জুয়াড়ি সঞ্জীব চাওলাকে ফিরিয়ে আনা হল ভারতে
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:২২
প্রায় দুই দশক আগের একটি ঘটনা বেশ তোলপাড় করে দিয়েছিল পুরো ক্রিকেটাঙ্গন। কেননা এমন এক জনের বিরুদ্ধে সে সময় ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ উঠেছিল যে কিনা মাঠে এবং মাঠের বাহিরে নজির হিসেবে বিবেচিত হতেন শুদ্ধ ক্রিকেটার হিসেবে। বলছি সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক হানসি ক্রনিয়ের কথা।
তাঁর ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে বেশ তাক লেগে গিয়েছিল সমগ্র ক্রিকেটাঙ্গন জুড়ে। কেননা কেউ বিশ্বাসই করতে পারছিল না তিনি ম্যাচ পাতাতে সক্ষম। কিন্তু ঘটনার সত্যতা মানুষ বিশ্বাস করেছিল কারণ দিল্লী পুলিশ জুয়ারির সাথে ক্রনিয়ের মোবাইল কথোপকথন প্রকাশ করে দেয়।
সবকিছুর মূলে নেপথ্যে রয়েছেন যিনি, তার নাম সঞ্জীব চাওলা। ক্রিকেটের অন্ধকার গলিপথের মূল নির্মাতা এই ভারতীয় জুয়ারি। ক্রনিয়ের সেই ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছিল সঞ্জীবের নাম। যার ফলে বিখ্যাত ব্রিটিশ আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছিল এতদিন।
বিভিন্ন তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও ভারতে এনে তাকে শাস্তির সন্মুখীন করা হয়নি গত বিশ বছরে। তবে এবার সেটি হচ্ছে। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তাকে হস্তান্তর করছে ভারতীয় পুলিশের কাছে।
২০০০ সালে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ম্যাচ পাতানোর সেই কেলেঙ্কারিতে উঠে এসেছিল হানসি ক্রনিয়েসহ ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, মনোজ প্রভাকর, শেন ওয়ার্ন, অজয় জাদেজা, হার্শেল গিবস, নিকি বোয়ে, সেলিম মালিকদের নামও।
সেই সিরিজকে কেন্দ্র করে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ওঠায় শুরু হয় তদন্ত। সেখান থেকে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে অনিল কুম্বলের বলে কোনো রান না করেই আউট হয়েছিলেন ক্রনিয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসেও স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল ইচ্ছা করেই তিনি রানআউট হন।
শুধু এই ম্যাচ পাতিয়েও ক্ষান্ত হননি ক্রনিয়ে। চালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর অপকর্ম। ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ প্রমাণিত হবার পর জনপ্রিয়তার শীর্ষ থেকে এক লাফে হারিয়ে গিয়েছিলেন ঘৃণার গহীন বালুচরে।