রেকর্ড গড়া হলো না ওয়ারিয়র্সের, জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো চট্টগ্রাম
২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:০৩
সাগরিকায় কুমিল্লার সামনে রেকর্ড দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সেই রেকর্ডের জবাবে ৭ উইকেটে ২২২ রানেই থেমে গেছে কুমিল্লার ইনিংস। ফলে ১৬ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইমরুল কায়েসের দল।
পাহাড়সম ২৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২১ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় কুমিল্লা। থিতু হতে পারেননি সাব্বির রহমানও। ব্যক্তিগত ৫ রানে মেহেদী হাসান রানার এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। ফলে নিমিষেই ৩২ রানে ৩ ব্যাটসম্যান গায়েব কুমিল্লার।
দ্রুত উইকেট হারিয়ে দলের হাল ধরতে এগিয়ে আসেন ডেভিড মালান এবং ইয়াসির আলি। তাদের ৫৮ রানের জুটি ভাঙে রুবেল হোসেনের কারণে। দলীয় ৯০ রানে নুরুল হাসানের হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়েন ইয়াসির আলি।
এরপর শানাঙ্কাকে সাথে নিয়ে উইকেটে থিতু হয়ে বসা মালান তুলে নেন নিজের অর্ধশতক। সেই সাথে চালাতে থাকেন ব্যাটিং তাণ্ডব। রানের তুবড়ি ছুটাতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু ৮৪ রানে তাকে থামিয়ে দেন মেহেদী হাসান রানা। ৩৭ বলে ৮৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন মালান।
মালানের বিদায়ে দলকে এগিয়ে নেবার গুরুভার পড়ে শানাঙ্কার ওপর। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে সচল রাখেন রানের চাকা। কিন্তু আবাধ্য সেই চাকায় গতিরোধকের মতো বাঁধ সাধেন মুক্তার আলি। ২১ বলে ৩৭ করা দাসুন শানাঙ্কাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরত পাঠান এই বোলার।
কুমিল্লার শিবিরে ৭ম আঘাত হানেন উইলিয়ামস। ত্রাস হয়ে দাঁড়ানোর আগেই অঙ্কনকে ফেরান ১৩ রানে। অঙ্কনের সাজঘরে ফেরার সাথে সাথেই এক প্রকারে শেষ হয়ে যায় কুমিল্লার রেকর্ড গড়ার প্রচেষ্টা। এরপর ব্যাট করতে এসে ব্যাটসম্যানরা শুধু কমিয়েছেন পরাজয়ের ব্যবধানটুকুই।
শেষতক সফরকারীদের ইনিংস থামে ২২২ রানে। বিনিময়ে তাদের দিতে হয় ৭ উইকেট। ফলে ১৬ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ওয়ালটন, ইমরুল, ফার্নান্দো ঝড়ে ২৩৮ রান সংগ্রহ করে। এটি এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
ছবি: শ্যামল নন্দী
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বনাম সিলেট থান্ডার্স বঙ্গবন্ধু বিপিএল ২০১৯ রেকর্ড রান