Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রথম সেশনের আক্ষেপ হয়ে রইলেন সাইফ


২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:৩৭

প্রথম দিনের  মতোই জিম্বাবুয়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও বোলিংয়ে নেমে আগুনের গোলা ছুঁড়ছিলেন আবু জায়েদ রাহি। পেস, সুইং ও বাউন্সারের সমাহারে প্রতিপক্ষের অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে তুলেছেন। পার্টনার হিসেবে বাঁহাতি তাইজুলও কম যাননি। নিখুঁত ফ্লাইট ও টার্নিংয়ে বারবারই কঠিন সময় উপহার দিয়েছেন। কিন্তু কিছুতেই যেন উইকেটের দেখা মিলছিল না। অবশেষে তার দেখা মিলল দিনের সপ্তম ওভারে এসে। রাহির সু্ইংয়ে পরাস্ত হয়ে ব্যক্তিগত ৮ রানে ফিরে গেলেন ডোনাল্ড ত্রিপানো।

বিজ্ঞাপন

পরের ওভারে তাইজুল এসে  দিলেন ৩ রান। তার পরের ওভারে আবার এলেন রাহি। এসেই অবশ্য উইকেটের দেখা পাননি। সেজন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে চতুর্থ বলটি পর্যন্ত। এনলোভুকে ডেলিভারিটি দিয়েছিলেন শর্ট। বুঝতে না পেরে ক্রস ব্যাট চালালেন। অমনি বল গিয়ে চুমু খেল প্যাডে। রানের খাতা না খুলেই ফিরলেন এনলোভু। জিম্বাবুয়ের দলীয় সংগ্রহ তখন ২৪৪ রান।

ঠিক পরের ওভারেই আঘাত হানলেন তাইজুল। দারুণ টার্নিংয়ে তার বলটি গিয়ে আছড়ে পড়লো শার্লটন শুমার প্যাডে।  জোরালো আবেদন তুললেন। আম্পায়ারও আঙুল তুলে সম্মতি জানিয়ে দিলেন। ০ রানে ফিরলেন। সেই সুবাদে তাইজুল তুলে নিলেন এই টেস্টের প্রথম উইকেটটি।

এক ওভার বিরিতিতে পরপর তিন সতীর্থকে হারিয়ে চাকাভা বুঝে গিয়েছিলেন তিনি পারলেও অপরপ্রান্তের টেলএন্ডার সতীর্থরা উইকেটে থাকতে পারবেন না। তাই কিছুক্ষণ খাপ খোলা ব্যাটেই খেললেন। আবু জায়েদকে কখনো সীমানার বাইরে পাঠালেন স্লিপের উপর দিয়ে কখনোবা লং অফ দিয়ে। তাতে ৮ ওভারে এল আরো ২০ রান। কিন্তু আর না। ওখানেই থেমে গেল তার ব্যাটিং কারিশমা।

কেননা ১০৭ ওভারে পা হড়কালেন আগের দিন শেষ সেশনে নামা চাকাবা। তাইজুলের ঘূর্ণি জাদুতে মোড়ানো বলটি তুলে দিলেন মিড উইকেটে। সেখান থেকে তা তালুবন্দি করলেন নাঈম হাসান। ২৬৫ রানে গুটিয়ে গেল জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস।

আর একটি উইকেট হলেই টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ইনিংসটি নিজের করে নিতে পারতেন আবু জায়েদ। কিন্তু সেটা হয়নি। আগে যেখানে ১০৪ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেটই তারা সেরা বোলিং ইনিংস ছিলএই ম্যাচেও সমান সংখ্যক উইকেট নিলেন ৭১ রানের খরচায়। দলের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন অফস্পিনার নাঈম হাসানও। আর তাইজুলের শিকার ২টি। তবে  ১৭ ওভার বল করে উইকেটশূণ্য থেকেছেন এবাদত হোসেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে দিনের প্রথম সেশনের শেষ দিকে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা উড়ন্তই করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও তরুণ সাইফ হাসান। কিন্তু বিধি বাম। জুটিটি লম্বা করতে পারেননি। দলীয় ১৮ রানে নিয়াউচির সু্ইং ভেলকিতে ব্যক্তিগত ১০ রানে ক্রিজ ছাড়া হন সাইফ হাসান।

তার বিদায়ে আক্ষেপ থাকলো দুই পক্ষেরই। সেটা যেমন তার নিজের তেমনি দলের।  ত্রিপানো ও নিউচিকে যেভাবে স্ট্রেট ড্রাইভ ও ডউন দ্য লেগে এসে খেলেছেন তাতে রানের ঝংকার তিনি তুলতেই পারতেন। এতে করে নিজেকে যেমন অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারতেন তেমনি টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়া পাওয়ার হিসেবও মিলত। কিন্তু হলো না। জ্বলে উঠার আগেই দপ করে নিভে গেলেন লাল সবুজের এই তুর্কি তরুণ টপ অর্ডার।

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট সিরিজ সাইফ হাসান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর