এএফসি কাপ: মাজিয়া ‘ভীতি’ কাটানোর আশা আবাহনীর
২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২১:১৫
ঢাকা: বাংলাদেশের ক্লাবগুলোর ভীতিতে পরিণত হয়েছে মালদ্বীপের দলগুলো। অর্ধযুগ ধরে মালদ্বীপের জাতীয় ফুটবল দল ও পেশাদার লিগ বেশ এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ থেকে। দুই দেশ মিলিত হয় এএফসি কাপে। এবারও মালদ্বীপের দুটি ক্লাবের মুখোমুখি হবে দেশের দুই শীর্ষ ক্লাব ঢাকা আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংস। দু’দিন পর ঢাকায় ঘরের মাঠে মালদ্বীপের মাজিয়া এফসিকে আতিথ্য দেবে ঢাকা আবাহনী। অতীত বলছে ‘তেতো অভিজ্ঞতা’। মাজিয়ার সঙ্গে দুবারের মুখোমুখিতে এখনও জিততে পারেনি আবাহনী।
শুধু মাজিয়া নয়, মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস, নিউ রেডিয়ান্টের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্লাবগুলো এখনও জয়ের মুখ দেখতে পারেনি। হারতে হয়েছে বড় বড় ব্যবধানে। তবে এবার এক অন্য আবাহনীকে দেখবে মাজিয়া এমনটাই প্রত্যাশা বিপিএল রানার্স আপদের।
অন্তত দলের কোচ ও ফুটবলারদের মধ্যে মালদ্বীপ ভীতি কাটিয়ে ওঠার আশ্বাস দেখা গেল। এএফসি কাপকে সামনে রেখে তিন সপ্তাহ ধরে অনুশীলন করছে দল। গেল এএফসি কাপের অতীতকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে দলের রক্ষণ, মাঝমাঠ ও আক্রমণে সেই ধার আনতে মরিয়া আবাহনী।
গত এএফসি কাপে দেশের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইন্টার জোনাল সেমি ফাইনাল খেলেছিল ঢাকা আবাহনী। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার মাজিয়া বাধা ডিঙিয়ে গ্রুপ পর্বে পা রাখতে চায় আবাহনী।
রাখাটা কঠিন নয় আবাহনীর। আবার সহজও বলা যাবে না। এই প্রথমবার এএফসি কাপের প্লেঅফ খেলতে হচ্ছে আবাহনীর। আবার এ মৌসুমে ফেডারেশন কাপে সেমি থেকে বিদায় নিয়ে বড় ধাক্কা এসেছে ক্লাব ডেরায়। সেই ডেরার নতুন মিশন এএফসি কাপ। এদিকে নিকট অতীত বলছে মাজিয়ার সঙ্গে হোম এবং অ্যাওয়ে দুই ম্যাচেই আবাহনী হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। এদিকে মালদ্বীপের দিবেহী প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরেই আছে মাজিয়া। ২০ ম্যাচে তারা হেরেছে মাত্র একটি ম্যাচ। এমন উড়ন্ত দল নিয়ে ইতোমধ্যে ঢাকায় পা রেখেছে মাজিয়া এফসি।
ফেডারেশন কাপে বড় ধাক্কার পর দলের প্রস্তুতি নিয়ে জানালেন পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমস, ‘তিন সপ্তাহ ধরে অনুশীলন করছি। জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা এক সপ্তাহ আগে ক্যাম্পে যুক্ত হয়েছে। ইনজুরি থেকে অনেকেই ফিরেছে। ঠিকমতো অনুশীলন চলছে।’
গতবারের থেকে এবারের আবাহনীর স্কোয়াডে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। রক্ষণভাগের ত্রাতা আফগানি মাশিহ সাইঘানির পরিবর্তে দলে এসেছে ব্রাজিলিয়ান মাইলসন। সঙ্গে তপুর পরিবর্তে দলে রিক্রুট মিশরের নাসির। সব মিলে রক্ষণের প্রস্তুতি কেমন হচ্ছে জানালেন দলের রাইট ব্যাক রায়হান হাসান, ‘মাজিয়ার উপরে আমরা কাজ করছি। এবার রক্ষণ ভাল। আমরা জানি কি করতে হবে। কোচ আমাদের মাজিয়ার শক্তি ও দুর্বলতা নিয়ে কাজ করছে। মাজিয়ার উপরে ভিডিও বিশ্লেষণ হচ্ছে। সবাই সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছি।’
মাঝমাঠের পরীক্ষাটাও বড় চ্যালেঞ্জ হবে জানালেন শেখ রাসেল থেকে আবাহনীতে নাম লেখানো দলের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার সোহেল রানা, ‘আবাহনী মাঝমাঠ ধরে রাখার চেষ্টা করবে। সেভাবেই অনুশীলন করছি। মাজিয়াকে মাঝমাঠে খেলতে না দেয়ার পরিকল্পনা আছে আমাদের।’
গত এএফসি কাপে সব মিলে ১৬ বার বল জালে পাঠিয়েছে ঢাকা আবাহনী। খেয়েছে ৮ টি। এবারও গোলের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় গত এএফসি কাপে ৪ গোল করা সানডে সিজোবা, ‘এবার প্লে অফ খেলছি। জিততে হলে আমাদের গোল করতে হবে। ডিফেন্ডাররা গোল ঠেকানোর কাজ করবে। আমরা আমাদের কাজটা করবো। গোল করতে হবে। এবং অতীত অভিজ্ঞতা এবার কাজে দিবে। সবাই আত্মবিশ্বাসী এবার।’
দল উজ্জ্বীবিত হয়েই মাঠে নামবে এমন আশা মারিও লেমসের। ৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মাজিয়া ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে আবাহনীর প্লেঅফ পর্ব। অ্যাওয়ে ম্যাচ আছে ১২ ফেব্রুয়ারি মালেতে।