দেড় ঘণ্টাও টিকলো না জিম্বাবুয়ে
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:৫৫
বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসের দ্বিতীয় দিনে প্রথম সেশনেই অল আউট হয়ে গেছে সফররত জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ সবগুলো উইকেটের বিনিময়ে ২৬৫ রান।
৬ উইকেটের খরচায় ২২৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে জিম্বাবুয়ে দিনের শুরুতেই হারায় আগের দিনের অপরাজিত থাকা ব্যাটসম্যান ডোনাল্ড তিরিপানোকে। ব্যক্তিগত ৮ রান করে রাহির শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবার আঘাত হানেন রাহি। এইন্সলে এনডিলোভুকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে শূন্য হাতেই সাজঘরে ফেরান এই পেসার। সেই সঙ্গে নিজের ঝুলিতে পুরেন ৪র্থ উইকেট।
এরপর উইকেটে আসেন অভিষিক্ত চার্লটন শুমা। কিন্তু অভিষেক ম্যাচেই তাঁকে খালি হাতে ফেরান তাইজুল। তাইজুলের স্পিন ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন শুমা।
জিম্বাবুয়ের উইকেটের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন তাইজুল। রেগিস চাকাভাকে নাইম হাসানের তালুবন্দি করে মাঠছাড়া করেন এই স্পিনার।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৭ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন (১০৭)। আর টাইগারদের হয়ে চারটি করে উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহি এবং নাইম হাসান।
এর আগে টেস্টের প্রথম দিনে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দিনের শুরুতেই উইকেট হারালেও ক্রেইগ আরভিনকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মাসভাউরে। এই দুই জনের ১১১ রানের জুটিতে ভর দিয়ে বেশ বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে রোডেশিয়ানরা।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর ক্রেইগ এবং কাসুজার ১১১ রানের জুটি ভাঙেন নাঈম। কিছুক্ষণ পরই উইকেটে পোক্ত হওয়ার আগেই দলীয় ১৩৪ এবং ব্যক্তিগত ১০ রানে নাইমের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেতে হয় টেইলরকেও।
এরপর সিকান্দার রাজাকে সঙ্গে নিয়ে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ক্রেইগ আরভিন। চা বিরতি পর্যন্ত দু’জন মিলে বড় জুটি গড়ার স্বপ্নই দেখাচ্ছিল জিম্বাবুয়েকে। তবে বিরতি থেকে ফিরে আবারো ব্রেক থ্রু এনে দেন সিনার নাঈম হাসান। সিকান্দার রাজাকে ১৮ রানেই ফিরিয়ে দেন এবার। আর তাতেই দলীয় ১৭৪ রান চতুর্থ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। নাঈমের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে আরভিনের সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়েন সিকান্দার।
সিকান্দার ১৭৪ রানে ফিরলে জিম্বাবুয়ের রানের চাকা থেমে যায় কিছুটা। তবে টেস্ট মেজাজে টিমিসেন মারুমাকে নিয়ে নতুন জুটি গড়েন ক্রেইগ আরভিন। এই দুইয়ে মিলে ২৫ রানের জুটি ভাঙেন প্রথম উইকেট শিকারি আবু জায়েদ রাহী। দ্বিতীয় নতুন বল আসার ঠিক আগের ওভারেই উইকেট হারিয়ে ফেলে আরভিনের দল। দলীয় ১৯৯ রানে ব্যক্তিগত মাত্র ৭ রানে ফেরেন টিমিসেন মারুমা।
দলের অন্যরা যখন যাওয়া আসার মিছিলে তখন এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে কক্ষপথে রাখেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। দলকে বড় সংগ্রহের পথে ধরে রেখে নিজেও তুলে নেন শতক। তবে প্রথম দিনের খেলা শেষের মাত্র দুই ওভার বাকি থাকতে নাঈমের চতুর্থ শিকারে পরিণত হন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক। ব্যক্তিগত ১০৭ রান করে ফেরেন তিনি। তবে যখন ফিরছেন তখন সফরকারীদের স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ ২২৬।