আন্দোলনের সুফল পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:৩৪
গেল ২১ অক্টোবর ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবীর আন্দোলনে প্রবলভাবে কেঁপে উঠেছিল হোম অব ক্রিকেট মিরপুর। এবং তা আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সকল ধরণের ক্রিকেট বর্জনের হুমকিও দিয়েছিলেন। দু’দিন এভাবেই গেল। কিন্তু তৃতীয় দিনের দিন ঠিকই সাড়া দিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ প্রশাসন-বিসিবি। ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় সভাপতি নাজমুল হাসান সাকিব-তামিমদের বিসিবিতে ডেকে বলেছিলেন-আমি সবই মেনে নিচ্ছি। তবে দু একটি বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত দিতে পারছি না, পরে জানাব।
যা হোক সেই, ১১ দফার দ্বিতীয় দফাটি ছিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দলবদলের পদ্ধতি নিয়ে। কেননা প্লেয়ার্স বাই চয়েস পদ্ধতিকে নিজেদের স্বার্থের পরিপন্থি হিসেবে দেখছিলেন ক্রিকেটাররা। ফলে তারা চেয়েছেন যেন আগের সেই উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দল বদল করা হয়। তাদের জন্য সুখবর হলো-বিসিবি তা মেনে নিয়েছে। এবং ঢাকা প্রিমিয়ারে লিগে এই মৌসুম থেকেই তা কার্যকর হচ্ছে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সুসংবাদটি দিলেন বিসিবি’র সিসিডিএম (ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপুলিশ) চেয়ারম্যান কাজী এনাম আহমেদ।
দিনের সভাশেষে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন এসে বললেন, ‘গত দুই বছর প্লেয়ার বাই চয়েসের মাধ্যমে হয়েছিল। কিন্তু এবার উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দল বদল হবে। খেলোয়াড়দের দাবী ছিল।’
এবার চলুন দেখে আসি ২১ অক্টোবর ক্রিকেটারদের দেওয়া এগার দফার দ্বিতীয় দফায় ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ নিয়ে কি বলা হয়েছিল-‘বিগত বেশ কয়েকবছর ধরে আপনারা জানেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের অবস্থাটা কি। যেভাবে প্রিমিয়ার লিগ হচ্ছে তাতে সব প্লেয়ারই অসন্তোষ প্রকাশ করছে। পারিশ্রমিকের একটা মানদন্ড বেধে দেওয়া হচ্ছে এবং অনেক সীমাবদ্ধতা এখানে আছে। আমরা যেভাবে আগে প্রিমিয়ার লিগ খেলতাম এবং প্লেয়াররা যেভাবে ক্লাব অফিসিয়ালদের সাথে ডিল করত সেতা এখন আর নেই। আমাদের দাবী হচ্ছে আগে যেভাবে প্রিমিয়ার লিগটা চলত সেভাবে যেন আমরা পাই।’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে দলবদলের ক্ষেত্রে নতুন করে প্লেয়ার বাই চয়েস পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয় ২ বছর আগে। পুরোনো উন্মুক্ত পদ্ধতি বাতিল করে নতুন এই পদ্ধতিকে বেছে নিয়েছিল বিসিবি। কিন্তু এই পদ্ধতিতে নাকি ক্রিকেটররা লাভবান হচ্ছিলেন না। কেননা প্লেয়ারর্স বাই চয়েস পদ্ধতিতে বিসিবি কর্তৃক প্রদত্ত ক্যাটাগরি ও সেই মোতাবেক ধার্যকৃত পারিশ্রমিক নিয়েই তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হতো। যা তাদের প্রত্যাশার তুলনায় নিতান্তই নগন্য। পক্ষান্তরে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দলবদলের সময় তারা তাদের ইচ্ছে মতো দাম হাঁকাতে পারেন। ক্লাবগুলোর সামর্থ থাকলে সেই অর্থেই কিনে নেয়। না পারলে ঝুঁকতে হয় কম দামীদের দিকে।