দলগুলোর অনুরোধে পেছালো নারী লিগ
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:৪৬
ঢাকা: ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল বহু কাঙ্খিত নারী লিগ। ৬ বছর পর শুরু করতে করতেও শুরু করা গেল না সাবিনা-কৃষ্ণাদের লিগটি। দুই সিটি নির্বাচনের কারণে পেছাতে হয়েছে টুর্নামেন্টটি। পিছিয়ে নেয়া হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারিতে। ক্লাবগুলোর অনুরোধেই লিগ পেছানো হয়েছে বলে দাবি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)।
ইতোমধ্যে দলগুলো অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে। ৩১ জানুয়ারি ম্যাচ দিয়ে শুরু হওয়ার কথা ছিল। মাঠে নামাটাই বাকী ছিল। নির্বাচনের কারণে যাতায়াত বন্ধ থাকায় ক্লাবগুলোর অনুরোধে লিগ পেছানো হয়েছে বলে জানান বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারপারসন মাহফুজ আক্তার কিরণ।
কিরণ জানান, ‘ক্লাবগুলো অনুরোধ করেছে। নির্বাচনে দু’দিন রাস্তাঘাট বন্ধ ছিল। নির্বাচনের আগের দিন আসা সম্ভব ছিল না। তাই তাদের দাবি ছিল লিগ পেছানোর। তাদের দাবি যৌক্তিক মনে হয়েছে। তাই পিছিয়েছি।’
এবারের নারী লিগে দলের সংখ্যা বেড়েছে। ৫ দল নিয়ে লিগ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাতে। ‘নারী ফুটবল লিগ ২০১৯-২০’ এ অংশগ্রহণকারী ক্লাবসমূহ বসুন্ধরা কিংস্, এফসি উত্তরবঙ্গ, বেগম আনোয়ারা স্পোর্টিং ক্লাব, নাসরিন স্পোর্টিং ক্লাব, কাচারীপাড়া একাদশ, কুমিল্লা ইউনাইটেড ও স্বপ্নচূড়া এন্ড আক্কেলপুর ফুটবল একাডেমি।
নারী লিগের পৃষ্ঠপোষক এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আলোচনা অব্যাহত আছে বলে জানান কিরণ, ‘এর মধ্যে আমরা আলোচনা করছি। ১০ তারিখের মধ্যে সবকিছু চূড়ান্ত হবে।’
সাত দলের মধ্যে একটি ক্লাব (কিংস) শুধু ঢাকার। ঢাকার বাইরের ক্লাবগুলোর জন্য বাসস্থানসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়ার ব্যাপারে তিনি জানান, ‘মাদার ফেডারেশন হিসেবে আমরা তাদের খেলার প্রশাসনিক যেকোন ব্যবস্থাই করবো। অংশগ্রহণ উপলক্ষ্যে প্রত্যেক দলকে ২ লাখ টাকা করে দেয়ার চিন্তা করছি। সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফিসহ প্রাইজমানি ২ লাখ ও রানার্স আপ দলকে ১ লাখ টাকা দেয়ার চিন্তা করছি।’
পেছানোর ঐতিহ্য বাফুফের নতুন নয়। অনেকবারই বিভিন্ন কারণে পুরুষ লিগ বা নারী লিগ পেছাতে হয়েছে ফেডারেশনকে। কোনও কনক্রিট ক্যালেন্ডারও গড়তে পারেনি দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল অভিভাবক।
সারাবাংলা/জেএইচ