ পর্যন্ত তাই এক গোলের জয় দিয়ে ফেডারেশন কাপ শুরু করেছে গতবারের রানার্স আপরা।
প্রথমার্ধে ব্রাদার্সের ওপর দিয়ে রীতিমত বুলডোজার চালিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। অবশ্য এরপরও প্রথমার্ধে একটির বেশি গোল পাওয়া হয়নি বিপিএল চ্যাম্পিয়নদের। ২৩ মিনিটে দানিয়েল কলিনদ্রেসের থ্রু পাস ধরে ব্রাদার্সের ডিফেন্স লাইন ফাঁকি দিয়ে বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েছিলেন জালাল কেদু। ডান পায়ে কোনাকুনি শটে গোল পেয়ে যান লেবানিজ স্ট্রাইকার। অবশ্য কেদুর শটটা তেমন জোরালো ছিল না, ভুলটা করেছেন ব্রাদার্স গোলরক্ষক তিতুমীর চৌধুরী, ঠিকমতো বল গ্রিপ করতে পারেননি তিনি।
দানিয়েল কলিনদ্রেস, জালাল কেদু, আখতাম নাজারোভদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বসুন্ধরার হয়ে নেমেছিলেন আর্জেন্টাইন নিকোলাস দেলমন্তে। প্রথম ম্যাচেই গোল পেয়ে যেতে পারতেন তিনি। দারুণ এক হেডে বল জালে জড়ালেও রেফারির সেই গোল বাতিল করেছেন গোলরক্ষককে করা ফাউলের জন্য।
বিরতির আগেই কেদু নিজে পেয়ে যেতে পারতেন হ্যাটট্রিকও। একবার বারপোস্টে লেগেছে তার শট, আরেকবার ফাঁকায় থেকেও গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন তিনি বাইরে হেড করে। বারপোস্টে লেগে গোলবঞ্চিত হয়েছেন মতিন মিয়াও। রবিউল হাসান, মোহাম্মদ ইব্রাহিমরা একাদশে না থাকলেও মতিন মিয়া নিজের স্বভাবসুলভ খেলাটাই খেলার চেষ্টা করে গেছেন পুরোটা সময়ে।
দ্বিতীয়ার্ধেও খেলা গড়িয়েছে একই ধারায়। এবার অবশ্য তিতুমীর গোলবারে বাঁশের কেল্লা গড়ে বেশ কিছুক্ষণ আটকে রেখেছিলেন বসুন্ধরাকে। ৫৯ আর ৬০ মিনিটে প্রথমবার দেলমন্তে আর পরেরবার কলিনদ্রেসের শক্তিশালী শট আটকে দেন ব্রাদার্স গোলরক্ষক। তাতে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও খুঁজে পায় ব্রাদার্স। পুরো ম্যাচ ঘুমিয়ে কাটানো ব্রাদার্সের সেটা পুঁজি করেই দারুণ দুইটি সুযোগ পেয়েছিল।
ফ্রি-কিক থেকে কিংসলে চুগোজি দূরের পোস্টে ফাঁকায় থেকেও লক্ষ্য মারতে ব্যর্থ হন। কিছুক্ষণ পর মেজবাহ উদ্দিন হাতছাড়া করেন আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ। আনিসুর রহমান জিকোর সঙ্গে ওয়ান অন ওয়ান পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি বলের ওপর, তাই শটও করতে পারেননি। নইলে বসুন্ধরাকে বড়সড় আঘাত করে বসতে পারত ব্রাদার্স।
এ জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে গেলো কিংস। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। এদিকে কোয়ার্টার ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে ২২ ডিসেম্বর নিজেদের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারাতেই হবে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে।
চট্টগ্রাম আবাহনী ফেডারেশন কাপ বসুন্ধরা কিংস ব্রাদার্স ইউনিয়ন