জ্বরে ভুগছেন জীবন, গোল খরায় বাংলাদেশ
৯ জানুয়ারি ২০২০ ২০:৩০
ঢাকা: দরজায় কড়া নাড়ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। এসএ গেমসে ব্যর্থতার পর ছয় জাতির এই টুর্নামেন্টকে পাখির চোখ করেছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে জেমি ডের বাহিনী। জ্বরের কারণে দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে পারেনি দলের নিয়মিত মূল স্ট্রাইকার নবীব নেওয়াজ জীবন। তাকে ছাড়াই অনুশীলনের দুই‘দিন কাটিয়ে দিয়েছে লাল-সবুজরা। এখন ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা অবস্থা’ ফুটবল দলের।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ফেডারেশনের কাপের পর ঢাকা আবাহনীর হয়ে অনুশীলনও করেছেন জীবন। এরপর হঠাতই ক্যাম্পে যোগ দেয়ার একদিন আগে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন স্ট্রাইকার। ডায়রিয়া থেকে জ্বরে এখন কাবু অবস্থা জাতীয় দলের এই ফুটবলারের।
এমনিতেই গোল খরার রোগে আক্রান্ত জাতীয় ফুটবল দল। তারউপরে জীবনের জ্বরে দলের মূল ভরসাকে ছাড়াই অনুশীলনে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে দলের প্রধান কোচ জেমি ডের।
জীবন জ্বর সেড়ে কবে ফিরছেন সেটাও ঠিক মতো বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে জীবনকে ছাড়াই আক্রমণভাগের পরিকল্পনা সাজাতে হচ্ছে জেমি ডের। এদিকে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ঘনিয়ে আসছে দ্রুত। হাতে মাত্র পাঁচ দিন বাকী। ১৫ জানুয়ারি ফিলিস্তিন ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের মিশন। গত বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার অবর্তমানে দলের ছকে কোনও পরিবর্তন আসছে কিনা জানতে চাইলে জেমি সারাবাংলাকে জানান, ‘আমি মনে করি আমরা কিছুদিন দেখবো। তারপর সিদ্ধান্ত নেবো।’ আজ তার সঙ্গে জীবনের কথা হয়েছে বলে জানান এই ইংলিশ কোচ।
এদিকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ওমান ম্যাচে বাংলাদেশের একমাত্র গোলদাতা বিপলু আহমেদও ইনজুরিতে দলের বাইরে। আক্রমণভাগে সেই অর্থে জাত স্ট্রাইকার নেই মতিন মিয়া ছাড়া। মতিনও বিভিন্ন ইস্যুতে জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকলেও ম্যাচই খেলতে পারছেন না। অন্যদিকে ক্লাবের হয়ে রক্ষণ সামলানো মাহবুবুর রহমান সুফিল ও সাদ উদ্দীন ভরসা হতে পারে জেমির। আরিফুর রহমান ও রবিউল হাসানও নিয়মিত হয় মূল একাদশে। ইব্রাহিম ও রাকিব হাসান উইঙ্গে। এদের কেউ জাত স্ট্রাইকার না।
প্রাক বাছাই থেকে শুরু করে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বেও মোট ছয় ম্যাচে মাত্র তিনবার জালের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। গোলখরা দেশের জাতীয় ফুটবল দলের একটা ‘জাতীয় রোগে’ পরিণত হয়েছে এই অর্ধযুগে। এই সমস্যার মধ্যেই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে নিজেদের আক্রমণভাগ সাজাতে আরও কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে জেমি ডেকেও।
আজ তারই কথায় একটা টুর্নামেন্ট জিততে হলে গোলের বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন জেমি। জীবনকে ছাড়া সেই গোলচাকা ঘুরবে কীভাবে সেটার সঠিক জবাব মেলেনি এখনও। এরমধ্যেও জেমির আশা, ‘জিততে হলে আমাদের গোল করতে হবে। সেমি বা ফাইনালে যেতে হলে গোলের প্রয়োজন দরকার।’
জানা যায়, আগামিকাল শুক্রবার চিকিতসকের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন জীবন। এদিকে জীবনের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে বসে আছে কোচ জেমিও, ‘সে কালকে ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করবে। তারপর আমরা জানতে পারবো আমরা কী সিদ্ধান্ত নিবো।‘দলের ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপুকে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেমির সিদ্ধান্তের দিকে চেয়ে আছেন বলে জানান। এখন দেখার বিষয় এমন গোলখরার মৌসুমে বল কোন দিকে গড়ায়।
জাতীয় ফুটবল দল জেমি ডে নবীব নেওয়াজ জীবন বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট