গিবসের অভিযোগ শুনে অবাক ফ্লেচার
৭ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:২০
বিপিএলের সিলেট পর্বে সিলেট থান্ডারের হেড কোচ হার্শেল গিবসের কাছে দলের ভরাডুবির কারণ জানতে চাইলে ভাষাগত জটিলতাকেই তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন। তাঁর ভাষ্যমতে, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ইংরেজী বোঝেন না বলেই ম্যাচ পরিকল্পনার সঠিক প্রয়োগ মাঠে করতে পারেন না। ফলে দলও প্রত্যাশিত পারফরম্যান্সের ধারে কাছেও নেই।
তাঁর করা এমন অভিযোগে বেশ অবাক হয়েছেন আরেক বিদেশি আন্দ্রে ফ্লেচার। সিলেট থান্ডারের এই ক্যারিবিয়ান টপ অর্ডারের দাবি, তাঁর ক্ষেত্রে এমন হয়নি। বরং বাংলাদেশের প্লেয়ারদের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়াটা ছিল অসাধারণ। পুরো টুর্নামেন্টেই ভাষাগত কোন জটিলতা তিনি বোধ করেননি।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাস তো আর দু’এক বছরের নয় যে আজও ইংরেজী ভাষা বুঝতে এ দেশের ক্রিকেটারদের কাঠখড়ি পোড়াতে হয়। এদেশের ক্রিকেটের স্বর্ণ সময়ের শুরু থেকেই বিদেশি কোচিং স্টাফ দিয়ে ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যা আজও অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। অথচ সেই দেশের ক্রিকেটাররা ইংরেজী বোঝেন না! এমন মন্তব্যের কোন মানেই বুঝতে পারছেন না ফ্লেচার।
‘দেখেন, আমি কোচ নই। তাছাড়া আমার সঙ্গে দলের সবার বোঝাপড়াই ভাল ছিল। তাঁরা কিন্তু আমাকে বেশ ভাল বুঝতে পারে। একজন কোচের মুখ থেকে একথা শুনে আমি বিস্মিত হয়েছি। দলের জন্য কিন্তু আমাদেরই দায়িত্ব নিতে হয়। এজন্য আমরা কাউকে দোষারোপ করতে পারি না। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের সব খেলোয়াড়রাই ইংরেজী বোঝেন। এদেশে যে কোচেরা কাজ করে তাঁরা তো ইংরেজিতেই কথা বলে। আমি ঠিক বুঝতে পারছি না সে কি বলতে চাইছে। এর কোন মানেই নেই।’
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি একথা বলেন।
আজকের এই ম্যাচটি ছিল বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সিলেট থান্ডারের শেষ ম্যাচ। ১২ ম্যাচে মাত্র মাত্র ১ জয়ে ২ পয়েন্ট থাকায় টুর্নামেন্টের শেষ চারের সুযোগ তাদের একেবারেই নেই। লাল বাতি জ্বলে গেছে বেশ আগেই। দলের এমন বিবর্ণ পারফরম্যান্সের কারণ হিসেবে দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্সকেই দায়ী করলেন সিলেট দলপতি।
‘এই ধরণের পারফরম্যান্সে যে কোন অধিনায়কই হতাশ হবে। তাছাড়া আমি একা আর কিই বা করতে পারি? দল হিসেবে আমাদের পারফরম্যান্স ছিল দারুণ হতাশাজনক।’