সকালে ভেবে বিকেলে বিদায়
৫ মার্চ ২০২০ ১৮:২০
২০১৫ সালের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাকি দলগুলো শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারছিল, বাংলাদেশ দলের তখন হতশ্রী দশা। ওই কঠিন সময়ে দ্বিতীয় দফায় অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা। বিদায় বলে দিলেন আজ। মাঝের সময়টাতে মাশরাফির বাংলাদেশ হেসেছেই বেশি।
বিশ্বকাপের আগে টানা বাজে খেলতে থাকা বাংলাদেশ মাশরাফির নেতৃত্বে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। বিশ্বকাপে সেটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। ২০১৭ সালে মাশরাফির বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলেছে। তার নেতৃত্বে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবার সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। এতো এতো সাফল্য, স্মৃতি জড়িয়ে বিদায় বলাটা নিশ্চয়ই সহজ নয়।
মাশরাফির জন্যও সহজ ছিল না। কিন্তু কঠিন সিদ্ধান্তটা চূড়ান্ত করেছেন হুট করেই। এক ম্যাচ বাকি থাকতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। ফলে অন্য দশ দিনের মতো কাল ফুরফুরে মেজাজেই ঘুমুতে গিয়েছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক। সকাল ঘুম ভাঙতে মনে হলো, আর নয় বিদায় বলে দেওয়া দরকার। পরিবার, বোর্ডকে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে কয়েক ঘণ্টা পর দেশবাসীকে অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল এই অধিনায়ক।
অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিতে এসে মাশরাফি নিজেই জানালেন কথাটা। মাশরাফি বলছিলেন, ‘আসলে অতো ভাবাভাবি করিনি আমি। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করে সবাই যখন চাচ্ছে নতুন অধিনায়ক আসা উচিত। সকালে মনে হয়েছে, আমার সরে আসা উচিত। সকালে ভেবে মনে হয়েছে শেষ বলে দেওয়া উচিত।’
মাশরাফি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরও নিয়েছিলেন এভাবে। শ্রীলঙ্কা সিরিজের শেষ ম্যাচের আগ মুহূর্তে অবসরের ঘোষণা দেন মাশরাফি।