দিনে ক্রিকেটার, রাতে সাংবাদিক
৮ জানুয়ারি ২০২০ ১২:৩৪
সৈয়দ সামি। একই সাথে ক্রিকেট বিশ্লেষক, ক্রীড়া উপস্থাপক, সংবাদ পাঠক এবং ধারাভাষ্যকার। চলতি বিপিএলে মাঠ থেকে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষণ। সেই সাথে কাজ করছেন বেসরকারী টিভি চ্যানেলে গাজী টেলিভিশনে ক্রীড়া উপস্থাপক হিসেবেও। তবে এতো কিছুর বাইরেও তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। সেটি হলো তিনি একজন ক্রিকেটার। খেলেছেন সদ্য শেষ হওয়া ২০১৯-২০ মৌসুমে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগে।
গত ৫ জানুয়ারি প্রথম বিভাগের শেষ দিন তার দল পূর্বাচল এস সি মুখোমুখি হয়েছিল কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের ৷ ম্যাচে তার দলের পারফরম্যান্স অবশ্য বলার মত নয়, মাত্র ৬৫ রানে অলআউট হয় পূর্বাচল। দলের একমাত্র অপরাজিত ব্যাটসম্যান ছিলেন সামি। আবার বল হাতেও ১৮ রানে নিয়েছেন ১ টি উইকেট।
পেশাদার সাংবাদিকতা আবার পেশাদার ক্রিকেট কীভাবে সামলাচ্ছেন? জবাবে এক গাল হেসে সামির উত্তর দিলেন, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।
“ক্রিকেট খুব কঠিন একটি খেলা, বিশেষ করে ওই পর্যায়টা। এ দিনও রাত ১ টা পর্যন্ত সংবাদ পড়ে পরের দিন ৫ টায় উঠে ম্যাচ ধরতে হয়েছে। অফিস ডিউটির আগের সময়টা অনুশীলন করি। এবার বিপিএল থাকায় অবশ্য শেষদিকে ঠিকমত অনুশীলন করতে পারিনি। কিন্তু আমি একটা কথা বলতে চাই, অনেকেই ভাবেন ক্রিকেট খুব সহজ খেলা, খেলোয়াড়দের সমালোচনা করতে গিয়ে আপত্তিজনক কথা বলে ফেলেন। আমি আমার টপ লেভেলে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আমাদের দেশে যে পরিমাণ লেস ফ্যাসিলিটির মধ্যে দিয়ে একটা ছেলেকে ক্রিকেট খেলতে হয় তা আপনি না খেলতে আসলে বুঝতে পারবেন না।”
ঘরোয়া ক্রিকেটের মান এবং সুযোগ সুবিধা এক জন খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বেশ আক্ষেপের সুরেই সারাবাংলাকে বলেন, “এখানে মাঠের অভাব, প্র্যাকটিসের জায়গার অভাব, টাকার অভাব, ক্যারিয়ারের নিশ্চয়তার অভাব। আমি তো একটা পেশায় থেকে ক্রিকেট টা ধরে রেখেছি, সবাই তো তা নয়। আমার দলের অনেকেই আছে যারা হয়তোবা শুধু ক্রিকেটকে কেন্দ্র করেই বেচে আছে। তাই প্লিজ, ক্রিকেটারদের সম্মান করতে শিখুন।”
এভাবেই পেশার সাথে নিজের নেশা চালিয়ে যাচ্ছেন উদীয়মান এই ক্রীড়াবিদ।