আরভিন দেয়াল ভেঙেও নিরুত্তাপ নাঈম
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:০০
নাঈম ঘূর্ণি ও আবু জায়েদ পেস তোপে যখন জিম্বাবুয়ের ঘর বেসামাল ঠিক তখন ত্রাতার ভুমিকায় অবতীর্ণ হলেন ক্রেইগ আরভিন। বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দাঁড়ালেন দেয়াল হয়ে। সেই দেয়াল এতটাই সুরক্ষিত ছিল যে বারবারই ব্যর্থ হয়েছেন স্বাগতিক দলের বোলাররা। দিনের ৯ম ওভার থেকে ৮৯ ওভার পর্যন্ত খেললেন ১০৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। তাতে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তো হলোই সঙ্গে দলও পৌঁছে গেল ২২০ রানের কোটায়। কিন্তু তবুও যেন থামতে চাইছিলেন না এই সুপার গ্র্যামাটিক্যাল ব্যাটসম্যান। তবে শেষ রক্ষা করতে পারেননি।
প্রথম দিনের একেবারে শেষ বেলায় এসে নাঈম ঘূর্ণিতে বিচুর্ণ হলেন। ৮৯তম ওভারে নাঈম হাসানের দ্বিতীয় ডেলিভারাটি বুঝতে না পেরে ড্রাইভ খেললে পুরোপুরি পরাস্ত হন। দিনের চতুর্থ উইকেটে পৌঁছে গেলেন নাঈম। ক্রেইগের ফেরায় স্বস্তি ফিরল বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমেও। এই বীরত্বে স্বাভাবিকভাবেই নাঈমের ক্রিকেটীয় চিত্তে উল্লাসের মাতম উঠার কথা। কিন্তু না তার লেশমাত্র দেখা গেল না। বরং নিরুত্তাপই থাকলেন ডান হাতি এই তরুণ তুর্কি অফস্পিনার।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলন আসা এই তরুণের জবাবে তেমনই মনে হলো।
ক্রেইগকে ফিরিয়েও পুরোপুরি নিরুত্তাপ থাকা নাঈম বললেন, ‘ওকে আউট করার অনুভূতি তেমন নেই বললেই চলে। চেষ্টা ছিল সমসময়ই ভালো জায়গায় বোলিং করার। ওকে বোলিং করার ব্যাপারে পরিকল্পনা বলতে ওর ভিডিও অ্যানালাইসিস আমাদের কাছে ছিল। ওই অনুযায়ীই বল করার চেষ্টা করেছি।’
শুধু যে ক্রেইগ আরভিনকেই ফিরিয়েছেন তা কিন্তু নয়। তার এক স্পেলে ৩২ ওভারের বোলিংয়ের শিকার বনে ড্রেসিং রুমে ফিরে গেছেন আরো তিনজন। প্রথম দিনে তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র বোলার যিনি টানা এত সময় বল করলেন। কিন্তু তাতেও তার বিন্দুমাত্র উচ্ছ্বাস নেই!
‘অভ্যাসটা ঘরোয়া প্রথম শ্রেনির ক্রিকেট থেকেই দীর্ঘসময় বোলিং করার। এক জায়গায় ফেলার চেষ্টা করি। এক জায়গায় রান আটকে বল করার কারনেই সাফল্য এসেছে।’
নাঈমের এই ৪ সঙ্গে আবু জায়েদের ২ উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে এক মাত্র টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান সংগ্রহে সক্ষম হয়েছে জিম্বাবুয়ে।
টেস্ট নাঈম হাসান প্রথম দিন বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিক সম্মেলন