ডি বক্সের সামনে গেলেই স্ট্রাইকাররা ভয় পায়- সালাম মুর্শেদী
২৯ জানুয়ারি ২০২০ ২১:০৯
ঢাকা: সদ্য সমাপ্ত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ঘরের মাঠে সেমি ফাইনালে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। আয়োজক দেশ হিসেবে টানা তিনবার শেষ চার থেকে বিদায় নিতে হয়েছে দেশের জাতীয় ফুটবল দলকে। ঘুরেফিরে আলোচনায় এসেছে গোল ফিনিশিংয়ের অভাবটাই। কোচ জেমি ডে দেশের ঘরোয়া ফুটবলে পরিবর্তনের কথা বলেছেন। ক্লাব ফুটবলে পরিবর্তন আনতে নারাজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
ব্যর্থতার দোষ চাপিয়েছেন স্ট্রাইকারের ঘারেই। পাঁচ বিদেশি নিয়ে দল লিগ ও অন্যান্য টুর্নামেন্ট খেলছে। এখানে দুই বিদেশিসহ বাকী জায়গায় স্থানীয় ফুটবলার নামানোর জেমির পরামর্শে দ্বিমত বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ও পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদীর, ‘আপনি যতই বিদেশি না খেলান না কেন, বিদেশি ছাড়াই মাঠের মধ্যে ওরা গোল করতে পারবে না।’
স্থানীয় স্ট্রাইকারদের মধ্যে গোলের ক্ষুধা নেই মনে করেন দেশের লিগ ইতিহাসের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা, ‘স্ট্রাইকারদের গোল কি গিয়ে আমি করে দিবো? স্ট্রাইকারকে গোল করতে হলে তার যে অনুশীলন বা স্কিল বাড়ানোর চেষ্টা করবে। গোল করার ক্ষুধা থাকবে। সেইটাই নাই।’
ডি বক্সের সামনে গেলেই দেশের স্ট্রাইকাররা গোল দেয়া ভুলে যায় বলে মন্তব্য তার, ‘আমি যে একটা প্লেয়ারকে বলবো সেলফিস সেটাও দেখি নাই। বল যে বারে মারবে সেটাও দেখি নাই। ডি বক্সের সামনে বল পেয়ে গেলে ওরা ভয় পায় মনে হয়।’
৮০’র দশকে জাতীয় দলে প্রয়োজনের বেশি ফুটবলার ছিল। এখন দেশের ফুটবলে সেটার অভাব দেখেন তিনি, ‘কাজী সালাউদ্দীন, আসলামদের সময়ও বিদেশিদের সঙ্গে টক্কর দিয়ে গোল করেছে দেশের স্ট্রাইকাররা। মিনিমাম সেসময় দুটো জাতীয় দল করতে পারতো। লাল-সবুজ দল করে অনুশীলন করতো। তারপরেও দুটি দলের প্লেয়ার বাইরে থাকতো। আপনার কি এই অবস্থা বিরাজ করছে এখন? তাতো করছে না।’