নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেলেন হাফিজ
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:০৯
অবৈধ বোলিং অ্যাকশন এবং মোহাম্মদ হাফিজ। এ যেন মুদ্রার এপিঠ এবং ওপিঠ। কিছুদিন পরপর বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হন, আবার কিছুদিন যেতে না যেতেই সদর্পে ফিরে আসেন ক্রিকেট মঞ্চে বল হাতে।
এইতো গেল আগস্টেই কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্সের হয়ে খেলার সময় সমারসেটের বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়াররা তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আপত্তি তুলেন। তার বোলিং নিয়ে প্রশ্ন উঠায় লাফব্রো বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে তাকে পরীক্ষা দিতে হয়। কিন্তু সেই টেস্টে তার বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ে।
রিপোর্টে সন্তুষ্ট হতে না পেরে আপিল করেছিলেন হাফিজ। কিন্তু মন গলেনি ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি)। নিষিদ্ধ করা হয় তাকে। সেই সাথে বলা হয় বোলিং শুধরে এরপর ক্রিকেটে আসতে হবে তাকে।
ইসিবির দেয়া নিষেধাজ্ঞা হাফিজের ক্যারিয়ারের পঞ্চম নিষেধাজ্ঞা ছিল। দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস পর আইসিসির পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরতে যাচ্ছেন পাকিস্তানি এই অল রাউন্ডার। নতুন করে দেয়া পরীক্ষায় ত্রুটি ধরা পড়েনি তার বোলিং অ্যাকশনে। ফলে এখন থেকে ইংল্যান্ডে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় বল করতে পারবেন তিনি।
সবকিছু ঠিক থাকলে আসন্ন পিসিএলে বল হাতে দেখা যাবে তাকে।
আইসিসির নিয়মানুযায়ী বোলিং করার সময় হাতের কনুই ১৫ ডিগ্রী পর্যন্ত ভাঙতে পারবেন একজন বোলার। কিন্তু হাফিজের কনুই ১৫ ডিগ্রীর বেশি ভাঙে এমন সন্দেহে ইসিবির পক্ষ থেকে হাফিজের বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
নিজের বোলিং অ্যাকশন বৈধ প্রমাণের জন্য লাফব্রো বিশ্ববিদ্যালয় ও লাহোরে আইসিসির পরীক্ষাগারে নতুনভাবে পরীক্ষা দেন হাফিজ। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বোলিং করার অনুমতি পেলেন ৩৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। এই নিয়ে ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো বোলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেলেন তিনি।
এর আগে ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার সময় প্রথমবারের মতো বোলিংয়ের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন হাফিজ। এরপর ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয়বারের মতো নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। সে বছরই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আবারো প্রশ্ন উঠেছিল তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে। আর ২০১৭ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য চতুর্থবারের মতো নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পাকিস্তানি এই স্পিন অল রাউন্ডার।