অধিনায়ক মাশরাফির অতৃপ্তি
৫ মার্চ ২০২০ ১৯:৫৬
সিলেট থেকে: পরিসংখ্যান বলছে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি বিন মুর্ত্তজাই বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মত যখন তাকে অধিনয়াকত্ব দেওয়া হল, হাঁটুর চোটে পড়ে ওই দফায় তেমন কিছুই করে দেখাতে পারেননি। শেষ দফায় ২০১৪ সালের একেবারে শেষে যখন আবার ব্যাটন তুলে নিলেন, ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বে একের পর এক জয় থলিতে পুরেছেন।
সেই থেকে আজ অবধি মোট ৮৭টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ৪৯ ম্যাচেই তুলে নিয়েছেন জয়। অধিনায়ক হিসেবে তার পরে আছেন হাবিবুল বাশার। তার নেতৃত্বে ৬৯টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জয়ের দেখা পেয়েছে ২৯টি ম্যাচে। দুর্দান্ত এক একটি জয়ের সেই স্মৃতি রোমন্থন করে আজীবন তৃপ্তি নিয়েই কাটিয়ে দিতে পারেন নড়াইল এক্সপ্রেস। কিন্তু না, অধিনায়ক হিসেবে অতৃপ্তিও তার আছে।
এর প্রথমটি, ২০১৬ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাত্র ১ রানে হারের জন্য। আর দ্বিতীয়টি, ২০১৯ বিশ্বকাপে বল হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি বলে।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই অতৃপ্তির কথা জানান।
মাশরাফি বলেন,’সবচেয়ে কষ্টের ছিল তখন যখন ইন্ডিয়ার সঙ্গে ১ রানে হারলাম। ওয়ার্ল্ড কাপে। সেই রাতটা আমি না শুধু আমাদের পুরো দলের জন্য বীভৎস ছিল। আমরা সবাই হোটেলে এসে বারান্দায় বসে ছিলাম। অধিনায়ক হিসেবে খেলোয়াড়দের দেখে খুবই খারাপ লাগছিল। তারপরও অনেক চ্যালেঞ্জিং সময় গেছে। শেষ বিশ্বকাপও অবশ্যই। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আমরা টুর্নামেন্টে টিকে ছিলাম। শেষপর্যন্ত এসে যেভাবে ফিরে আসা অবশ্যই ওটাও কঠিন ছিল। অধিনায়ক হিসেবে যে থাকে সে পরিকল্পনা করে ম্যাচ জেতার জন্য। সেটা না হওয়া মানে বাংলাদেশের যে কোনো ম্যাচে হারাই অধিনায়কের জন্য কঠিন সময়। ব্যক্তিগতভাবে বলব প্রত্যেকটা হারই আমার জন্য কঠিন ছিল।’
প্রসঙ্গত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে মাশরাফি জানিয়ে দেন, অধিনায়ক হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগামিকালের ম্যাচটিই তার শেষ।