গেইল না রাসেল- ফাইনালের টিকিট কার হাতে?
১৪ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:৫৪
জিতলেই ফাইনাল! আর ফাইনাল মানেই তো স্বপ্নের শিরোপা থেকে নি:শ্বাস দূরত্বে থাকা। শিরোপা যুদ্ধের সেই মঞ্চে সামর্থ্যের সঙ্গে ভাগ্যদেবীর কিছুটা প্রসন্ন দৃষ্টি পেলেই ব্যাস, ইতিহাস গড়া হয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম আসরের গর্বিত শিরোপাটি ঘরে উঠবে। যদি কোনো ভাবে তা হাতছাড়া হয়েও যায়, রানার আপের গৌরব তো থাকছেই। এমন সুবর্ণ সুযোগ কে হাতছাড়া করতে চায় বলুন? রাজশাহী রয়্যালস যেমন চাইবে না তেমনি চাইবে না চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সও। কাজেই অলিখিত ভাবেই বঙ্গবন্ধু বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচটি হাই ভোল্টেজ ম্যাচের তকমা পেয়ে গেছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মিরপুর-শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
ফাইনালের এই মিশনে কে হাসবে শেষ হাসি? টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মহারাজা ক্রিস গেইল নাকি তাঁর স্বদেশী আন্দ্রে রাসেল। এই ম্যাচের জয়ী দলের হাতেই উঠবে ফাইনালের টিকিট। শেষ পর্যন্ত কার হাতে উঠবে এই টিকিট তা এখনই বলা মুশকিল আর তার ওপরে খেলাটি যেহেতু ক্রিকেট সেহেতু ভবিষ্যদ্বাণী থেকে বিরত থাকায় শ্রেয়। তবে সোমবারের (১৩ জানুযারি) এলিমিনেটর ম্যাচে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনকে যেভাবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স গুঁড়িয়ে দিয়েছে তাতে নিশ্চয়ই তাদের পক্ষেই পড়বে সবার ভোট।
না দেওয়ার কোনো কারণও আপাত দৃষ্টিতে নেই। টি-টোয়ন্টি ক্রিকেটে ম্যাচ জেতাতে যেখানে এক থেকে দুইজন প্লেয়ারই যথেষ্ট সেখানে চট্টগ্রামে মজুত আছেন নুন্যতম পাঁচজন। ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত ফর্মে আছেন; ইমরুল কায়েস ও মাহমুদুউল্লাহ রিয়াদ। আছেন টি-টোয়েন্টির রাজা ক্রিস গেইলও। যদিও এখনো তাকে স্বরুপে দেখা যায়নি। কিন্তু ক্রিকেটে ফর্মে ফিরতে একটি ম্যাচই যথেষ্ট। সেই ম্যাচটিই যদি আগামি কালের ম্যাচ হয় তাহলে কিন্তু আর কাউকেই প্রয়োজন নেই। অতীত পরিসংখ্যান সেই স্বাক্ষ্যই দেয়।
আর বোলিংয়ে অভিজ্ঞ রুবেল হোসেনের সঙ্গে আছেন চলতি বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মেহেদি হাসান রানা ও নাসুম আহমেদ। অতএব রাজশাহী ভক্তদের কিছুটা দুর্ভাবনায় থাকতেই হচ্ছে।
আবার রাজশাহীও যে একেবারেই হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবে সেকথা বলারই বা উপায় কোথায়? আগেই বলা হয়েছে খেলাটি যেহেতু ক্রিকেট সেহেতু এখানে ভবিষ্যৎ বাণীর কোনো সুযোগই নেই। বলবেন প্রথম কোয়ালিফায়ারে খুলনার বিপক্ষে তো রাজশাহী উড়ে গেল! যারা বলবেন তাদের এটাও মাথায় রাখা উচিত যে, ওই ম্যাচে মোহাম্মদ আমিরের মতো সুইং বিস্ময় ছিলো বলেই লিটন দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব আর আন্দ্রে রাসেলের মতো বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানকে স্বল্প সংগ্রহেই ফিরতে হয়েছে।
একবার ভাবুন তো ওপেনিংয়ে আগের ম্যাচগুলোর ধারাবাহিকতায় গতকালও যদি লিটন-আফিফ জুটি জ্বলে উঠতো আর আন্দ্রে রাসেল তার তাণ্ডুবে ব্যাটিং উপহার দিতেন নিশ্চয়ই খুলনা পুড়ে খাঁক হয়ে যেত। রাজশাহী অন্তত একটি জায়গা নির্ভার থাকতে পারে যে আগামিকালের ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলে নেই একজন আমির।
অতএব লিটন-আফিফের ম্যাচ উইনিং জুটির ইনিংস ভ্রূণেই বিনষ্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আন্দ্রে রাসেলের বেলায়ও যা সত্যি। তাছাড়া বল হাতে আবু যায়েদ রাহি, শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ ইরফান দপ করে জ্বলে উঠেন, চট্টগ্রামের ইনিংসও বালুর বাঁধের মতো ভেঙে পড়বে না তারই বা নিশ্চয়তা কি?
আন্দ্রে রাসেল ক্রিস গেইল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বনাম সিলেট থান্ডার্স দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ফাইনালের টিকিট বঙ্গবন্ধু বিপিএল ২০১৯