আমেরিকান রিভেরার জোড়া গোলে আরামবাগকে হারালো পুলিশ
২১ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:০৮
ঢাকা: একদিকে বাস্তবতার কাছে নতি স্বীকার করতে হয়েছে আরামবাগ ক্রীড়া চক্রকে। মতিঝিল পাড়ার ক্লাবটি এবার ক্যাসিনো কাণ্ডের ঝড়ে কোনরকমে দল গঠন করে মাত্র তিন থেকে চারদিন অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছে ফেডারেশন কাপকে সামনে রেখে। অন্যদিকে দেশে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নবাগত ক্লাব বাংলাদেশ পুলিশ এফসি দারুণ দল গড়েছে। যদিও ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রথম ম্যাচটি আবাহনীর কাছে ধরাশায়ী হতে হয়েছে বিশাল ব্যবধানে। অবশ্য দ্বিতীয় ম্যাচেই নড়বড়ে আরামবাগকে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ পুলিশের দলটি।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) অনেকটা বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নেমেছিল পুলিশ। প্রথম ম্যাচে হেরে ব্যাকফুটে যাওয়া পুলিশের সামনে সমীকরণটা এমন ছিল ‘আরামবাগকে হারাতে হবে ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টারে যেতে’। প্রাথমিকভাবে সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে নিকোলা ভিটোরোভিচের দল।
আরামবাগকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে এক ধাপ এগিয়ে গেছে তারা। জোড়া গোল করেছেন আমেরিকান সিডনী রিভেরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই অগোছালো আরামবাগের উপর আধিপত্য বজায় রেখে খেলেছে পুলিশ এফসি। প্রথমার্ধেই লিড নেয় আরামবাগ। কর্নার কিক থেকে ৩২ মিনিটে রিভেরার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরার সুযোগ তৈরি করে আরামবাগ। কমলের কর্নার কিক থেকে মাইকেলের হেড চলে যায় বারের উপর দিয়ে।
ম্যাচে ৮২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে পুলিশ। এবার নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সিডনি রিভেরা। অবশ্য ৮৯ মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে আশার প্রদীপ জ্বালায় আরামবাগ। গোল করেন বদলি হিসেবে নেমে জাকির হোসেন জিকু।
অবশ্য এই ব্যবধান কমানোটা ছিল শুধুই সান্ত্বনার। ম্যাচের অতিরিক্ত মিনিটে আরামবাগ শিবিরে জয়ের শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়ে ৩-১ ব্যবধান করে ফেলে পুলিশের স্বাধীন। রিভেরার পাস থেকে গোল করে স্থানীয় এই আক্রমণভাগের ফুটবলার।
এমন জয়ে অবশ্য খুশি পুলিশের কোচ নিকোলা, ‘আমরা গোল খেয়েছি। খুশি না। বাট ওভারলি আমরা খুশি। আমাদের দু’জন স্ট্রাইকারই ভাল। লুকা আনলাকি। বলটা বারে লেগে ফিরে এসেছে।
আরামবাগের এমন রেজাল্টে হতাশ হলেও আশাবাদী কোচ শেখ শেখ জাহিদুর রহমান মিলন, ‘চার দিন হইলো আমরা প্রাকটিস করেছি। আমরা চেষ্টা করছি সেভ করার। তিনটা বাজে গোল খেয়েছি। তিন চারদিনের প্রাকটিসে কম্বিনেশন হয় না। আমরা আশাবাদী।’
আশাবাদী হলেও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখেই আরামবাগ। বলতে গেলে অসম্ভব কাজটাই করতে হবে তাদের। হারাতে হবে নিজেদের শেষ ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীকে। অবশ্য আরামবাগ কোচের মুখে বাস্তবতাই এলো- ‘কঠিন হবে’।