বল দখলে তৃপ্তি, গোল ফিনিশিংয়ে হতাশ জেমি
২৩ জানুয়ারি ২০২০ ২১:৫৭
ঢাকা: বুরুন্ডির কাছে হেরে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমি ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। এসএ গেমসের হতাশার পর ঘরের মাঠে টুর্নামেন্টে আরেকটি হতাশার গল্প উপহার দিয়েছে ফুটবল। টানা তৃতীয়বারের মতো সেমিতেই ‘গুডবাই’ বলতে হয়েছে জামাল ভূঁইয়াদের।
পুরো ম্যাচেই ছিল গোল ফিনিশিংয়ের হতাশার গল্প। অবশ্য হতাশ কোচ জেমি ডে নিজেও। তবে অর্জনের খাতায় শূন্য ভরতে নারাজ ইংলিশ কোচ। কোচ চান ক্লাব ফুটবলের উন্নতি হোক। উন্নতি করার পরামর্শও বাতলে দিলেন এই ফুটবল কোচ।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে বুরুন্ডির কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন দলের কোচ জেমি ডে।
জেমি বলেন, প্রথমার্ধের ৫ মিনিট ছাড়া প্রথম ৪০ মিনিটই আমরা ভাল খেলেছি। ওই পাঁচ মিনিটেই পিছিয়ে গেছি দুই গোলে। যেটা খুবই হতাশার। রক্ষণে পূর্ণ মনোযোগ থাকায় এমনটা হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধেও আমরা বেটার খেলেছি। বেশি সুযোগ তৈরি করেছি। শুধু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি প্লেয়াররা।
ম্যাচে গোলবারে ৮টিরও বেশি শট নিয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে ১৫১ র্যাঙ্কিংয়ে থাকা বুরুন্ডি নিতে পেরেছে মাত্র ৬টি শট। লাল-সবুজদের সহজ সুযোগ এসেছে তিনটিরও বেশি। যেগুলো একটু ঠাণ্ডা মাথায় জালে ঢোকানোর সুযোগ ছিল। উল্লাসের মুহূর্ত উপহার দিতে পারতো বাংলাদেশ। সেখানে ব্যর্থতা উপহার দিয়েছে বারবার আক্রমণে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে। এটিই মূলত ব্যবধান তৈরি করে দিয়েছে বলে মনে করেন জেমি, ‘সুযোগ কাজে লাগাতে না পারাই আসলে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ওরা সুযোগ কাজে লাগিয়েছে।’
এসএ গেমসে ব্যর্থতার পর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপকে দুঃখ ভোলার উপলক্ষ্য হিসেবে নিয়ে হতাশা থেকেও শিক্ষা নিতে চান জেমি। অর্জনের খাতায় শূন্যতা রাখতে নারাজ এই ইংলিশ কোচ, ‘আমরা বল দখলে বড় দলগুলোর সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছি। আগে শুধু রক্ষণাত্মক আর কাউন্টার অ্যাটাকিংয়ে জোর দিতে হতো। এখন বিল্ডাপ খেলা খেলে আক্রমণ করতে পারি। এটা অবশ্যই একটা অর্জন বাংলাদেশের জন্য।’
বারবার এই ফিনিশিং দক্ষতার অভাবটাই যেন প্রত্যেক টুর্নামেন্টের বিজ্ঞাপন হয়। এ থেকে পরিত্রাণের উপায়ও বাতলে দিলেন জেমি, ‘ক্লাব ফুটবলের অবকাঠামোগত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। অর্থ ব্যয় হোক। তবে ক্লাব অবকাঠামোর পরিবর্তন দরকার। আর দলে দেশি ফুটবলারদের সুযোগ বাড়াতে হবে। দু’জন বিদেশি ফুটবলার নিয়ে বাকীরা থাকবেন দেশি ফুটবলার। তবেই দেশিদের ফুটবলাররা তাদের জায়গার মূল্যায়ন হবে। জাতীয় দলে ভাল করবে।’
জেমির চাওয়া কি পূরণ হবে? ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন।