লাল পাসপোর্ট, গাড়ি-বাড়ি কিছুই নিইনি: মাশরাফি
৫ মার্চ ২০২০ ১৮:৩৩
সিলেট থেকে: নিন্দুকেরা অট্টহাসি দিতেই পারেন। কেন না তাদের বহুদিনের মনোবাসনা যে আজ পূরণ হয়েছে। চক্ষুশূল! মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন! তাদের আজ ঈদের দিন! যার অপেক্ষায় তারা প্রায় একটি বছর ছিলেন।
যে মানুষটির হাত ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট আজ অসীম উচ্চতায় সেই তিনিই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেছেন -‘অধিনায়ক হিসেবের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচটিই আমার শেষ। অধিনায়কত্ব পেতে আমি কখনওই অতটা মরিয়া ছিলাম না।’
প্রসঙ্গক্রমে এও বলেছেন – এখন আমি শুধুই ক্রিকেটার নই, একজন সংসদ সদস্যও। তবে একজন সাংসদ হিসেবে যে যে সুবিধা নেয়ার কথা আমি নিচ্ছি না।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে তিনি কথাগুলো বলেছেন স্রেফ এটা বোঝাতে যে মানুষ মাশরাফি কতটা নির্মোহ। যারা এতদিন তাকে ‘লোভী’ আখ্যা দিয়েছিলেন। তাদের জন্যই তার এমন জবাব। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অধিনায়ক হিসেবে এতদিন যে সম্মান, যে চেয়ার তিনি পেতেন আগামীতে তা না পেলেও তার বিন্দুমাত্র খেদও থাকবে না।
‘আপনারা যেটা বললেন অধিনায়কত্বটা দূতের মত। আমি যখন খেলোয়াড় হিসেবে শুরু করেছি তখনও এটা অনুভর করিনি। যখন অধিনায়ক হয়েছি তখনও এটা মনে করি নি। আমারতো আরেকটা পরিচয় আছে, আমি এমপি সেটাও আমি অনুভব করিনি। কারণ লাল পাসপোর্ট নিইনি, আমি গাড়ি নিইনি, বাড়ি নিইনি, কিছুই নিইনি। অতএব আমি আসলে এসব থেকে সবসময় দূরে থাকতেই পছন্দ করেছি।’
‘আমি অধিনায়ক হওয়ার আগ পর্যন্ত আমার সম্ভাব্য সবকিছুই কিন্তু ছিল এই চেয়ারকে ঘিরে। আমি যত ভালো করব বা যতকিছুই করবো এই চেয়ারটা আস্তে আস্তে আমার কাছে আসতে থাকবে। যখনই আমি চেয়ারটা পেলাম তখনই ওটা শেষ লেখা হয়ে গেছে। তখন এই চেয়ার পাওয়ার কিন্তু আমার আর আকাঙ্খা নেই। চেয়ারটার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা উচিত ইতিবাচকভাবেই।’ যোগ করেন লাল সবুজের ক্রিকেটের দিন বদলের অধিনায়ক।