১৭ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ
১ জানুয়ারি ২০২০ ২১:০৮
সবশেষ এই টুর্নামেন্টটা মাঠে গড়িয়েছিল ১৩ বছর আগে। ২০০৭ সালের পর এ বছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে আবারও মাঠে গড়াচ্ছে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। বাফুফের বর্তমান কমিটি মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এসে ৬৩ জেলাসহ দেশের ৭৮ দলের অংশগ্রহণে এই চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করতে চলেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তৃণমূল থেকে খেলোয়াড় তুলে আনার লক্ষ্য নিয়ে এ চ্যাম্পিয়নশিপ মাঠে নামানোর উদ্যোগ নিয়েছে ফেডারেশন।
একসময় জেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ও সার্ভিসেস দলগুলোকে নিয়ে নিয়মিত হতো শের-ই-বাংলা কাপ জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা। সবশেষ ২০০৭ সালে এই চ্যাম্পিয়নশিপ হয়েছিল। এরপর টুর্নামেন্টটি চলে যায় হিমাগারে। সেখান থেকে ১৩ বছর পর আবারও মাঠে নামতে চলেছে টুর্নামেন্টটি। মুজিববর্ষ পালন উপলক্ষ্যে এমন আয়োজন করা হচ্ছে।
টুর্নামেন্টটি চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে মাঠে নামানোর চিন্তা থাকলেও তা সপ্তাহখানেক পিছিয়ে এখন ১৭ জানুয়ারিতে নেয়া হচ্ছে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে শুরু হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রতিযোগিতায় দেশের ৬৩ জেলা ফুটবল দল, সার্ভিসেস দল (বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ), বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) এবং বাফুফের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল দল ও শিক্ষা বোর্ডসমূহ অংশ নেবে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে টুর্নামেন্ট হওয়াতে প্রতিটি জেলায় খেলা হবে।
জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনগুলোকে এই চ্যাম্পিয়নশীপ উপলক্ষ্যে দেড় লাখ ও সার্ভিসেস,বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ডকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অংশগ্রহণ ফি দেবে বাফুফে।
আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) টুর্নামেন্টের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় লোগোও প্রদর্শন করা হয়।
জেলা ফুটবল দলগুলোকে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, শীতলক্ষা,ব্রহ্মপুত্র,বুড়িগঙ্গা চিত্রা ও ও সুরমা জোনে ভাগ করা হয়েছে। সুরমা বাদে প্রতি অঞ্চলে আটটি করে দল রয়েছে। আট দলকে চার জোড়ায় ভাগ করে নক আউট ম্যাচ হবে। প্রথম পর্যায়ে চারটি দল জিতবে। এই চার দলের মধ্যে আবার দুই জোড়া করে নক আউট হবে। সেই দুই নক আউট জয়ীদের মধ্যে জোনাল চ্যাম্পিয়নের লড়াই হবে। জোনাল চ্যাম্পিয়ন দল চূড়ান্ত পর্বে খেলবে। সুরমা অঞ্চলে কিশোরগঞ্জ না থাকায় মৌলভীবাজার, সিলেট ও সুনামগঞ্জ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে গ্রুপ ভিত্তিক খেলবে।
ড্রয়ের অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সহ-সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ মহি, বাফুফে সদস্য ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২০-এর অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ সংশ্লিষ্টরা।