কোহলির কেন এমন দুর্দশা?
৩ মার্চ ২০২০ ১৯:৫৫
নিউজিল্যান্ড সফরে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দুপিঠই দেখল ভারত। সফরের শুরুতে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রতিটিতেই জিতেছে সফরকারীরা। ওয়ানডে ও টেস্ট মিলিয়ে হেরেছে পরের পাঁচ ম্যাচ (ওয়ানডে সিরিজে ৩-০, টেস্ট সিরিজে ২-০)। ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজে আট বছর পর হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেয়েছে ভারত। ব্যক্তিগতভাবে সিরিজটা সবচেয়ে বাজে কেটেছে সম্ভবত বিরাট কোহলির।
সিরিজ শুরুর আগে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ভারতীয় অধিনায়ককে ‘বিশ্ব সেরা ব্যাটসম্যান’ বলেছিলেন। কয়েক বছর ধরেই কোহলিকে বিশ্ব সেরা মনে করছেন অনেকে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে চার ইনিংস ব্যাটিং করে সেই ব্যাটসম্যানটি রান তুলতে পেরেছেন মাত্র ৩৮! ভারতের পেস বোলার মোহাম্মদ শামিও টেস্ট সিরিজে কোহলির চেয়ে বেশি রান করেছেন (৩৯)।
সেঞ্চুরি, ফিফটি দূরের কথা বিশোর্ধ্ব রানের ইনিংসও খেলতে পারেননি ভারতীয় তারকা। ওয়েলিংটন টেস্টে কোহলি আউট হয়েছেন ২ ও ১৯ রান করে। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে ফিরেছেন ৩ ও ১৪ রান করে। নিউজিল্যান্ডের পেস আক্রমণের বিপক্ষে যেভাবে ভারতীয় অধিনায়কের অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে সেসব নিয়েই বেশি কথা হচ্ছে।
টেস্ট সিরিজে কোহলির ব্যাটিং গড় ৯ দশমিক ৫০। ক্যারিয়ারে নির্দিষ্ট কোনো সিরিজে এর চেয়ে কম ব্যাটিং গড় ছিল মাত্র একবার, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে (৯ দশমিক ২০)। টেস্ট সিরিজের আগে কিউইদের বিপক্ষে রঙিন পোশাকের ক্রিকেটেও সুবিধা করতে পারেননি ভারতীয় অধিনায়ক। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ মিলিয়ে সাত ইনিংস ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি নেই, ফিফটি পেয়েছেন মাত্র একটি।
হঠৎ কী হলো কোহলির? এশিয়ার বাইরের সিরিজগুলোতে বহুবার দেখা গেছে দলের বাকিরা চরম ব্যর্থ, কোহলি সফল। দলকে বহুবার একাই টেনেছেন ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান। নিউজিল্যান্ড সফরেও তার দিকে তাকিয়ে ছিলেন ভারতীয়রা। প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি ৩১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।