Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মৃত্যুটা খুব কাছ থেকে দেখেছেন সেরেনা


২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৩:১২

সারাবাংলা ডেস্ক

সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় একজন গর্ভবতী মায়ের চিকিৎসাসেবা কতটা উন্নতমানের হওয়া উচিত সেটা জানাতে গিয়ে টেনিস কুইন সেরেনা উইলিয়ামস জানালেন তার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার গল্প। সিএনএন অনলাইনে লেখা কলামে ৩৬ বছর বয়সী সেরেনা জানান, সন্তান জন্মদানের সময় মৃত্যুর খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন।

গত সেপ্টেম্বরে সন্তান জন্ম দেন সেরেনা। মেয়েদের টেনিসের উন্মুক্ত যুগে রেকর্ড ২৩ গ্র্যান্ড স্লামজয়ী টেনিস কুইন জানান, সে সময় অনেক জটিলতার মধ্যদিয়ে যেতে হয়েছিল। প্রায় মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। তবে, অভিজ্ঞ চিকিৎসক আর হাসপাতালের অত্যাধুনিক যন্ত্রের কারণেই বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি ও তার মেয়ে।

আমেরিকান টেনিস তারকা সেরেনা তার কলামে লিখেছেন, ‘আমি তো প্রায় মরতে বসেছিলাম। কিন্তু আমি খুবই ভাগ্যবান যে ওই সময়টা জটিল হলেও আমি পেরিয়ে এসেছি। আমার মেয়ের হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। বেশ কিছু অভিজ্ঞ চিকিৎসক আমাকে বাঁচিয়েছে, আমার মেয়েকে বাঁচিয়েছে। তাদের সফল অস্ত্রোপচার আমি এখনও অনুভব করি। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা ছিলেন অবিচল। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে রেডিট প্রতিষ্ঠাতা তথা ধনকুবের ব্যবসায়ী অ্যালেক্সিস ওহানিয়ানের সঙ্গে বাগদান হয় মার্কিন টেনিস তারকা সেরেনার। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনও জিতেন তিনি। যা অনেকটা বিশ্ব রেকর্ডর মতোই। অনেকেই সে সময় মজা করে বলেছিলেন, সেরেনা তার সেই গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতেছেন চিটিং করে। কারণ, একজনের প্রতিপক্ষ ছিলেন সেরেনা ও তার পেটে থাকা সন্তান।

সন্তান জন্মদানের সময় নানান জটিলতা কাটিয়ে উঠতে সেরেনাকে অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছিল একাধিকবার। এমনকি সন্তানের জন্মও হয় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে। গর্ভাবস্থায় মাকে আরও সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছেন সেরেনা। বিশ্বব্যাপী নারীদের স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করবেন বলেও জানিয়েছে আমেরিকান এই টেনিস তারকা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর