Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বছর শেষে বিশ্ব ফুটবল: রেকর্ড, বর্ণবাদে বিতর্কিত-২০১৯


৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:০০

ফুটবল ‘দ্য গ্রেটেস্ট স্পোর্টস অন আর্থ’! ইন্টারনেট দুনিয়া বলছে পৃথিবীতে প্রায় ৪শত কোটি মানুষ ফুটবল ভক্ত। তাই তো দেশে বিদেশে যেখানে যখনই ফুটবল নিয়ে কোনো টুর্নামেন্ট কিংবা লিগ চলে বিশ্বের সব স্থানে তা নিয়ে চলে আলোচনা সমালোচনা। আর তাই তো এই খেলাকেই গ্রেটেস্ট স্পোর্টস অন আর্থ বলেই ডাকা হয়।

শেষ হচ্ছে ডিসেম্বর, অর্থাৎ আরও একটি বছরের সমাপ্তি। ইতি টানতে চলেছে আরও একটি ফুটবলীয় ক্যালেন্ডার বছর। এ বছরেও ফুটবলকে ঘিরে ঘটেছে আনন্দের, দু:খের মুহূর্ত। সেই সঙ্গে ছিল বিতর্ক আর রেকর্ড গড়া বছরও।

বিজ্ঞাপন

এ বছর ফুটবল যেমন দেখেছে নানান রেকর্ড সেই সঙ্গে দেখেছে বিশ্ব জুড়ে সংগঠিত হওয়ার বর্ণবাদও। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও ফুটবলার শিকার হতে হচ্ছে বর্ণবাদের। যার জন্য নিষেধাজ্ঞায় পড়তে দেখা গেছে ক্লাবের সমর্থকদের। সেই সঙ্গে ক্লাবকেও গুনতে হয়েছে জরিমানা। আর সমর্থকরা দেখেছেন জেলের মুখও। তবুও যেন শেষ হচ্ছে না বর্ণবাদের এই জঘন্যতা। বছরের শেষভাগে অবশ্য এই আগুনে যেন ঘি ঢেলে দিয়েছে ইতালিয়ান সিরি আ আয়োজক কমিটি।

         

বছর জুড়ে অবশ্য কেবল এসব নিয়েই শেষ হয়নি। ইতিহাসের প্রথম কোনো ডিফেন্ডার হিসেবে উয়েফার বর্ষসেরা ফুটবলারের তকমা জিতেছেন নেদারল্যান্ডস এবং লিভারপুলের ডিফেন্ডার ভার্জিল ভ্যান ডাইক। ২০১০-২০১১ মৌসুমে প্রথমবারের মতো উয়েফার বর্ষসেরা ফুটবলারের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে উয়েফা। এরপর পাঁচজন ভিন্ন ভিন্ন ফুটবলার হিসেবে এই অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন লিওনেল মেসি, আন্দ্রে ইনিয়েস্তা, ফ্র্যাঙ্ক রিবেরি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং লুকা মদ্রিচ।

তবে চলতি বছরের আগ পর্যন্ত কোনো ডিফেন্ডার জেতেনি এই অ্যাওয়ার্ড। তবে নতুন করে ইতিহাস লিখলেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক। লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো হেভিওয়েট ফুটবলারদের পেছনে ফেলে জিতে নিলেন এই অ্যাওয়ার্ডটি।

বিজ্ঞাপন

ব্রাজিলের এক যুগের আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়ের অপেক্ষার অবসানও ঘটেছে এ বছরে। ২০১৯ সালের জুন মাসে লাতিন আমেরিকার সর্বোচ্চ ফুটবল টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকার ৪৬তম আসর বসে এই দেশটিতে। আর এই টুর্নামেন্টটি তাঁরা শেষবার জিতেছিল ২০০৭ সালে। এরপর এক যুগ পেরিয়ে গেলেও অধরাই রয়ে গিয়েছিলো এই শিরোপার স্বাদ। অবশ্য শিরোপা তো পরের বিষয়, এই টুর্নামেন্টের সেমি ফাইনালেও খেলতে পারেনি সেলেসাওরা। শেষ পর্যন্ত সেই অপেক্ষার অবসান ঘটেছে ঘরের মাঠেই। এক যুগ পর ব্রাজিলকে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের মুকুট এনে দিয়েছেন অধিনায়ক দানি আলভেজ।

তবে এই টুর্নামেন্ট জুড়েও ছিল বিতর্কের করালঘাত। সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরে বেশ ক্ষেপে ওঠেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তী ফুটবলার এবং বর্তমান সময়ের ফুটবল মহাতারকা লিওনেল মেসি। অভিযোগ করে বসেন দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা কনমেবল ব্রাজিলকে কোপা আমেরিকা জেতানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে এবং সেই সাথে তাদের পক্ষপাতিত্বও করছে। সেই সাথে রেফারির পক্ষপাতিত্ব নিয়ে অভিযোগ তোলেন মেসি।

সব মিলিয়ে বেশ বড়সড় এক বিতর্কের সৃষ্টি হয় কোপা আমেরিকার এই আসরে। শেষ পর্যন্ত কনমেবলকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সম্মুখে এমন মন্তব্য করে তিন মাসের জন্য আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ হন এই তারকা খেলোয়াড়। আর সেই সঙ্গে গুনতে হয় ৫০ হাজার ইউরো জরিমানাও।

শেষ পর্যন্ত পেরুকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় স্বাগতিকরা। টুর্নামেন্ট জুড়ে ৩ গোল করায় সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পান ব্রাজিলের এভারটন, টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ পারফরম্যান্স করায় ব্রাজিল দলের অধিনায়ক দানি আলভেজ জেতেন টুর্নামেন্ট সেরা ফুটবলারের অ্যাওয়ার্ড।

৪৬তম কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্ট যেন কেবল ব্রাজিলময় টুর্নামেন্ট ছিল। পুরো টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্লিনশিট রাখায় সেরা গোলরক্ষকের তকমা জিতে নেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। আর শেষ পর্যন্ত তিতের শিষ্যদের ঝুলিতে যুক্ত হয় ৯ম কোপা আমেরিকা।

কোপা আমেরিকা থেকে ইউরোপের ফুটবলের দিকে চোখ রাখলে দেখা মিলবে ইউরোপে এ বছরেও সর্বোচ্চ সফল ব্যক্তিগত ফুটবলার ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ইতালি থেকে জুভেন্টাসের হয়ে জিতেছেন সিরি আ এবং নিজ দেশের হয়ে জিতেছেন উয়েফা নেশন লিগ। প্রথমবারের মতো উয়েফা নেশনস লিগ আয়োজন হয় ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে। আর তাতে করে বৃদ্ধি পেয়েছে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে আয়োজিত ম্যাচগুলোর গুরুত্বও।

২০১৮ সালে শুরু হওয়া উয়েফা নেশন লিগের শিরোপা শেষ পর্যন্ত যায় পর্তুগালের ঘরেই। ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় পর্তুগাল। আর এই নিয়ে রোনালদোর আন্তর্জাতিক শিরোপাও জয় হলো দু’টি। সব মিলিয়ে দারুণ সময় পেরিয়েছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আন্তর্জাতিক ফুটবল বছর। তবে ব্যক্তিগত ভাবে বেশ পিছিয়ে পড়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। জিততে পারেননি ব্যক্তিগত কোনো শিরোপাই। উয়েফা সেরা ফুটবলারের অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক আর ফিফা দ্য বেস্ট ও ব্যালন ডি’অর জিতেছেন লিওনেল মেসি।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ফুটবলের দিক বিবেচনা করলে বেশ বাজে সময় পার করলেও ব্যক্তিগত দিক দিয়ে অসাধারণ এক মৌসুম কাটিয়েছেন লিওনেল মেসি। নামের পাশে যুক্ত হয়েছে ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর আর প্রথম ফিফা দ্য বেস্ট অ্যাওয়ার্ডটি। এত দিন ধরে ব্যক্তিগত সকল শিরোপা জয় করলেও অধরা রয়ে গিয়েছিল ফিফা দ্য বেস্ট অ্যাওয়ার্ডটি। তবে এবার ধরা দিয়েছে সেই শিরোপাটি। নামের পাশে ৪৬ পয়েন্ট যোগ করে লিওনেল মেসি জিতে নিয়েছেন ফিফা দ্য বেস্ট। দ্বিতীয়স্থানে থাকা ভার্জিল ভ্যান ডাইক পেয়েছেন ৩৮ পয়েন্ট আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জিতেছেন ৩৬ পয়েন্ট।

এছাড়া তিন বছর পর ব্যালন ডি’অরের অ্যাওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করেছেন লিওনেল মেসি। ২০১৬, ২০১৭ তে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং ২০১৮ তে লুকা মদ্রিচের কাছে হাতছাড়া করেছিলেন ব্যালন ডি’অর। এর মধ্যে ২০১৮ সালে জায়গা করে নিতে পারেননি সেরা তিনের মধ্যেও। তবে এবার ঠিকই জিতে নিয়েছেন ব্যালন ডি’অর। গড়েছেন নতুন রেকর্ডও। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ছয়টি ব্যালন ডি’অর জিতে নিয়ে অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন এই তারকা খেলোয়াড়।

ব্যক্তিগত দিক দিয়ে লিওনেল মেসি যতটা না দারুণ মৌসুম কাটিয়েছেন দেশ এবং ক্লাবের হয়ে ঠিক ততটাই খারাপ সময় পার করেছেন তিনি। যদিও স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে লা লিগা জিতলেও হাতছাড়া হয় উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং কোপা দেল রে’র শিরোপা।

আর ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের সব থেকে সম্মানজনক শিরোপা জয় করে আবারও ইউরোপ শাসনের বার্তা জানিয়ে দেয় লিভারপুল। শেষ ২০০৫ সালে এসি মিলানকে হারিয়ে ইউরোপ সেরার মুকুট জয় করেছিল অলরেডরা। আর এরপরেই যেন অলরেডদের কালো অধ্যায়ের শুরু হয়। ধীরে ধীরে ইউরোপের জায়ান্ট তকমাও মুছে যেতে শুরু করে। তবে জার্মান কোচ ইয়্যুর্গেন ক্লপের অধীনে আবারও নিজেদের ফিরে পায় লিভারপুল।

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনার ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যু’তে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হেরে বসে অলরেডরা। আর সেখানেই অনেকে দেখে ফেলেন অলরেডদের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্ন। তবে তখনও অনেক পথ পাড়ি দেওয়া বাকি।

অলরেড সমর্থকরা প্রায়ই বলে থাকেন, ‘অ্যানফিল্ডের ৯০ মিনিট বড় লম্বা সময়।’ সে কথার বাস্তব প্রমাণ যেন বার্সেলোনাকে দেখালো লিভারপুল। বার্সেলোনাকে গুনে গুনে চার গোল দিয়ে ছিটকে দিল চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে টটেনহ্যাম হটস্পার্সকে উড়িয়ে দিয়েই ১৪ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতে নেয় লিভারপুল।

ফুটবলের সোনালী পাতাতে কালিমা লাগানো এক অক্ষর বর্ণবাদ। গ্রেটেস্ট স্পোর্টস অন আর্থে বছরের শেষভাগে এসে বেশ ভালো ভাবেই দাগ কেটেছে এই বর্ণবাদী আচরণ।  যা নষ্ট করছে ফুটবলের সৌন্দর্য। যদিও ইউরোপিয়ান ফুটবলে এটি নতুন কিছু নয়। তবে এবছরটা যেন আরও বেশি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে এই বর্ণবাদ। যার জের ধরে ইংলিশ ক্লাব চেলসিকে জরিমানা করেছে উয়েফা। সেই সঙ্গে জেলের মুখ দেখতে হয়েছে সমর্থককেও।

তবে এসব কিছুর মাত্রা যেন ছাড়িয়ে গেছে ইতালিতে। কেবল সমর্থকরাই নয়; ইতালির বর্ণবাদে যুক্ত হয়েছে সে দেশের পত্রিকাও। দেল্ল স্পোর্টস নামে ইতালির এক পত্রিকা শিরোনাম করে বসে দ্যা ব্ল্যাক ফ্রাইডে নামে। আর সেই সঙ্গে পত্রিকার প্রথম পাতাতেই যুক্ত করা হয় কালো ফুটবলারদের ছবিও। তাতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পুরো ফুটবল বিশ্ব। এরপর অবশ্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয় ওই পত্রিকা। এখানে শেষ হলেই হয়তো বিশ্ব ফুটবল খুশি হতো। কিন্তু না তা আসলে সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত তালিকায় নিজেদের নাম যুক্ত করে ইতালিয়ান সিরি আ নিজেই।

বর্ণবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের দাঁড় করাতে কার্টুন আঁকে তারা। আর সেখানে ছবি হিসেবে ব্যবহার করে শিম্পাঞ্জীর ছবি। আর এ যেন বর্ণবাদ রুখে দেওয়া নয়; বরং বর্ণবাদকে আরও উৎসাহিত করা। আরও একবার সোচ্চার ফুটবল বিশ্ব। আরও একবার ক্রোধের রোষানলে ইতালিয়ান ফুটবল। ফলে শেষটা গিয়ে দাঁড়াল সেই বর্ণবাদেই।

তবে শেষভাগে এসে আরও এক রেকর্ডে নিজেদের নাম জড়িয়েছে লিভারপুল। দীর্ঘ ১০৯৯ দিনের পর রিয়াল মাদ্রিদের কাছ থেকে বিশ্বসেরার ক্লাবের মুকুট ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। আর প্রায় ৫ বছর পর স্পেনের বাইরে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা নিয়ে গেছে লিভারপুল। সেই সঙ্গে পাঁচ বছর পর ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপাও ইংল্যান্ডে যাচ্ছে লিভারপুলের জয়ের মধ্য দিয়েই। সেই সাথে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত থেকে গড়েছে ক্লাব রেকর্ডও।

ফুটবল বিশ্বকে তাক লাগিয়ে ২০২২ বিশ্বকাপের স্বাগতিকের মর্যাদা অর্জন নিশ্চিতভাবে ছিল কাতারের ফুটবল ইতিহাসে অনেক বড় অর্জন। তবে এটি ছিল কাগজ-কলমে, ভোটের লড়াইয়ে। মাঠের ফুটবলেও যে কাতার কোনো অংশে কম নয়, সেটি প্রমাণের দায় ছিল। অবিশ্বাস্যভাবে স্বপ্ন পূরণের গল্প রচনা করে তারা বছরের শুরুতে।

২০১৯ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে হওয়া এশিয়ান কাপে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে প্রথমবারের মতো অর্জন করে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। এর আগে প্রতিযোগিতাটির শেষ আটে ওঠাই ছিল কাতারের সেরা সাফল্য। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতে নকআউট পর্বে ওঠা দলটি ফাইনালে ওঠার পথে হারায় ইরাক, দক্ষিণ কোরিয়া ও স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। শিরোপার লড়াইয়ে হারিয়ে দেয় রেকর্ড চারবারের চ্যাম্পিয়ন জাপানকে।

৯ গোল করে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে নেন সুদানে জন্ম নেওয়া আলমোজ আলি। তিন বছর বাদে ঘরের মাঠে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের মঞ্চে ২৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে ঘিরেই হয়তো নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে কাতারের ফুটবলপাগল মানুষ।

বছর শেষ হতে চলেছে। তবে গ্রেটেস্ট স্পোর্টস অন আর্থ চলছে। প্রস্তুত ফুটবল বিশ্ব নতুন কোনো রেকর্ড, নতুন কোনো আনন্দের মুহূর্তের আবির্ভাব ঘটাতে।

আন্তর্জাতিক ফুটবল ইউরোপিয়ান ফুটবল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বছর শেষ বিশ্ব ফুটবল লিওনেল মেসি স্পোর্টস স্পেশাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর