দুই উইন্ডিজের ব্যাটিং তাণ্ডবে রানের পাহাড় দাঁড় করিয়েছে সিলেট থান্ডার। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় মুখোমুখি হয় খুলনা টাইগার এবং সিলেট থান্ডার। জনসন চার্লসের টর্নেডো ৯০ আর আন্দ্রে ফ্লেচারের ঝড়ো শতকে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩২ রান সংগ্রহ করে সিলেট। এটি বিপিএলের চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আর চলতি বিপিএলের তৃতীয় সর্বোচ্চ।
এর আগে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। আর শুরু থেকেই বোলারদের ওপর চড়াও হয় সিলেটের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার। ইনিংসের প্রথম ওভারেই আব্দুল মজিদের (২) উইকেট হারায় সিলেট। তবে এরপরই যেন আরও বেশ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে সিলেট।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জাতীয় দলের দুই সতীর্থ জনসন চার্লস এবং আন্দ্রে ফ্লেচার মিলে গড়েন ১৫০ রানের জুটি। এটি বিপিএলের ইতিহাসের ৭ম সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর মধ্যে ১১টি চার, ৫টি ছয়ে ৩৮ বলে ৯০ রান করে শহিদুল ইসলামের শিকার হয়ে জনসন ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
সিলেটের হয়ে ব্যাট হাতে বিদেশীরা চড়াও হলেও একেবারের নিষ্প্রভ ছিলেন দেশি ব্যাটসম্যানরা। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মজিদের পর মোহাম্মদ মিঠুন ফেরেন মাত্র ৩ রানে। মিঠুন ফিরলেও এক প্রান্তে আঁকড়ে পড়ে থাকেন ফ্লেচার। এরপর মোসাদ্দেক হোসেন চেষ্টা করেছিলেন ফ্লেচারকে সঙ্গ দিতে তবে তিনিও ফেরেন ব্যক্তিগত মাত্র ১১ রানে।
অন্যদের যাওয়া আসার ভিড়েও ব্যাট ঘোরাতে থাকেন ফ্লেচার। আর সেই সঙ্গে নিজের শতকের পাশাপাশি সিলেট থান্ডারকে এনে দেন বিপিএলের ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ৫৭ বলে ১১টি চার, ৫টি ছয়ে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন আন্দ্রে ফ্লেচার। আর সেই সঙ্গে চলতি বিপিএলের প্রথম ব্যক্তিগত শতকও তুলে নেন।
খুলনার হয়ে ৪ ওভারে ৩৭ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন রবি ফ্রাইলিংক, এছাড়া ৪ ওভারে ৪৮ রান খরচে একটি উইকেট তুলে নেন শহিদুল ইসলাম। শফিউল ইসলাম নিজের কোটার ৪ ওভারে ৪৪ রানের খরচায় নেন একটি উইকেট। আর তাতেই খুলনা টাইগার্সের সামনে ২৩৩ রানের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায়। চলতি বিপিএলে এর আগে নিজেদের তিন ম্যাচের সবক’টিতে জয় নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে খুলনা। অন্যদিকে এই ম্যাচের আগের চার ম্যাচের সবক’টিতে হেরে তলানিতে থাকা রংপুর রেঞ্জার্সের ঠিক ওপরে অবস্থান করেছে সিলেট থান্ডার।
ছবি: শ্যামল নন্দী