আকবর অধিনায়ক, বিশ্বকাপের সেরা একাদশে বাংলাদেশের তিনজন
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:১৬
বাংলাদেশের শিরোপা জয় দিয়ে সদ্যই শেষ হলো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। ফাইনালের সেরা ইনিংস খেলে অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন আকবর আলী। আর তাকে অধিনায়ক করেই বিশ্বকাপের সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে আইসিসি। দলে আকবর ছাড়াও বাংলাদেশের আরও আছেন দুইজন ক্রিকেটার। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে দলে জায়গা করে নিয়েছেন পেসার শাহাদত হোসেন। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের রানার আপ দল ভারতের থেকেও সেরা একাদশে আছেন তিনজন।
আইসিসি’র ঘোষিত সেরা একাদশে সর্বোচ্চ তিনজন ক্রিকেটার জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত থেকে। এছাড়া আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে আছে দুইজন করে। বাকী একজন ক্রিকেটার হিসেবে নাম লিখিয়েছেন শ্রীলঙ্কান।
বিশ্বকাপের সেরা একাদশ: যশভি জয়সওয়াল (ভারত), ইব্রাহিম জাদরান (আফগানিস্তান), রভিন্দু রাসান্থা (শ্রীলঙ্কা) মাহমুদুল হাসান জয় (বাংলাদেশ), আকবর আলী (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক, বাংলাদেশ), নয়েম ইয়ং (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), শাহাদত হোসেন (বাংলাদেশ), শফিকুল্লাহ গফারি (আফগানিস্তান), রভি বিষ্ণই (ভারত), কার্তিক ত্যাগী (ভারত) এবং জয়ডেন সিয়েলস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)। ১২তম সদস্য অখিল কুমার (কানাডা)।
বিশ্বকাপের সেরা একাদশের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন যুব বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার এবং ব্যাটসম্যান ভারতের যশভি জয়সওয়াল। বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে মূলপর্বে ৬ ম্যাচে করেছেন ৪০০ রান। যেখানে তার ব্যাটিং গড় ছিল ১৩৩ দশমিক ৩৩ এছাড়া নামের পাশে আছে তিনটি উইকেটও। সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে জয়সওয়ালের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ছিল অপরাজিত ১০৫।
উদ্বোধনী জুটিতে জয়সওয়ালকে সঙ্গ দেবেন আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান। বিশ্বকাপের পাঁচ ম্যাচে ৬০ গড়ে ২৪০ রান করেছেন এই ব্যাটসম্যান। ইব্রাহিম জাদরানের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ছিল ৮৭ রানের। টপ অর্ডারে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান জয়। টাইগারদের হয়ে ৬ ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে জয়ের মোট রান ১৮৪। ৪৬ ব্যাটিং গড়ে ব্যাট করেছেন বিশ্বকাপ জুড়ে, কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হাঁকিয়েছিলেন শতকও। বিশ্বকাপে তার ওই ১০০ রানই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
লঙ্কানদের হয়ে ৬ ম্যাচে ৭১ দশমিক ৫০ গড়ে ২৮৬ রান করেছেন রভিন্দু রাসান্থা। একটি শতকের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন একটি অর্ধশতকও। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ১০২।
বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে নামার তেমন সুযোগই হয়নি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর আলীর। কেবল দুই ইনিংসেই ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছেন তিনি। যেখানে ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংসসহ মোট রান ৬৯। তবে উইকেটের পেছনেও বেশ সফল ছিলে আকবর। টুর্নামেন্ট জুড়ে করেছেন মোট ৬টি ডিসমিসাল। আর তাই তো বিশ্বকাপের সেরা একাদশকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি উইকেটরক্ষক হিসেবেও জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তবে বাংলাদেশের হয়ে ৬ ম্যাচে ১৩১ গড়ে রানও করেছেন ১৩১। পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে শাহাদতের থেকে কেবল বেশি গড় আছে ভারতের ওপেনার যশভি জয়সওয়ালের। যদিও নামের পাশে কোনো শতক যোগ করতে পারেননি। তবে দলকে জেতানোর পেছনে মূখ্য ভূমিকা রাখায় দলে সুযোগ পেয়েছেন শাহাদত হোসেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অল রাউন্ডার নয়েম ইয়ং ১৪০ রান এবং ৮টি উইকেট নিয়ে জায়গা পেয়েছেন। বোলার হিসেবে আরও জায়গা পেয়েছেন আফগানিস্তানের শফিকুল্লাহ গফারি। ৫ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
এছাড়া টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ভারতের লেগ স্পিনার রভি বিষ্ণইও আছেন এই একাদশে। তার সঙ্গে তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে আছেন পেসার কার্তিক ত্যাগী। বিষ্ণই ৬ ম্যাচে ৩ দশমিক ৪৮ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১৭টি উইকেট। আর কার্তিক নিয়েছেন ১১ উইকেট।
এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে জায়গা করে নিয়েছেন জয়ডেন সিয়েলস। টুর্নামেন্ট জুড়ে এই পেসার ১৮ দশমিক ৩০ গড়ে নিয়েছেন ১০টি উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে মাত্র ১৯ রানেই নিয়েছিলেন ৪টি উইকেট।
কানাডার হয়ে অবিশ্বাস্য পারফর্ম করা অখিল কুমার ১২তম ক্রিকেটার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন অল রাউন্ডার হিসেবে। বিশ্বকাপে ব্যাটের পাশাপাশি বল হাতেও ছিলেন উজ্জ্বল। ৫ ম্যাচে ২৪ গড়ে করেছেন ১২১ রান আর সেই সঙ্গে মাত্র ৫ দশমিক ২৩ ইকোনমিতে তুলে নিয়েছেন ১৬টি উইকেটও।