Thursday 05 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ৭ দলে অধিনায়ক ১৬!


৫ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:১৪ | আপডেট: ৫ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:১৫
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চলছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। যেখানে অংশ নিচ্ছে ৭ টি দল। এই ৭ টি দলের হয়ে মাঠে নেমেছেন ১৬ জন অধিনায়ক। শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনা সত্য। এখন পর্যন্ত খেলা বিপিএলের এবারের আসরের ৩৪ টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন ১৬ জন ভিন্ন অধিনায়ক। আজ এক অধিনায়ক তো কাল আরেক। যার দরুন বিভ্রান্ত হচ্ছেন দর্শক সহ প্রায় সবাই।

যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন এবং খুলনা টাইগার্স বাদে বাকি পাঁচটি দলই ঘন ঘন পরিবর্তন আনছে তাদের অধিনায়কত্বে। এই পরিবর্তন কখনো হচ্ছে নিয়মিত অধিনায়কের ইনজুরিতে, কখনোবা ব্যক্তিগত কারণেই। যার দরুন এবারের বিপিএল গত শুক্রবারের (৩ জানুয়ারি) দ্বিতীয় ম্যাচের আগেই দেখে ফেলেছে ১৬ তম অধিনায়ককে।

বিজ্ঞাপন

বিপিএল শুরুর এক দিন আগেই রংপুর রেঞ্জার্স ঘোষণা দিয়েছিলো মোহাম্মদ নবীকে তাদের অধিনায়ক হিসেবে। কিন্তু চার ম্যাচ যেতে না যেতেই অজানা কোনো কারণে দলের হাল ছেড়ে দেন তিনি। এরপর দলের ভার তুলো নেন টম অ্যাবল, যিনি কিনা দলেই নিয়মিত থাকেন না।

কিছুদিন পরই এই রংপুরের দায়িত্ব তুলে দেয়া হয় অজি তারকা শেন ওয়াটসনের হাতে। যিনি এখন পর্যন্ত রয়েছেন দলের অধিনায়ক হিসেবে।

এবার আসা যাক কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সে। এখন পর্যন্ত তিন বার অধিনায়কত্বে পরিবর্তন এনেছে বিসিবির তত্ত্বাবধানে থাকা দলটি। শুরুতে দলের অধিনায়কত্বের গুরুভার বর্তায় লঙ্কান ক্রিকেটার দাশুন শানাকার ওপর। ছয় ম্যাচ পর দাশুন শানাকা দেশে ফিরে গেলে সেই গুরুভার বর্তায় ডেভিড মালানের কাঁধে। তিনি দুই ম্যাচ অধিনায়কত্ব করে জরুরি কাজে দেশে ফিরে গেলে দলের নেতৃত্ব বর্তায় সৌম্য সরকারের কাঁধে। যিনি কিনা কুমিল্লার শেষ ম্যাচটিতে অধিনায়কত্ব করেছিলেন।

এই গেলো বিসিবির তত্ত্বাবধানে থাকা দুই দলের পরিস্থিতি। এবারে যাওয়া যাক বাকি দলগুলোর কাছে।

এবারের আসরে বেশ দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু দুর্ভাগ্য বশত নিয়মিত থাকছেন না তাদের কোনো অধিনায়ক। বার বার আসছে পরিবর্তন। এখন পর্যন্ত চট্টলার দলে অধিনায়কত্বে এসেছে চার পরিবর্তন।

শুরু থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু ইনজুরির কারণে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলে দায়িত্বভার এসে পড়ে রায়াদ এমরিতের ওপর। কিন্তু দুই ম্যাচ তাঁর নেতৃত্বে খেলার পর আবার ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু দলে নিয়মিত হতে পারেননি তিনি। ফলে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন ইমরুল কায়েস।

চোটে পড়েন ইমরুলও। এতে করে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেয়া হয় নুরুল হাসানকে। এরপর চোট থেকে ফিরে দলের দায়িত্ব বুঝে নেন আবার ইমরুল কায়েস।

এদিকে নিয়মিত অধিনায়কের ইনজুরিতে পরিবর্তন এসেছে রাজশাহী রয়্যালসেও। আন্দ্রে রাসেলের ইনজুরিতে দলকে নেতৃত্ব দেবার গুরুভার পড়েছে শোয়েব মালিকের ওপর।

খেলার মাঠে বেশ বাজে সময় পার করছে সিলেট থান্ডার। এ আসরে খেলা ১১ ম্যাচের মাত্র একটিতে জয়ের দেখা পেয়েছে দলটি। নিয়মিত হারেও তাঁরা ভরসা রেখেছিলো তাদের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ওপর। কিন্তু মোসাদ্দেক ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে যাবার কারণে দলকে শেষ ম্যাচে সিলেটের নেতৃত্বে দেখা গিয়েছে আন্দ্রে ফ্লেচারকে।

এখন পর্যন্ত একই অধিনায়কে ভরসা করে খেলে যাচ্ছে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন এবং খুলনা টাইগার্স। যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনের নেতৃত্বে রয়েছেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা আর খুলনা টাইগার্সের দায়িত্বে আছেন মুশফিকুর রহিম।

বঙ্গবন্ধু বিপিএল ২০১৯

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর