যেমন গেলো বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চতুর্থ পর্ব
৫ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:৪৬
দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেলো বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চার চারটি পর্ব। এই চারটি পর্বে বিপিএলের দর্শকেরা দেখেছেন নানা উত্থান, নানা পতন। চলুন এক নজরে দেখে আসি ৪ পর্ব শেষে কেমন অবস্থা এবারের আসরের।
পয়েন্ট টেবিল:
এবারের বিপিএলে সিলেট পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী রয়্যালস। ১০ ম্যাচের ৭ টিতে জিতে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে দলটি। সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে সমান জয় এবং সমান পয়েন্ট নিয়ে শুধু রান রেটে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
৯ টি ম্যাচ খেলে ৬ জয় নিয়ে টেবিলের তৃতীয় দল যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন। অপরদিকে সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ৪ নম্বরে অবস্থান করছে খুলনা টাইগার্স।
এদিকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটের ব্যবধানের কারণে টেবিলের পাঁচ এবং ছয়ে যথাক্রমে অবস্থান করছে কুমিল্লা এবং রংপুর। আর ১১ ম্যাচে মাত্র এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানির দল হিসেবে রয়েছে সিলেট থান্ডার।
সর্বোচ্চ রান:
চার পর্ব মিলিয়ে এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কুমিল্লা দলপতি ডেভিড মালান (৩৭৭)। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন খুলনা টাইগার্সের রাইলি রুশো (৩৪০)। সেরা পাঁচের বাকি তিন জন বাংলাদেশি। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন রংপুর রেঞ্জার্সের মোহাম্মদ নাইম (৩৩৮)। ৩৩১ রান করে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন সিলেট থান্ডারের মোহাম্মদ মিঠুন। আর পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন চট্টলার ইমরুল কায়েস। তাঁর সংগ্রহ ৩১৯ রান।
সর্বোচ্চ উইকেট:
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সিলেট পর্ব শেষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি পাঁচ বোলারের ভেতর ৩ জন বাংলাদেশি বোলার। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পেসার মেহেদী হাসান রানা। চার পর্ব মিলিয়ে খেলেছেন তিনি মোট ৮ ম্যাচ। ১২.২৯ গড়ে তিনি উইকেট শিকার করেছেন ১৭ টি। তাঁর সেরা বোলিং ফিগার ৪/২৩।
১০ ম্যাচ খেলে ১৬ উইকেট শিকার করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন রংপুরের মোস্তাফিজুর রহমান। ১৩ উইকেট নিয়ে তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন যথাক্রমে কুমিল্লার মুজিব উর রহমান, রংপুরের লুইস গ্রেগরি এবং চট্টগ্রামের রুবেল হোসেন।
সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ:
এবারের বিপিএল দেখেছে ৫ টি ২০০+ দলীয় রানের ইনিংস। ২০০+ রান করা দলগুলো হলো- চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, সিলেট থান্ডার, কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স এবং যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডটি রয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। ঘরের মাঠে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটে সংগ্রহ করেছিলো ২৩৮ রান।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের কীর্তি সিলেট থান্ডারের। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটের খরচায় তাঁরা তুলেছিলো ২৩২ রান।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটে তাঁরা করেছিলো ২২২ রান। পরের সর্বোচ্চ রানের অধিকারী আবারো সেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২২১ রান তুলেছিলো চট্টলা।
এখন পর্যন্ত শেষ ২০০+ রানে সংগ্রাহক হিসেবে রয়েছে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন। চট্টলার মাঠে তাদের বিপক্ষেই সব উইকেটের বিনিময়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করেছিলো মাশরাফি-তামিমের দলটি।
বড় জয় (রান ব্যবধানে):
এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় জয় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের। চলতি আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ১০৫ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলো দলটি। পরের জয়টি ৮০ রানের। সিলেট থান্ডারের একমাত্র জয় এটি এবারের বিপিএলের। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে তাদের ৮০ রানের জয়টি স্থান পেয়েছে দ্বিতীয় বড় জয় হিসেবে।
রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনের ৭৪ রানের বড় জয়টিকেও গণ্য করাই যায় এবারের আসরের বড় জয় হিসেবে। ৪র্থ অবস্থানে রয়েছে খুলনা টাইগার্স। রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৫২ রানের জয় পেয়েছিলো তাঁরা। সর্বশেষ বড় জয়ের তালিকায় ৫ম অবস্থানে রয়েছে রংপুর রেঞ্জার্স। রাজশাহীর বিপক্ষে তাঁরা জয় পেয়েছিলো ৪৭ রানে।
বড় জয় (উইকেট ব্যবধানে):
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এবার নেই কোনো ১০ উইকেটের ব্যবধানে জয়। কিন্তু রয়েছে ৯ উইকেট, ৮ উইকেটের ব্যবধানে জয়। উইকেট ব্যবধানে বড় জয়গুলো পেয়েছে রাজশাহী রয়্যালস (৯ উইকেট, ৮ উইকেট), যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন (৮ উইকেট) এবং খুলনা টাইগার্স (৮ উইকেট)।
সেরা বোলিং ফিগার:
চলতি বিপিএলের সেরা বোলিং ফিগারের মালিক যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনের ওয়াহাব রিয়াজ। রাজশাহীর বিপক্ষে ৩.৪ ওভার বল করে ১ মেইডেনের সাথে ৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন এই বোলার। এটি বিপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার।
পরের অবস্থানেই রয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজেরই সতীর্থ, যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনের পেসার থিসারা পেরেরা। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৩০ রানে ৫ উইকেট নেন এই বোলার।
সেরা ব্যাটিং:
চলতি বিপিএল দেখেছে মাত্র দুইটি শতকের ইনিংস। যার ভেতর প্রথম শতকের মালিক সিলেট থান্ডারের আন্দ্রে ফ্লেচার। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৫৭ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ব্যাটসম্যান।
দ্বিতীয় সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিগণিত হচ্ছেন কুমিল্লার ডেভিড মালান। এবারের আসরের দ্বিতীয় শতকটি এই ব্যাটসম্যানের। রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ৫৪ বলে ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ব্যাটসম্যান।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স খুলনা টাইগার্স চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বনাম সিলেট থান্ডার্স বঙ্গবন্ধু বিপিএল ২০১৯ যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন সিলেট থান্ডার