অবিশ্বাস্য মুমিনুল
১১ জানুয়ারি ২০২০ ২০:৪৮
মুমিনুল হককে কেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে রাখা হয় না? বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টকে প্রশ্নটি যতবারই করা হয়েছে, তাদের উত্তর একটিই- ‘ওর ব্যাটিং স্টাইলটা ওমন না। এই দুই ফরম্যাটে যেভাবে ব্যাটিং করতে হয় সেটা ওর মধ্যে নেই।’
কি আর করা। অগত্যা দেশের হয়ে কেবল সাদা পোষাকেই খেলতে হয় প্রিন্স অব কক্সবাজারকে। এতে করে তার গায়ে টেস্ট স্পেশালিস্টের তকমাটি স্থায়ীভাবেই লেগে গেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শেষ দিকে এসে যে বিস্ফোরক ব্যাটিং মুমিনুল করলেন তাতে টিম ম্যানেজমেন্টকে তাদের ভ্রম থেকে বেরিয়ে আসতেই হচ্ছে। শুধু টেস্ট কেন টি-টোয়েন্টিতেও যে মুমিনুল দুর্বার।
অবিশ্বাস্যও বটে। টেস্ট স্পেশালিস্টের তকমা যার গায়ে লেপ্টে সেই যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান কিনা মাত্র ৫৯ বলে থেকে সংগ্রহ করেছেন ৯১ রান! চার মারলেন ৭টি, ছয়ের মার ৪টি! স্ট্রাইক রেট ১৫৪.২৩! খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে তার এমন ব্যাটিংয়ের পর নির্বাচকেরা নিশ্চয়ই তাকে টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা করে দিতে আর গড়িমসি দেখাবেন না। শুধু তাই নয়, ঢাকা প্লাটুনও নিশ্চয়ই পরের ম্যাচগুলোতে দলের এই কম্বিনেশনটাই রাখতে চেষ্টা করবেন। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে লিটল মাস্টারকেই পাঠাবেন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ঢাকা প্লাটুন ওপেনার তামিম ইকবাল মাত্র ১ রানে ফিরে গেলে অপর প্রান্ত আকড়ে রাখেন মুমিনুল। মোহাম্মদ আমিরের বলে যখন ফ্রাইলিংকের হাতে যখন ক্যাচ তুলে দিলেন তখন ইনিংস প্রায় শেষ (১৮.৬ ওভার)। যাওয়ার আগে নামের পাশে যোগ করে গেলেন ৯১।
চতুর্থ উইকেটে তরুণ মেহেদি হাসানকে সঙ্গে নিয়ে শফিউল, আমির, ফ্রাইলিংক, শহিদুলদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়ে দলকে দিয়েছেন ১৫৩ রান। যা কিনা বিপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ। আর এই জুটির দেওয়া এই সংগ্রহের সুবাদে মাশরাফিরাও পেয়েছেন ৪ উইকেটে ২০৫ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ।
জয়ের জন্য ২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছে মুশফিকের খুলনা টাইগার্স।