‘আহত’ টটেনহামকে তাদের মাটিতেই চমকে দিলো লিপজিগ
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:২৫
ইনজুরির কারণে টটেনহামের ঘরে আগুণ লেগে যাওয়া অবস্থা। আক্রমণভাগের দুই পরীক্ষিত ‘অস্ত্র’ দক্ষিণ কোরিয়ান তারকা হিউ মিন সন আর হ্যারি কেনকে ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে মান বাঁচানোটা তাই বড় পরীক্ষার নামই হয়ে গেছে হোসি মরিনহোর জন্য। ঘরের মাঠেই সেই মান বাঁচাতে ব্যর্থ হলো টটেনহাম হটস্পার। জার্মানির আরবি লিপজিগের কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনালের আশাটাও যেন নিভু নিভু হতে চলেছে ইংলিশ দলের।
ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া দলের সেরা দুই তারকাহীন টটেনহাম নক আউট পর্বটা শুরু করেছে হার দিয়েই। সেটাও ঘরের মাঠে। শেষ ষোল’তে ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের জালের সন্ধ্যান পাওয়া আরবি লিপজিগ ১-০ ব্যবধানের স্বস্থির জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।
এ জয়টা লিপজিগের ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য সবচেয়ে বড় জয় হবে। অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় নিয়ে জার্মানিতে দ্বিতীয় লেগে ফ্যাবারিট হিসেবেই নামতে যাবে তারা।
বুন্দেসলিগা শীর্ষে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের ঘাড়ের উপর নিশ্বাস ফেলা লিপজিগ এবার দুর্দান্ত ফর্মেই আছে বলতে হবে। বুরুশিয়া ডটমুন্ডের মতো দলকে পেছনে ফেলে দুইয়ে অবস্থান করছে চমক দলটি।
অন্যদিকে পর্তুগিজ কোচ হোসে মরিনহোর কোচিংয়ে নতুন জীবন পাওয়া
টটেনহাম লিগে দারুণ ফর্মে আছে। শেষ তিন ম্যাচেই জয় পাওয়া টটেনহাম শিবিরে দৃশ্যত একটাই সংকট। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সন আর কেনই ছিটকে গেছে ইনজুরিতে।
তাই এ ম্যাচটা বড় পরীক্ষার নাম হয়ে উঠে মরিনহোর দলের। ঘরের মাঠে সেই পরীক্ষায় পাস করা হলো না টটেনহামের। ৫৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে টিমো ওয়ার্নারের একমাত্র গোলে জয় নিয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচের প্রশান্তি নিয়ে জার্মানি ফিরছে লিপজিগ।
এক গোলে হারলেও টটেনহামকে বড় লজ্জ্বার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন গোলরক্ষক লরিস। ম্যাচের নায়ক লরিস অতিমানবীয় অবদান রেখে বড় ব্যবধানের হার থেকে টটেনহামকে রক্ষা করেছেন বলা যায়।
ম্যাচ শেষে অবশ্য হারের পেছনে খেলোয়াড়দের খারাপ পারফরমেন্সকে দায়ী করলেন হোসে মরিনহো, তবে চিন্তিত এ কারণে যে এই প্লেয়ারদের নিয়েই আমাকে লিগ, এফ এ কাপ খেলতে হবে। মাউরো, বার্গউইজেন, লো সেলসো আজকে ‘মরা’ অবস্থায় ছিল। আমরা আসল শঙ্কায় পড়েছি।’
১১ মার্চ ফিরতি লেগে এই আহত দলকে নিয়ে লিপজিগের মাঠে গিয়ে খেলতে হবে টটেনহামকে। গণমাধ্যমকে শঙ্কার পাশাপাশি জয়ের আশাবাদ করেছেন মরিনহো, ‘আমি ১-০ ব্যবধানে হারায় চিন্তিত নই। আমরা দ্বিতীয় লেগে জিতবো।’ দেখা যাক গতবারের মতো এবারও কী নক আউট পর্বের বাধা পেরুতে পারে কিনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রানার্স আপরা।