পাকিস্তানেও অশান্ত হবেন শান্ত
২০ জানুয়ারি ২০২০ ১৮:০১
ঘরোয়া ক্রিকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট অট্টহাস্যে হাসে। কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এলেই কেমন যেন চুপসে যায় সেই ব্যাট! টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টায়েন্টি; তিন ফর্মেটেই জাতীয় দলের জার্সি গায়ে এতদিন নিজের ছায়া হয়ে থেকেছেন। একটি ম্যাচেও নামের সুবিচার করতে পারেননি।
সেই তাকেই পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দলে ডাকা হয়েছে। যার পেছনে কারণ হিসেবে কাজ করেছে তার বিপিএলের ব্যাটিং। মানে বিপিএলে পারফরম্যান্সের পুরষ্কার তিনি পেয়েছেন। জাতীয় দলে দলে ডাক পেয়ে শান্ত বললেন, পাকিস্তান সিরিজেও বিপিএলের মতোই ব্যাটিং করবেন।
গেল বছরের সেপ্টেম্বরে ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি শুরু করেছেন শান্ত। দুই ম্যাচ থেকে তার সংগ্রহ যথাক্রমে; ১১ ও ৫। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বিপিএলে পুরোপুরি ইউ টার্ন নিয়ে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এলেন। দেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। খুলনার জার্সি গায়ে ১১ ম্যাচে ৩৪.২২ গড়ে সংগ্রহ করেছেন ৩০৮ রান। এই ব্যাটিংটাই তিনি পাকিস্তানেও অব্যাহত রাখতে চাইছেন। সেজন্য নাকি তাকে খুব বেশি কিছু করতে হবে না, শুধু ওই আত্মিবিশ্বাসটা ধরে রাখলেই হবে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিনি এ কথা বলেন।
শান্ত জানান, ‘অবশ্যই বিপিএলের শেষের কয়েকটা ম্যাচ বেশ ভালো গেছে। তাই আত্মবিশ্বাস আছে। ওই অনুযায়ী আত্মবিশ্বাসটা ধরে রাখতে পারি তাহলে ওখানেও ভালো করা সম্ভব।’
বাংলাদেশের পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে নানান মহলে চলছে নানা ধরণের জল্পনা কল্পনা। দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা ভেবে আসন্ন এই সফর নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত। মুশফিকুর রহিমতো ভয়ে সরেই দাঁড়ালেন। সেক্ষেত্রে শান্তর ভাবনাটা কি? কতটা শঙ্কিত তিনি? না, নিরাপত্তা নিয়ে কোন ভীতিই তার মধ্যে নেই। বরং ম্যাচেই ফোকাস তার মূল লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে।
‘এগুলো নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করছি না। আমার নিজের যে পরিকল্পনা আছে ওই অনুযায়ী যদি খেলতে পারি, নিজের যে স্ট্রেংথ আছে ওই অনুযায়ী যদি খেলতে পারি ওখানেও ভালো করা সম্ভব। পেশাদার খেলোয়োড় হিসেবে খেলাটাকে ফোকাস করছি। তাই এগুলো আমাদের হাতে নেই। সেহেতু এগুলো নিয়ে চিন্তা করতেছি না।’
শান্তর কথায় স্পষ্ট পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তার বিন্দুমাত্র ভীতি নেই। এর পেছনে অবশ্য একটি কারণ আছে। ২০১৮ সালে হাই পারফরম্যান্স দলের হয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপ খেলেতে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। তখন দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্বচক্ষে দেখে এসেছেন। যা তাকে আসন্ন সিরিজেও নির্ভার রাখছে।
‘গত বছর গিয়েছিলাম আমি ওখানে। তাই এগুলো নিয়ে একদমই ভাবছি না। খেলাটাই ফোকাস করতেছি।’
আইসিসি’র টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে পাকিস্তান সবার উপরে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ অবস্থান করছে নয়ে। সেই তাদের বিপক্ষেই তাদের মাটিতে সিরিজ। কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে?
শান্ত বললেন, চ্যালেঞ্জিং অবশ্যই। তবে দল হয়ে খেলতে পারলে পাক বধ কঠিন হবে না।
‘অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু দল হিসেবে যদি খেলতে পারি ওখানেও ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব। যদিও আমরা খুব বেশি ওদের টিম নিয়ে চিন্তা করতেছি না আমাদের নিজেদের যে পরিকল্পনা, ও শক্তির জায়গা আছে ওই জায়গাটা আমরা যদি ঠিক রাখতে পারি এখানে ভালো করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।’